বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার ১০ টি কার্যকরী উপায়

১০০% রিয়েল অনলাইন ইনকাম বিডি পেমেন্ট বিকাশবাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে কি আপনি জানতে ইচ্ছুক? আপনি যদি বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করার উপায় জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে এ পোস্টটি আপনার জন্য। ছাত্র অবস্থায় আয় করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বাংলাদেশে-ছাত্র-অবস্থায়-টাকা-আয়-করার-উপায়
প্রত্যেকেই চাই ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করতে। তবে ছাত্র অবস্থায় আয় করার উপায় সম্পর্কে কয়জনই বা জানে। তাই এই পোস্টটির মাধ্যমে বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার যাবতীয় উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার উপায়

বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার উপায়

বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। তবে অনেক শিক্ষার্থীই জানে না যে বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় কিভাবে টাকা আয় করতে হয়। ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করতে কে না চায়।উন্নত দেশগুলোতে সবাই ছাত্র অবস্থায় থেকেই নিজের খরচ নিজে চালানোর চেষ্টা করে। এতে করে তাদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তবে বাংলাদেশে এমনটা দেখা যায় না কারণ বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় পড়াশোনা শেষ করা লোকজনরাই চাকরি পেতে হিমশিম খায়। তাছাড়া ছাত্র অবস্থায় টাকা  আয় করা সম্পর্কে সঠিক ধারণার অভাবে ছাত্ররা টাকা আয় করতে পারে না। তবে অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ছাত্র অবস্থায় টিউশন, ফ্রিল্যান্সিং, ব্যবসা, রাইড শেয়ারিং ইত্যাদি করে ছাত্র অবস্থায় আয় করছে। ছাত্র অবস্থা থেকেই সকলেই চিন্তা করে কিভাবে টাকায় করা যায়।

সকলেই পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি যে কোন প্রয়োজনে খরচ করার জন্য ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার চিন্তা-ভাবনা করে থাকে। তবে টাকা আয় করার মাধ্যমগুলো সম্পর্কে অনেকের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে এবং সঠিক নির্দেশনার অভাবে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করতে পারছে না। বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় একজন শিক্ষার্থী কি কি উপায়ে অথবা কি কি কাজ করে টাকা আয় করতে পারবে তা সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

ছাত্র অবস্থায় টিউশনি করে টাকা আয় করার উপায়

ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার খুব সহজ একটি মাধ্যম হল টিউশনি করে টাকা আয় করা। ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার কথা চিন্তা করলে প্রথমে সবারই টিউশনি করে আয় করার কথা মাথায় আসে। টিউশনি করে খুব সহজেই মাস শেষে শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু টাকা আয় করতে পারবে। টিউশনি করে যেমন খুব সহজে টাকা আয় করা যায় তেমনি তার দক্ষতা ও বৃদ্ধি পায়। একজন শিক্ষার্থীর জন্য এসব দক্ষতার অনেক প্রয়োজন কেননা চাকরির পরীক্ষার সময় এসব দক্ষতা কাজে লাগে।

তবে বর্তমানে টিউশনি পাওয়া একটু কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা সকল শিক্ষার্থী চাই টিউশনি করে টাকা আয় করতে। কিন্তু সকলেই তো আর চাইলেই টিউশনি করাতে পারবে না। টিউশনি সম্পর্কে যে বেশি দক্ষ সেই পারবে টিউশনি করাতে। এজন্য টিউশনি করানোর আগে আপনাকে আপনাকে সেই বিষয়ে দক্ষ হতে হবে এই বিষয়ে আপনি অন্যদের টিউশনি করাতে চান। দক্ষ হওয়ার পর আপনি টিউশনের জন্য খোঁজ চালাতে পারেন।

টিউশনি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো এবং সহজ উপায় হচ্ছে বন্ধুবান্ধব বা বড় ভাইদের বলে টিউশনি ম্যানেজ করা। এভাবে যদি টিউশনি না পান তবে আপনি বিকল্প পথ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।এক্ষেত্রে টিউশনি পাওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে টিউশনির লিফলেট লাগিয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করাতে পারেন। লিফলেটে অবশ্যই আপনার নাম এবং ফোন নাম্বার এর সাথে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়টি উল্লেখ করে দিবেন। যার একজন টিউটরের দরকার হবে তখন সে আপনার সাথে যোগাযোগ করে টিউশনি সম্পর্কে আপনার সাথে কথা বলবে।

এছাড়াও আপনি টিউশন পাওয়ার জন্য টিউশন মিডিয়া গুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।এক্ষেত্রে টিউশন মিডিয়া গুলো আপনাকে কমিশনের মাধ্যমে টিউশন পাইয়ে দেবে। বাংলাদেশে বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য টিউশন মিডিয়া রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য টিউশন মিডিয়া গুলো হলো- বিডি টিউটর, কেয়ার টিউটর, ঢাকা টিউটর, হোম টিউটর জবস ইত্যাদি।আপনি চাইলে এই টিউশন মিডিয়াগুলোর সাথে যোগাযোগ করে টিউশন নিতে পারেন এবং টিউশনি করে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করতে পারেন।

ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়

ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং অনেক জনপ্রিয় একটি পেশা। কেননা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা। শুধুমাত্র ছাত্র অবস্থায় নয়, যে কোন অবস্থাতেই ফ্রিল্যান্সিং অনেক জনপ্রিয় এবং কার্যকরী একটি পেশা। ফ্রিল্যান্সিং বোঝায় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে নিজে থেকে মুক্তভাবে কাজ করে টাকা আয় করা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সাররা প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করছে।

আপনিও যদি ছাত্র অবস্থায় আয় করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য আয় করার একটি বড় মাধ্যম হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করতে আপনাকে আগে ফ্রিল্যান্সিং টা ভালোভাবে শিখতে হবে। কেননা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে যদি আপনার সঠিক ধারণা না থাকে এবং আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে না পারেন তাহলে ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে পারবেন না। ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে। যার সবগুলো সেক্টর থেকেই টাকা আয় করা যায় যদি সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান, দক্ষতা, ধৈর্য এবং সঠিক গাইডলাইন। তবেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার পূর্বে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে হবে। এরপরেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর যে সেক্টরে কাজ করতে ইচ্ছুক সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করার পরিকল্পনা করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে। যেমন- ইউটিউব মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এডসেন্স ব্লগিং, আর্টিকেল রাইটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি। অনলাইনে এইসব সেক্টরে কাজ করে সহজেই ইনকাম করা যায়। আপনি যদি কাজে দক্ষ হন তাহলে অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং থেকে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরে গিয়েও ইনকাম করা যায়।

মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করা যায়। এছাড়াও আপনি যদি দক্ষ হন তাহলে মার্কেটপ্লেস এর বাইরে গিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন মার্কেটপ্লেসে আপনার একটি একাউন্ট এবং কাজের পরিপূর্ণ দক্ষতা। কাজের দক্ষতা ছাড়া আপনাকে কেউ কাজ দেবে না। মার্কেটপ্লেস থেকে অনেকগুলো মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো ফাইবার, আপওয়ার্ক, পিপল আর আওয়ার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদি।

এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক কাজের ব্যবস্থা করা থাকে। এই মার্কেটপ্লেসে আপনি আপনার ক্লায়েন্টের সাথে সার্ভিস দেয়ার আগে আপনি আপনার কাজের দাম নির্ধারণ করতে পারেন। এসব কাজ বা গিগ সার্ভিস কমপ্লিট করে দেওয়ার পর আপনার ক্লায়েন্ট যদি আপনার কাজের প্রতি সন্তুষ্ট হয় তবেই আপনাকে টাকা দেবে। ফ্রিল্যান্সিং থেকে এভাবে মার্কেটপ্লেসে আয় করার জন্য আপনাকে হতে হবে অনেক দক্ষ, পরিশ্রমি এবং ধৈর্যশীল। এছাড়া আপনি টাকা আয় করতে পারবেন না।
আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেকোনো কাজের প্রতি পরিপূর্ণ দক্ষ হবেন তখনই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি এসব সেক্টরের কাজের প্রতি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে তো আপনি কাজ পাবেনই তবে যারা ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করতে চাই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানে না এবং কোন কাজ পারে না তাদের আগে কাজে দক্ষ হতে হবে। এসব কাজে দক্ষ হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কোন দক্ষতা সম্পন্ন আইটি বা ট্রেনিং সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ গাইডলাইন এবং লাইফটাইম সাপোর্ট। যেটা আপনি কোন দক্ষতা সম্পন্ন আইটি বা ট্রেনিং সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে এই গাইডলাইন এবং সাপোর্ট টা পাবেন। এজন্য আপনাকে দক্ষ ট্রেনিং সেন্টার বা ট্রেনার নির্বাচন করতে হবে। এবং আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে হবেে। তবে আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফল হতে পারবেন।

ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ই-কমার্স বিজনেস করে টাকা আয় 

ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার আরেকটি মাধ্যম হলো অনলাইনে ই-কমার্স বিজনেস করা। বর্তমানে এই কমার্স বিজনেস অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ই-কমার্স বিজনেসে যদি একবার সফল হওয়া যায় তাহলে তাহলে আপনাকে আর কে ঠেকায়। বর্তমানে এখন প্রচুর মানুষ ই-কমার্স বিজনেস এর সাথে জড়িত। বিজনেস সম্পর্কে আপনার যদি একটু ধারণা থাকে তাহলে ছাত্র অবস্থায় আপনি অনলাইনে ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পারেন। মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি কাজই প্রথম থেকে একটু কঠিন হয়ে থাকে। তবে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না।

আপনি যদি বিজনেস সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ধৈর্য সহকারে অনলাইনে ই-কমার্স বিজনেস চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইনে ই-কমার্স বিজনেস ক্রিয়েট করার জন্য প্রথমে আপনাকে ই-কমার্স শপ খুলতে হয় যেটা অনেক সহজ এবং জটিলমুক্ত। এছাড়া অনলাইনে বিজনেস করার জন্য আপনার কোন লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার জন্য আপনাকে এই ই-কমার্স বিজনেস সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে এই বিজনেস শুরু করার জন্য আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো থেকেই এই বিজনেস শুরু করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে পেজ খুলে সেখানে নানা ধরনের পণ্য এবং পণ্যের দাম দেখিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। বর্তমানে কুরিয়ার সার্ভিস এর জন্য অনলাইন বিজনেস অনেক সহজতর হয়ে উঠেছে।একটি পণ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দেয়ার জন্য কুরিয়ার সার্ভিস কাজ করে থাকে। ক্রেতারা খুব সহজেই যে কোন পণ্য কিনে কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্যটি নিতে পারে। পণ্য বিক্রির আগে যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দিলেই হয়ে যাবে। ছাত্র অবস্থায় এভাবে এই বিজনেস করে খুব সহজে টাকা আয় করা যাবে।

ছাত্র অবস্থায় পার্ট টাইম জব করে টাকা আয় করার উপায়

ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার উপায় গুলোর ভিতরে পার্ট টাইম জব একটি। পার্ট টাইম জব শিক্ষার্থীদের জন্য উপার্জন করার একটি ভালো মাধ্যম হতে পারে। শিক্ষার্থীরা সাধারণত পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তবে পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি অন্যান্য খরচের জন্যও শিক্ষার্থীদের টাকার প্রয়োজন পড়ে। এজন্য তারা ছাত্র অবস্থায় থেকেই টাকা আয় করার চিন্তাভাবনা করে থাকে। ছাত্র অবস্থায় পার্ট টাইম জব করে টাকা আয় করা যায়।

শিক্ষার্থীরা যেহেতু তাদের সম্পূর্ণ সময় টুকু কাজের ভিতর দিতে পারবে না তাই অল্প কিছু সময় বের করে সেই সময়টুকুতে পার্ট টাইম জব বা খন্ডকালীন চাকরি করতে পারে। পার্ট টাইম জব সাধারণত কোন অফিস, দোকান, রেস্টুরেন্ট কিংবা যেকোনো জায়গায় করা যায়।এই পার্ট টাইম যাবে শিক্ষার্থীদের কয়েক ঘন্টা সময় দিতে হয়। তবে পার্ট টাইম জবের বেশ কিছু ঝামেলা এবং অসুবিধা রয়েছে। যেহেতু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি এই পার্ট টাইম জব টা চালিয়ে যেতে হয় তাই এই কাজটা শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করতে পারে।
বাংলাদেশে-ছাত্র-অবস্থায়-টাকা-আয়-করার-উপায়
এছাড়া পরীক্ষার সময় যেহেতু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপটা অনেক বেশি থাকে সেই সময় এই পার্ট টাইম জব এর জন্য পড়াশোনা ক্ষতি হতে পারে। যে সময় টুকু একজন শিক্ষার্থী তার জবে সময় দেবে সেই সময়টুকু তার পড়াশোনার পেছনে ব্যয় করলে তার রেজাল্ট আরো ভালো হতে পারে। একজন শিক্ষার্থীর তার পড়াশোনার উপর বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তবে যদি পার্ট টাইম জব টা যদি তার জন্য খুব জরুরী এবং আবশ্যক হয় তবে সে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করতে পারে। পার্ট টাইম জব করে একজন শিক্ষার্থী খুব সহজে টাকা আয় করতে পারবে।

ছাত্র অবস্থায় খাবার ডেলিভারি করে টাকা ইনকাম

একজন শিক্ষার্থী ছাত্র অবস্থায় খাবার ডেলিভারি করে টাকা আয় করতে পারে। বর্তমান সময়ে অনেক লোকজন খাবার ডেলিভারির কাজ করে।একজন শিক্ষার্থী চাইলে ছাত্র অবস্থায় আয় করার জন্য খাবার ডেলিভারির এই কাজটি বেছে নিতে পারে। পড়াশোনা পাশাপাশি কয়েক ঘন্টা হাতে রেখে যদি কোন শিক্ষার্থী এই কাজটি করতে পারে তাহলে ছাত্র অবস্থায়ই টাকা আয় করতে পারবে। বর্তমান সময়ে খাবার ডেলিভারি করার কাজটি বেশ প্রচলিত রয়েছে। যদি আপনি খাবার ডেলিভারির কাজ করতে চান তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির খাবার ডেলিভারির কাজ করতে পারেন।

তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক খাবার ডেলিভারির কোম্পানি রয়েছে সেগুলোতেও কাজ করতে পারেন। অনলাইন থেকে গ্রাহক খাবারের যে অর্ডারগুলো করবে সেই খাবারগুলো আপনাকে কোম্পানির কাছে থেকে নিয়ে সময়মতো গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার ডেলিভারির কাজ।সঠিক সময়ে এবং ভালো খাবার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়াতে ডেলিভারি ম্যানরা অতিরিক্ত টিপসও পেয়ে থাকে। খাবার ডেলিভারির কাজ করার জন্য আপনাকে আগে এই কাজটি খুজে পেতে হবে।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি কোম্পানি ডেলিভারি ম্যান নিয়োগ দিয়ে থাকে।আপনি যদি এই কাজটি করতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক সময় আপনাকে তাদের কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ডেলিভারি ম্যান এর এই কাজটা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর কোম্পানির নির্দেশ অনুযায়ী যে কোন একটি সময়ে অর্থাৎ শিক্ষার্থী যে সময়ে কাজটি করার জন্য ইচ্ছুক সেই সময়ে ডেলিভারি ম্যান এর এই কাজটি করে যেতে হবে। খাবার ডেলিভারির এই কাজটি করে শিক্ষার্থীরা ছাত্র অবস্থায় খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারে।

ছাত্র অবস্থায় ফুটপাতে খাবার বিক্রি করে টাকা আয়

ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার আরেকটি ভালো মাধ্যম হচ্ছে ফুটপাতে খাবার বিক্রি করে টাকা আয় করা। শিক্ষার্থীরা ফুটপাতে বিভিন্ন রকমের খাবার বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারে। প্রতিদিনের একটি সময় যেমন বিকেল অথবা সন্ধ্যায় ফুটপাতের ধারে মুখরোচক খাবার বিক্রি করে বেশি ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারে। বর্তমান সময়ে অনেকজন ফুটপাতে খাবার বিক্রি করে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করছে।

একজন স্টুডেন্ট অবস্থায় যদি আপনি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ফুটপাতে খাবার বিক্রির এই অপশনটি আপনার জন্য। আপনি চাইলে বেশ কিছু অর্থ নিয়ে ফুটপাতে ছোটখাটো একটি খাবারের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ফুটপাতের মুখরোচক খাবার গুলো অনেক জনপ্রিয় এবং এ থেকে বেশ ভালো পরিমাণে আয় করা সম্ভব। আপনি যদি জনপ্রিয় কিছু খাবার দিয়ে শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই এমন কিছু খাবার দিয়ে ফুটপাতের দোকান শুরু করবেন যেগুলো জনপ্রিয় এবং মুখরোচক।

ফুটপাতের দোকানে আপনি বেশ কিছু খাবার বিক্রি করতে পারেন যেমন ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি, হালিম ইত্যাদি আরো নানা ধরনের খাবার। কেননা ফুটপাতে বিক্রি করা এসব খাবারগুলো অনেক বিক্রি হয়ে থাকে এবং মানুষজন এই খাবারগুলো খেতে অনেক পছন্দ করে। আপনি যদি হাইজেনিক মেইন্টেইন করে এই খাবারগুলো পরিবেশন করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন তাহলে ফুটপাতে এসব খাবার বিক্রি করে অনেক ভালো একটা ইনকাম করা সম্ভব।

ছাত্র অবস্থায় পশু পাখি পালন করে টাকা ইনকাম

ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার আরেকটি ভালো মাধ্যম হচ্ছে পশু পাখির খামার তৈরি করে সেখানে পশু পাখি পালন করে টাকা আয় করা।আপনি যদি ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করতে চান তাহলে পড়াশোনা পাশাপাশি আপনি এমন একটি খামার তৈরি করতে পারেন যেখানে কয়েক ধরনের পশু এবং কয়েক ধরনের পাখি থাকবে। আপনি কিছু টাকা পুঁজি করে কয়েকটি পশু এবং পাখি দিয়ে আপনার খামারের যাত্রা শুরু করতে পারেন।

পড়াশোনা পাশাপাশি খামারে এসব পশু এবং  পাখিদের দেখাশোনা এবং যত্ন নিলে বছর শেষে এ থেকে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন। আপনি খামারে কিছু পশু যেমন ছাগল, গরু,  ভেড়া ইত্যাদি এবং পাখির মধ্যে বিভিন্ন জাতের মুরগি, হাঁস, কোয়েল পাখি, টিয়া পাখি, ময়না পাখি ইত্যাদি আরো আকর্ষণীয় নানা ধরনের পাখি দিয়ে খামার শুরু করতে পারেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দেখবেন আপনি এগুলো থেকে বেশি লাভবান হতে পেরেছেন।

তাই আপনি যদি ছাত্র অবস্থায় পড়াশোনা পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে একটি পশু পাখির খামার করার পরিকল্পনা করতে পারেন।আপনি যদি ছাত্র অবস্থা থেকেই পশু পাখি  নিয়ে ইনকাম করতে পারেন এবং আপনার পশু পাখির খামারের প্রতি যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন হয়ে যায় তাহলে আপনি চাইলে আপনার খামারটাকে পরবর্তীতে আরো বড় করে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

ছাত্র অবস্থায় রেস্টুরেন্টে কাজ করে টাকা আয় করার উপায়

ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করা আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে রেস্টুরেন্টে কাজ করে টাকা আয় করা। আপনি যদি ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করতে চান তাহলে রেস্টুরেন্টের কাজটি বেছে নিতে পারেন। রেস্টুরেন্টে কাজ করার জন্য আপনাকে প্রত্যেক দিন একটি নির্দিষ্ট সময় রেস্টুরেন্টে ব্যয় করতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় যদি আপনি রেস্টুরেন্টে ব্যয় করতে পারেন তাহলে মাস শেষে এই কাজ করে আপনি বেশ কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন রেস্টুরেন্টে কাজ করতে গিয়ে আপনার পড়াশোনা ক্ষতি না হয়। এজন্য আপনি রেস্টুরেন্টে পুরো সময় কাজ না করে অল্প কিছু সময় কাজ করার চুক্তি করতে পারেন। তাহলে আপনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন এতে কোন সমস্যা হবে না এবং রেস্টুরেন্টে অল্প কিছুক্ষণ কাজ করেই মাস শেষে কিছু টাকা আয় করতে পারবেন যেটা আপনার পড়াশোনার খরচ চালাতে অনেক সাহায্য করবে। তাই আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে কিছু সময় ব্যয় করে কাজ করতে পারেন তাহলে ছাত্র অবস্থায় আপনি রেস্টুরেন্টে কাজ করতে পারেন।

একজন শিক্ষার্থীর জন্য চাকরি পাওয়া কঠিন কেন

বর্তমান সময়ে একজন শিক্ষার্থীর জন্য চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শুধুমাত্র বইয়ের জ্ঞানের উপর প্রকাশ দেওয়া হয় যে কারণে তারা ব্যবহারিক কাজের সুযোগ তেমন পায় না এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেও না। একটি কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাধারণত একজন অভিজ্ঞ এবং যোগ্য ব্যক্তি চাকরি দিয়ে থাকে এবং অভিজ্ঞ প্রার্থী নিতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে।
বাংলাদেশে-ছাত্র-অবস্থায়-টাকা-আয়-করার-উপায়
সুতরাং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক কাজের প্রতি পর্যাপ্ত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন না করানোর কারনে  তারা চাকরি পেতে হিমশিম খায়। একটি চাকরির জন্য শুধুমাত্র বইয়ের জ্ঞানই যথেষ্ট নয় এর সাথে প্রয়োজন বাহ্যিক জ্ঞান এবং কাজের অভিজ্ঞতা। ছাত্র জীবন থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে একজন শিক্ষার্থীর জন্য চাকরি পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই শিক্ষার্থীরা যদি ছাত্র জীবন থেকে বিভিন্ন কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে তাহলে চাকরির জন্য অনেক সহজ হবে।

এজন্য শিক্ষার্থীদের শুরু থেকেই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান লাভ করতে হবে। জ্ঞান লাভ এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীরা ক্লাবে যোগদান করতে পারে যেখানে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ হয়। ক্লাবে যোগদান করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করা যায়। এজন্য শিক্ষার্থীদের তাদের ক্যারিয়ারের সাথে মানানসই একটি ক্লাব বেছে নিতে হবে যাতে করে তাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সুবিধা হয়।

লেখকের শেষ কথাঃ বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার উপায়

বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের জ্ঞান লাভ করা জরুরী। কেননা প্রত্যেকেই ছাত্র জীবন পার করে এসছেন এবং ছাত্র জীবনে পা রাখবেন। ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা আয় করার জন্য বাংলাদেশে বেশ কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো যেগুলো সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলে ছাত্র অবস্থায় থেকে টাকায় করা সম্ভব। তবে একটা জিনিস রাখতে হবে ছাত্র অবস্থায় প্রত্যেকটি কাজের জন্যই তাকে কিছু না কিছু সময় বের করে নিতে হবে।

পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতে চাইলে অবশ্যই কাজের পিছনে কয়েক ঘন্টা তাকে সময় দিতে হবে।পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের জন্য যদি কিছু সময় ব্যয় করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ছাত্র অবস্থায় থেকে টাকা আয় করা সম্ভব। প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমি বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় টাকা আয় করার বেশ কিছু কার্যকরী উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হন এবং ছাত্র অবস্থা থেকেই টাকা আয় করতে চান তাহলে উপরের আলোচনাগুলো গুরুত্ব সহকারে পড়ুন এবং ছাত্র অবস্থা থেকেই টাকা আয় করুন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব অথবা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন যাতে করে আর্টিকেলটি পড়ে তারাও উপকৃত হতে পারে। এরকম আরো অন্যান্য বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url