আমি মোটা হবো কিভাবে - মোটা হওয়ার সহজ উপায়

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিনআমি মোটা হবো কিভাবে? এই সম্পর্কে কি আপনি জানতে ইচ্ছুক? মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কিভাবে আপনি মোটা হতে পারবেন এ সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমি-মোটা-হবো-কিভাবে
সবাই চায় তার স্বাস্থ্যটা একটু সুন্দর হবে মোটা হবে। অতিরিক্ত চিকন স্বাস্থ্য কারোরই ভালো লাগেনা। তবে অনেকদিন ধরে চেষ্টা করেও যারা মোটা হতে পারছেন না এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করা যায় আপনি এর সঠিক সমাধান পেয়ে যাবেন। চলুন এবার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ আমি মোটা হবো কিভাবে

মোটা না হওয়ার কারণ কি

মোটা না হওয়ার কারণ কি এ সম্পর্কে আপনাকে আগে জানতে হবে। যারা অতিরিক্ত চিকন তারা প্রথমেই জানতে চাই যে কিভাবে মোটা হবে বা খুব তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায় এসব সম্পর্কে। যার কারণে মোটা হওয়ার উপায় জানা থাকলেও মোটা না হওয়ার কারণগুলো অজানায় রয়ে যায়। তবে এই আর্টিকেলটি পড়লে আমি মোটা হব কিভাবে এটা ছাড়াও মোটা না হওয়ার কারণও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই খুব মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়া অনুরোধ রইলো।

এখনকার সময়ে আমাদের আশেপাশে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি যে অনেক খাওয়ার পরেও মোটা হতে পারছে না। এটা কে চিকিৎসা বিজ্ঞান একটি শারীরিক সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছে। বেশ কয়েকটি কারণে অনেকে বেশি খাওয়ার পরেও মোটা হতে পারে না। আমাদের একটা বিষয় জেনে রাখা উচিত যে খাদ্যের উপর আমাদের ওজন নির্ভর করলেও তা পুরোপুরি আকারে নির্ভর করে না। আরো কিছু বিষয়ের উপর তা নির্ভর করে। যেমন–

হাড় চিকনঃ অন্যদের তুলনায় হাড় চিকন থাকার কারণে ওজন বাড়ে না। কেননা মানুষের দেহের কাঠামোই হচ্ছে হাড় দিয়ে তৈরি। এজন্য দেখা যায় যে দেহের হাড় চিকন থাকার কারণে অনেক বেশি খাওয়ার পরেও মোটা হতে পারে না। 

হজম শক্তিঃ আবার মোটা না হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে হজম শক্তি বেশি। যাদের হজম শক্তি অন্যদের তুলনায় বেশি তারা যত বেশি খাবার খেয়ে থাকুক না কেন খুব তাড়াতাড়ি হজম করে ফেলতে পারে। আর এই দ্রুত হজম শরীরের গঠন ও স্বাস্থ্যের পরিবর্তনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। 

আরো পড়ুনঃ হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম - হাতিশুর গাছের উপকারিতা

জেনেটিক্সঃ মোটা না হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে জেনেটিক্স। একটি পরিবারের যখন সবাই স্বাস্থ্যবান হয় তখন সাধারণভাবে ওই পরিবারের সন্তানেরাও স্বাস্থ্যবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার একটি পরিবারে যখন সবাই রোগা এবং চিকন তখন ঐ একইভাবে পরিবারের সন্তানেরাও রোগা ও চিকন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটি একটি জিন গত সমস্যা যা আমাদের আয়ত্তের বাইরে।

হরমোনঃ মোটা না হওয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে হরমন দায়ী। প্রত্যেকটা শরীরে হরমোনের পরিমাণ এক নয়। বেশ কিছু হরমোনের কম বেশির কারণে রোগা ও অনেকটা মোটা হওয়া নির্ভর করে। যেমন এন্ড্রোজেন এর হরমোন, থাইরয়েড, ইস্ট্রোজেন, ইনসুলিন, প্রজেস্টেরন ইত্যাদি। 

৭ দিনে মোটা হওয়ার উপায়

৭ দিনে মোটা হতে হলে আপনাকে পুষ্টি উপাদানের ভরপুর এমন খাবার নিয়মিত সাত দিন খেতে হবে। এবং ৭ দিন পর তার ফল দেখতে পাবেন আশা করা যায়। সেগুলো হলো –

ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়াঃ ক্যালরি আছে এমন খাবার মানুষকে মোটা হতে অনেক সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি ৭ দিনে মোটা হতে চান তাহলে নিয়মিত ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। আপনি যদি ৭ দিন নিয়মিত ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ক্যালরি যুক্ত খাদ্য খান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি মাত্র সাত দিনেই এর ফলাফল পেতে পারেন। এজন্য আপনাকে আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন আলুভাজা, ডিম, গরু ছাগলের মাংস, খেজুর, চকলেট, মাখন, কোমল পানীয় ইত্যাদি । 

প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়াঃ মোটা না হওয়ার আরেকটি কারণ হলো মানুষের শরীরে প্রটিনের ঘাটতি। ৭ দিনে মোটা হতে হলে আপনাকে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। সেজন্য আপনার প্রতিদিনের খাবারে দুধ, ডিম, মাংস ও ডাল জাতীয় খাবার। প্রতিদিন মাংস খাওয়ার সামর্থ্য না থাকলে আপনি ডাল খেতে পারেন কারণ মাংসের সমপরিমাণ প্রোটিন ডালে পাওয়া যায়। এক কথায় প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। 

ড্রাই ফুডসঃ আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে প্রতিদিন ড্রাই ফুডস খান। কারণ ড্রাই ফুডস এ অনেক ক্যালোরি এবং ফ্যাট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে দুইটা করে খেজুর, কাজুবাদাম ও পেস্তা বাদাম খেতে হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য এগুলো অনেক উপকারী। 

পর্যাপ্ত ঘুমানোঃ মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। দৈনিক ৬–৮ ঘন্টা ঘুম আপনাকে মোটা হতে অনেক সাহায্য করবে। এবং ঘুম থেকে উঠে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করার ফলে আপনার ক্ষুধা বেশি পাবে এবং আপনি আরো বেশি খেতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা - কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

টেনশন মুক্ত থাকতে হবেঃ অতিরিক্ত টেনশন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। টেনশন থাকলে আপনার খাবার প্রতি অনিহার সৃষ্টি হবে। এজন্য আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সব সময় চিন্তা মুক্ত থাকা। মোটা হওয়ার জন্য চিন্তামুক্ত থাকা অনেক জরুরী। 

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় এ সম্পর্কে আগে আপনাকে বিস্তারিত জানতে হবে। মোটা হওয়ার বেশ কিছু নিয়ম আছে তার মধ্যে একটি হলো খালি পেটে এমন কিছু খাবার খাওয়া যাতে সহজে মোটা হওয়া যায়। সকালে খালি পেটে উচ্চ ক্যালরি প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। এজন্য আপনি খেজুর, বাদাম, মাংস, দুধ, ডিম, বাদাম, কলা, কিসমিস ইত্যাদি খেতে হবে। এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। এসব খাবার খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি সরবরাহ করবে।

আমি-মোটা-হবো-কিভাবে
ডিম ও দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন–১২, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদি। মোটা হওয়ার জন্য ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের গুরুত্ব অপরিহার্য। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এরকম পুষ্টি গুন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও সকালে আপনাকে বেশি করে পানি খেতে হবে। সকালে খালি পেটে বেশি করে পানি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না থাকলে বেশি বেশি খেতে পারবেন। তাছাড়া পানি আমাদের দেহের জন্য অপরিহার্য উপাদান। তাই সকালে খালি পেটে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা

যারা রোগা পাতলা তাদের মনে প্রশ্ন থাকে যে আমি মোটা হবো কিভাবে অথবা মোটা হওয়ার জন্য কি কি খাবার খাব ইত্যাদি। মোটা হওয়ার জন্য খাবার খাওয়া একান্তই প্রয়োজন। মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় সকালে নাস্তা তে যে খাবারগুলো যুক্ত করতে পারেন তা হল দুধ, ডিম, কলা ও খেজুর।

দুধঃ আমাদের শরীরে যত রকম পুষ্টি দরকার তার প্রায় সবই দুধে পাওয়া যায়। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ১২ ইত্যাদি। ওজন বাড়ানোর জন্য দুধ অনেক অপরিহার্য উপাদান।

কলাঃ ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কলা তে রয়েছে ভিটামিন বি ৬, আইরন  ও অধিক পরিমাণে ফাইবার। কলা আমাদের হজমে অনেক সাহায্য করে।

ডিমঃ ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ২, জিংক সহ আরো অনেক ভিটামিন ও মিনারেলস। ভিটামিন এ আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ভিটামিন বি ২ আমাদের ত্বক কে ভালো রাখে। জিংক আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

খেজুরঃ খেজুর রে রয়েছে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে আইরন ও ফলিক অ্যাসিড আছে যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। খেজুরের পুষ্টিগুণ অতুলনীয়। এজন্য মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

ডালঃ মোটা হওয়ার জন্য দুপুরের খাবারে ডাল রাখবেন। ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। আমরা প্রোটিনের জন্য খাসির মাংস ও গরুর মাংস খাই। তবে ডালেও মাংসের সম পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে।  এছাড়াও ডালে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ অনেক উপকারী উপাদান যা মোটা হওয়ার জন্য অপরিহার্য। তাই দুপুরে খাদ্য তালিকায় অন্যান্য খাবারের সাথে ডাল রাখবেন।

টক দইঃ দুপুরের খাবারে টক দই রাখতে পারেন। টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে উপকারী জীবাণু রয়েছে।

মুরগির মাংসঃ এছাড়াও দুপুরের খাবারে মুরগির মাংস রাখতে পারেন। এটি একটি আমিষ জাতীয় খাবার। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী ও প্রয়োজনীয়।

বাদামঃ মোটা হওয়ার জন্য বাদাম খাওয়া জরুরি। বাজারে অনেক রকম বাদাম পাওয়া যায় যেমন কাজু বাদাম, চিনা বাদাম,পেস্তা বাদাম ইত্যাদি। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এছাড়াও রয়েছে ওমেগা ৬ ফ্যাট। যা মোটা হতে অনেক সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ চুল পড়া রোধে মেহেদী পাতার ব্যবহার - চুলের যত্নে মেহেদি পাতার উপকারিতা

এছাড়াও মোটা হওয়ার জন্য আপনি আখরোট, তিল, মধু, নানা ধরনের বীজ যেমন কুমড়ার বিচি, সূর্যমুখীর বিচি, তিসির বিচি ইত্যাদি খেতে পারেন। এগুলো খুব সহজেই ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এগুলো খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই যখন তখন খাওয়া যাবে। আমি মোটা হবো কিভাবে রাতের খাবার তালিকায় সকালে দুপুরের খাবারের ভেতর থেকেই রাখতে পারেন। খাবারের পাশাপাশি বেশি করে পানি খেতে হবে। কারণ পানি আমাদের দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পানি কম খাবার ফলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। মোটা হওয়ার জন্য অবশ্যই বেশি পরিমাণে পানি খেতে হবে। 

মোটা হওয়ার সহজ উপায়

অনেকেই মোটা হওয়ার জন্য একদম সহজ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে চায়। আমি মোটা হবো কিভাবে এর সমাধানে সহজ কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে পারলে আপনি মোটা হতে পারবেন। মোটা হওয়ার জন্য কিছু সহজ উপায় আছে। যেগুলো জানলে আপনি উপকৃত হতে পারেন। মোটা হওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে–

আমি-মোটা-হবো-কিভাবেবেশিবার খাবার খাওয়াঃ আমরা সাধারণত দৈনিক তিনবার খাবার খেয়ে থাকি। সকালে, দুপুরে এবং রাতে। এতে করে আমাদের প্রতিদিনের ক্ষুধা নিবারণ হয় ঠিকই কিন্তু যারা এই প্রশ্ন করে যে আমি মোটা হব কিভাবে তাদের পক্ষে এই তিনবার খেয়ে মোটা হওয়া হয় না। তাই মোটা হওয়ার জন্য দৈনিক ৫ –৬ বার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তিনবার ভারী খাবার খাওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত কয়বার হালকা খাবার খেতে পারেন। 

প্রোটিন ও ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি করাঃ  মোটা হওয়ার জন্য আমাদের শরীরে প্রোটিন ও ক্যালরির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই প্রতিদিন বেশি পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালরি যুক্ত খাবার খেতে হবে। দৈনিক ৬– ৭০০  ক্যালোরি খেতে হবে। এবং বেশি করে প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ মোটা হওয়ার জন্য খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম করার ফলে শরীর থেকে ঘাম ঝরে যায় এবং প্রচুর খিদে হয়। আর আপনি যত খাবেন আপনার মোটা হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। 

টেনশন মুক্ত থাকাঃ অতিরিক্ত চিন্তা সাথে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। টেনশনের কারণে খাবারের প্রতি অরুচি দেখা যেতে পারে। তাই মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। 

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোঃ সুস্থ ও সবল স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অনেক অপরিহার্য। দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম প্রত্যেকটি শরীরের জন্য দরকার। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং আপনার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এর ফলে অনেক খাবার পরেও মোটা হওয়ার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই মোটা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। 

খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায়

খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায় এই প্রশ্নটা প্রায় অনেকের মাঝেই থেকে যায়। আমি মোটা হবো কিভাবে খেজুর খেলে মোটা হওয়া যায় কি না সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। খেজুর একটি অতি পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাবার। খেজুর মোটা হতে সাহায্য করে কিনা সেটা খেজুর খাওয়ার পরিমাণ এবং খাদ্য তালিকার উপর নির্ভর করে। খেজুর একটি পুষ্টিকর ফল হওয়ায় খেজুর খাওয়ার ফলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একজন ব্যক্তির মোটা হওয়ার জন্য কি পরিমানে খেজুর খাচ্ছে সেটা জানতে হবে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট, শর্করা ও ফাইবার।

যা পরিমাণ মতো খেতে পারলে মোটা হতে সাহায্য করবে। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ক্যালোরি থাকে ২৭৭। বেশি পরিমাণে খেজুর খেলে তখন আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হতে থাকে এবং মোটা হতে সাহায্য করে। তবে খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শুধুমাত্র খেজুর কখনো আপনার মোটা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব পূরণ করতে পারে না। খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি  খাদ্য তালিকায় অন্য সকল পুষ্টিকর খাবারগুলো যুক্ত করতে পারলে ওজন বাড়ানো সম্ভব। 

মোটা হওয়ার ব্যায়াম

অনেকেই ভাবতে পারেন যে রোগা হওয়ার জন্য মানুষ ব্যায়াম করে অথবা শরীর ফিট রাখার জন্য ব্যায়াম করে। তবে শুনে অবাক হতে পারেন যে মোটা হওয়ার জন্যও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম আছে যেগুলো নিয়মিত করতে পারলে পাশাপাশি পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেলে মোটা হওয়া যায়। আমি মোটা হবো কিভাবে এর সমাধান যদি আপনি খুজতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম করতে হবে। মোটা হওয়ার জন্য বেশ কিছু ব্যায়াম রয়েছে। যেমন-

স্কোয়াটসঃ এই ব্যায়াম করার ফলে পায়ের হ্যামস্ট্রিং এর  পেশী মজবুত হয়। এই ব্যায়াম প্রতিদিন ৩ সেট করে ৫ বার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত এই ব্যায়ামটি করার ফলে ওজন বাড়ানো যেতে পারে। 

বেঞ্চ প্রেসঃ এই ব্যায়াম টি করার ফলে কাধ, বুক ও পেশি মজবুত করার পাশাপাশি ট্রাইসেপের গঠন ও ঠিক রাখে। এজন্য প্রশিক্ষকরা এই ব্যায়াম টি করার জন্য পরামর্শ দেন। এই ব্যায়াম টি চিকন বেঞ্চের উপর শুয়ে দুই হাতে ভারী বস্তু নিয়ে করা হয়। নিয়মিত এই ব্যায়ামটি করার ফলে মোটা হওয়া যায়। 

সাইক্লিংঃ এই ব্যায়ামটি খুব জরে না করে আস্তে আস্তে করতে হবে যাতে শরীর থেকে বেশি ঘাম না ঝরে যায়।কারণ খুব জোরে করলে অনেক বেশি ইনকাম ঝরে। এই ব্যায়াম করার ফলে পায়ের উরু মোটা হয়।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ভার উত্তোলনঃ মোটা হওয়ার জন্য অন্য ব্যায়ামের পাশাপাশি ভার উত্তোলন করা যেতে পারে। এই ব্যায়াম করলে কাধ,কোমর ও দেহের সমস্ত পেশিগুলো মজবুত হবে। প্রথমদিকে বেশি ওজন না তুলে আস্তে আস্তে এটি বাড়াতে হবে। দিনে তিন থেকে পাঁচবার এটি করা যেতে পারে। 

পুল আপসঃ এই ব্যায়াম করার মাধ্যমে পিঠের পেশী মজবুত হয়। শক্ত কোন রড বা অন্য কিছু ধরে ঝুলে থাকার চেষ্টা করতে পারেন। এই ব্যায়ামটি তিন সেট করে পাঁচ বার অভ্যাস করুন। 

নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এই ব্যায়ামগুলো করতে পারলে খুব সহজে মোটা হওয়া যায়।

লেখক এর শেষ কথাঃ আমি মোটা হবো কিভাবে-কয়েকটি কার্যকরী টিপস জেনে নিন

আমি মোটা হবো কিভাবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা জরুরী। একটি সুন্দর ও সুস্বাস্থ্য সবারই কাম্য। অতিরিক্ত মোটা যেমন সবার ভালো লাগেনা ঠিক তেমনি অতিরিক্ত রোগাও ভালো লাগেনা। তাই যারা রোগা তারা চাই মোটা হতে। কিন্তু অনেকে জানে না যে মোটা হওয়ার জন্য কি কি করতে হবে, কি কি খেতে হবে ইত্যাদি। এজন্য অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে কিভাবে মোটা হওয়া যায়। মোটা হওয়ার জন্য বেশ কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। 

নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে পারলে তবেই আপনি মোটা হতে পারবেন। আমি আমার আর্টিকেলে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও মোটা হওয়ার কিছু কার্যকর টিপস সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজন দের মাঝে আর করে দেন যাতে তারা উপকৃত হতে পারে। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url