গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কি আপনি জানতে চাচ্ছেন? যদি আপনি এ সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার যত উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তা বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। 
গর্ভাবস্থায়-মিষ্টি-কুমড়া-খাওয়ার-উপকারিতা-ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থার সময় টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় সকলে অনেক সাবধান থাকে। সবাই চায় গর্ভের শিশুর যেন সঠিক  বিকাশ ঘটে। তাই সকলেই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে থাকে। তেমনি একটি পুষ্টিকর উপাদান হলো মিষ্টি কুমড়া। চলুন এবার গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়ার যাবতীয় উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক 

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন  

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় সকলেই নানা ধরনের পুষ্টিকর ফলমূল শাকসবজি খেয়ে থাকেন। ঠিক তেমনি একটি পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর মিষ্টি কুমড়া। মিষ্টি কুমড়ার অনেক উপকার রয়েছে পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এই সবজিটা যারা খান না অথবা পছন্দ করেন না তারা এর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হলো–
  • হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে -- মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে এবং শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে ফলে হৃদরোগ বাসা বাঁধতে পারে না। হৃদ রোগ থেকে রক্ষা পেতে মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। 
  • চোখের জন্য উপকারি -- অনেকের চোখে সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু তারা জানে না যে মিষ্টি কুমড়া খেলে চোখের জন্য কতটা উপকার হয়। কারণ মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে বিটা–করোটি, আলফা–করোটিন এর মত ক্যারোটিনয়েড যা চোখকে ভালো রাখতে অনেক সাহায্য করে থাকে। এক কাপ রান্না করা মিষ্টি কুমড়া চোখের জন্য অন্যান্য খাবারের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি কাজ করে বলে ধারণা করা হয়। 
  • চুল ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে -- গর্ভাবস্থায় দেখা যায় অনেকের চুল পড়ে যায় এবং ত্বক নষ্ট হয়ে যায়। যাদের এরকম সমস্যা হয় তারা নিঃসন্দেহে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন। কারণ মিষ্টি কামড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি। এই ভিটামিন এ ও সি চোর এবং চুল এবং ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি কুমায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে -- মিষ্টি কুমড়ায় ক্যালরি তুলনায় ফাইবারে পরিমাণ বেশি থাকাই এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা গর্ভাবস্থায় মোটা হতে চান না তারা মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন কারণ মিষ্টি কুমড়ায় থাকা পটাশিয়াম দেহের বাড়তি চর্বি কমাতে সাহায্য করে। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে -- গর্ভাবস্থায় যাদের কষ্ট করে নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় তারা দিতে পারেন কারণ মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। হজম শক্তি বাড়লে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরিত্রান মুক্তি পাওয়া যায়।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে -- মিষ্টি কুমড়া খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে যায়। কারণ মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে কুমড়া খেলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে না।
  • বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে -- বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। বয়স্ক মহিলাদের ত্বকে মেসতার মত দাগ ও ছাপ দেখা যায়। কারণ মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে আলফা হাইড্রোক্সাইড এবং জিংক। যার ফলে মিষ্টি কুমড়া খেলে মানুষের ত্বকে বয়সের ছাপ বা দাগ পড়তে দেয় না। তাই যারা ত্বক কে ভালো রাখতে চান তারা মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অভ্যাস করুন।

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবে কি 

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবে কি না। গর্ভাবস্থায় অবশ্যই মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবে। কেননা এই মিষ্টি কুমড়া অতি পুষ্টিকর একটা সবজি। মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ফাইবার, লৌহ ও জিংক। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, বিটা ক্যারেটিন, ক্যারটিনয়েড ও ক্যালোরি। মিষ্টি কুমড়াতে প্রতি ১০০ গ্রামে ২৬ ক্যালোরি থাকে।
মিষ্টি কুমড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ হওয়ায় গর্ভাবস্থায় এটি অতি পুষ্টিকর একটি সবজি। গর্ভাবস্থায় নিঃসন্দেহে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবে কারণ মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এত পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি গর্ভাবস্থায় খেলে অনেক উপকার বয়ে আনে। গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খেলে যেমন নারীরা উপকার পায় ঠিক তেমনি গর্ভের বাচ্চারও অনেক উপকার হয়। অনেকে প্রশ্ন করে থাকে গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবে কিনা।

আমি তাদের বলতে চাই আপনি নিঃসন্দেহে গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন। অতিরিক্ত কোন কিছুই তেমন ভালো না তেমনি গর্ভাবস্থায় সবকিছু পরিমাণ মতো খাওয়া লাগে। গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবে তবে মাত্রাতিরিক্ত খেলে আবার সমস্যা হতে পারে তাই যারা গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খেতে চান তারা নিয়ম মত খেলে আপনাদের সহ গর্ভের বাচ্চারও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারে আসবে।       

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অপকারিতা

আমরা এতক্ষণ জানলাম গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা। চলুন এখন আমরা গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। সাধারণত গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার তেমন কোনো অপকারিতা নেই। তবে পরিমাণের অতিরিক্ত যখন খাওয়া হবে তখন নানা ধরনের জটিলতা বা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মিষ্টি কুমড়া ক্যালরি পরিমাণ খুব সামান্য থাকে এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় যারা মোটা হওয়া এড়াতে চান তারা মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি তোমরা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ। অতিরিক্ত মাত্রায় বা নিয়মের বাইরে মিষ্টি কুমড়া খেলে শরীরে ভিটামিন এ এর পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। আবার যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তারা অধিক পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মিষ্টি কুমড়ার এত উপকারিতা জেনে মিষ্টি কুমড়া খেতে গেলেই হবে না। কারণ আপনার শরীরে যদি এলার্জি থাকে তাহলে উপকারের বিপরীতে এলার্জির কারণে আপনার শরীরে চুলকানি ফোলা ভাব এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।পারলে খুব অল্প পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খাবেন। পরিমাণের বেশি মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর মিষ্টি কুমড়া খাবেন। এরপর ডাক্তার যদি মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার পারমিশন দেয় তখন খাবেন তার আগে নয়।

মিষ্টি কুমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে

অনেকের মনে মিষ্টি কুমড়া নিয়ে আরো একটি প্রশ্ন থাকে যে মিষ্টি কুমড়া খেলে ওজন বাড়ে কি না। আমরা সাধারণত জানি মিষ্টি কুমড়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে  যা ওজন কমাতে এই উপাদানটি অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই ওজন কমানোর জন্য মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন এতে কোন সমস্যা নাই। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে মিষ্টি কুমড়ায় অধিক পরিমাণে ফাইবার থাকলেও অল্প পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। অতিমাত্রায় মিষ্টি কুমড়া খেলে ওজন কমানোর বদলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। যারা ওজন কমাতে চান তারা পরিমাণ মতো মিষ্টি কুমড়া খাবেন। মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ভিটামিন এবং খনিজ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। 

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানা যেমন জরুরী তেমনই মিষ্টি কুমড়ার ব্রিজের উপকারিতা ও সম্পর্কেও জানা জরুরী। মিষ্টি কুমড়া একটি পুষ্টিকর সবজি হওয়ায় আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে মিষ্টি কুমড়ার যে বীজ রয়েছে সেটাও মিষ্টি কুমড়ার চাইতে কম উপকারি নয়।
মিষ্টি কুমড়ার বীজেও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রোটিন। মিষ্টি কুমড়ার এই বীজ আমরা না খেয়ে ফেলে দিয়ে থাকি। মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা গুলো সবাই জানলে কেউ আর আবর্জনার সাথে ফেলে দিবে না। এই বীজ আমাদের দেহের অনেক উপকার করে। মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারগুলো নিচে দেওয়া হলো–
  • রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে -- মিষ্টি কুমড়ার বীজে থাকা ভিটামিন ই, জিংক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আর শরীরের ইমিউনিটি ঠিক থাকলে রোগ প্রতিরোধ অনেক সহজ হয়ে যায়। 
  • হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে -- মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়কে শক্ত ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে -- মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। এই ম্যাগনেসিয়াম রক্তে সরকারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা তারা এই মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। মিষ্টি কুমড়ার বিষ খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকতে সাহায্য করে।
  • হৃদ যন্ত্র ভালো রাখে -- মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যার কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। 
  • ভালো ঘুম হয় -- মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড। ভালো মানের ঘুম হতে এই এসিড সাহায্য করে থাকে। 

গর্ভাবস্থায় চাল কুমড়া খাওয়া যাবে কি

এতক্ষণ তো আমরা জানলাম গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তবে এবার আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় চাল কুমড়া খাওয়া যাবে কি না। এবং চাল কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা আছে কি না। গর্ভাবস্থায় চাল কুমড়া খাওয়া যাবে এতে কোন সমস্যা নেই। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি গর্ভাবস্থায় চাল কুমড়া খাওয়ারও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় চাল কুমড়া খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, হজমে সাহায্য করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, ক্যান্সার প্রতিরোধে এটা করে, হার্টের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। চাল কুমড়াতে এত উপকারিতা থাকার কারণে নিঃসন্দেহে গর্ভাবস্থায় চাল কুমড়া খাওয়া যাবে। তবে চাল কুমড়া খেতে হলে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এমনিতে চাল কুমড়া খাওয়ার কোন অপকারিতা নেই তবে যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তারা চাল কুমড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
কারণ যাদের এলার্জি রয়েছে তারা চাল কুমড়া খেলে তাদের শরীরে এলার্জি আরও বেশি হতে পারে। এছাড়াও যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তারা চাল কুমড়া খেলে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, ফোলা ভাব ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।আবার চাল কুমড়া অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত চাল কুমড়া খেলে ওজন বাড়া ছাড়াও ডায়াবেটিস এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এর সমস্যার শঙ্কা বাড়তে পারে। আবার অতিরিক্ত কাঁচা এবং পচা চালকুমড়া খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে ডায়রিয়া জ্বর সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে চাল কুমড়া খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় ডাক্তাররা সবসময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তেমনি একটি পুষ্টিকর সবজি মিষ্টি কুমড়া। ডাক্তাররা গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেকে মিষ্টি কুমড়ার গুনাগুন সম্পর্কে জানে আবার অনেকে জানে না। মিষ্টি কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এবার আসি মিষ্টি কুমড়া কিভাবে খাবেন। মিষ্টি কুমড়া বেশ কয়েকভাবে খাওয়া যায়। যেমন–
  • মিষ্টি কুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। মিষ্টি কুমড়া যেহেতু একটি পুষ্টিকর সবজি হিসেবে পরিচিত তাই প্রায় অনেকেই রান্না করে খেয়ে থাকে। তাহলে এটা মিষ্টি কুমড়ার সাথে অন্যান্য সবজি রান্না করে অনেকে খেয়ে থাকে। আপনি যেভাবে চান সেভাবেই রান্না করে খেতে পারবেন।
  • মিষ্টি কুমড়া ভর্তা করেও খাওয়া যায়। অনেকেই মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা অনেক পছন্দ করে। মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা বানানোর জন্য প্রথমে মিষ্টি কুমড়া কে সিদ্ধ করে তারপর কাঁচা বাঁ শুকনা মরিচ দিয়ে তার সাথে লবন ও তেল মিশিয়ে একসাথে মিক্স করতে হবে। মিষ্টি কুমড়া যাদের সাথে মিষ্টি লাগে তারা চাইলে এভাবে ঝাল ঝাল ভর্তা করে খেতে পারেন।
  • মিষ্টি কুমড়া জুস করেও খাওয়া যায়। অনেকে এই মিষ্টি কুমড়া জুস করে খায়। গর্ভবতী নারীরা অনেকেই মিষ্টি কুমড়ার জুস পছন্দ করে। 
  • মিষ্টি কুমড়া এই কয়েকটি উপায়ে খাওয়া যায়। এরমধ্যে আপনার যেভাবে খেতে ভালো লাগে সেভাবে খেতে পারেন। 

লেখক এর শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন 

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গর্ভাবস্থায় একজন মাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। কেননা তার সাথে আরেকজনের বাড়তি দায়িত্ব থাকে। গর্ভাবস্থায় মাকে যেমন সুস্থ থাকতে হয় তেমনি বাচ্চার ও স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে হয়। এজন্য গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। তেমনই একটি পুষ্টিকর সবজি হল মিষ্টি কুমড়া। মিষ্টি কুমড়া একটি অতি পুষ্টিকর সবজি হওয়ায় অনেকেই এই সবজিটি খেয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খেলে মায়ের সাথে সন্তানের স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটে।

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অল্প কিছু অপকারিতা রয়েছে যেগুলো আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমার এই আর্টিকেলে আমি গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার যত উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমার এই আর্টিকেল টি নিয়ে পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবত বা আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে শেয়ার করে দেন। যাতে আপনার বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনরাও এই আর্টিকেল পরে উপকৃত হতে পারে। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url