জাফরান সাবান এর উপকারিতা ও অপকারিতা - জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম

ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে - ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়জাফরান সাবান এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কি আপনি জানতে ইচ্ছুক? আপনি যদি জাফরান সাবানের উপকারিতা এবং জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। জাফরান সাবানের যাবতীয় গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

জাফরান-সাবান-এর-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
শরীরকে সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখার জন্য অনেকে জাফরান সাবান ব্যবহার করে থাকে। জাফরান যেমন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী তেমনি জাফরান সাবান আমাদের শরীরকে উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। নিচে জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পেজ সূচিপত্রঃ জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা

জাফরান সাবান এর উপকারিতা

জাফরান সাবান আমাদের শরীরের এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেক কার্যকরী। জাফরান সাবান ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীর এবং ত্বক অনেক সুন্দর থাকে। জাফরান সাবান তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়ে। যেমন প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, আইরন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।এই সাবানে এত উপকারী উপাদান থাকাই সাবান আমাদের ত্বকের জন্য অনেক কার্যকরী। জাফরান সাবান যে কোন বয়সের মানুষ ব্যবহার করতে পারে। সাবান ব্যবহারের ফলে সৌন্দর্য বেড়ে যায়। জাফরান সাবান এর অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। চলুন সাবানের উপকারিতা গুলো জেনে নিই।
  • ত্বক গ্লো করে -- দৈনন্দিন জীবনের নানা ব্যস্ততা এবং ত্বকের অযত্নের কারণে ত্বকের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। নানা ধরনের সাবান ব্যবহার করেও দেখা যায় যে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরে আসে না অথবা ত্বক গ্লো করে না। ত্বকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে জাফরান সাবানের তুলনা নেই। প্রতিদিন মুখ ধোয়ার সময় অথবা গোসলের সময় এই জাফরান সাবান ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি ত্বক গ্লো করতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে -- আমাদের শরীরে ন্যায় আমাদের ত্বকেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার কারণে ত্বকের সৌন্দর্য এবং গ্লো হারিয়ে যায়। জাফরান সাবান ত্বকের এসব সমস্যা দূর করে এবং তাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে জাফরান সাবান অনেক কার্যকরী।
  • ত্বকের কালো দাগ দূর করে -- নানা ধরনের কর্মব্যস্ততায় বা রোদের কারণে অনেক সময় আমাদের ত্বক কালো হয়ে যায়। এছাড়া আমাদের ত্বকে ব্রণ হলে দেখা যায়, যেখানে যেখানে ব্রণ হয়েছিল সেখানে কালো কালো দাগ পড়ে যায়। জাফরান সাবান ব্রণের দাগ বা রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করে -- আমাদের ত্বকে অতিরিক্ত ময়লা জমা হওয়ার কারণে ত্বক কালো হওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়। এসব সমস্যা দূর করতে জাফরান সাবান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমস্যা দূর করার পাশাপাশি তোকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
  • ত্বক মসৃণ রাখতে সাহায্য করে -- আমাদের অনেকের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয় যে বয়স হওয়ার আগেই ত্বক কুঁচকে যায় বা বয়স্কের ছাপ পড়ে যায়। যার কারণে ত্বক অনেক রুক্ষ দেখায় এবং ত্বকের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। জাফরান সাবানের উপকারি উপাদানের ফলে এসব সমস্যা থেকে রক্ষা করে ত্বক কে মসৃণ ও মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের যাবতীয় কুঁচকে যাওয়া ভাজ দূর করে আবার ত্বকের কোষ গুলোকে পুষ্টি জুগিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

আসল জাফরান সাবান চেনার উপায়

জাফরান সাবান এর উপকারিতা ও অপকারিতা আসল জাফরান সাবান চিনতে অনেকে ভুল করে থাকে। যার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে জাফরান সাবান ব্যবহার করেও পর্যাপ্ত ফলাফল মেনে না। এর জন্য জাফরান সাবানের প্রতি ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে। যদি আপনি আসল জাফরান সাবান ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। আসল জাফরান সাবান চেনার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। চলুন আসল জাফরান সাবান চেনার উপায় গুলো জেনে নিই।

প্যাকেট যাচাই করেঃ আসল জাফরান সাবান চেনার প্রথম উপায় হচ্ছে ক্রয় করার সময় অবশ্যই সাবানের প্যাকেট ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। নকল জাফরান সাবানের প্যাকেট খুব অল্প দামের কিংবা সস্তা টাইপের হয়ে থাকে। আবার এই প্যাকেটে সাবানের উৎপাদন এবং মেয়াদের নির্দিষ্ট কোন তারিখ থাকে না। এছাড়াও অরিজিনাল বা আসল জাফরান সাবানের প্যাকেটে কিউ আর কোড থাকে যা নকল জাফরান সাবানের প্যাকেটে থাকে না। এছাড়াও আসল জাফরান সাবানের প্যাকেটে জাফরানের উল্লেখ থাকবে আর নকল সাবানের প্যাকেটে তা থাকবে না।

রং এবং গন্ধ পরীক্ষা করেঃ নকল জাফরান সাবান দেখতে আসল সাবানের চাইতে বেশি গাঢ় রঙের বা লাল বর্ণের হয়ে থাকে। কিন্তু যে সাবানটি আসল সেটি দেখতে হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। আসল জাফরানের সাবানে আসল জাফরানের প্রাকৃতিক একটা গন্ধ পাওয়া যায় যা নকল সাবানে থাকে না। তবে নকল সাবানে জাফরানের গন্ধ আনার জন্য কৃত্রিম উপায়ে অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়। এই গন্ধটা তীব্র হয়ে থাকে।
পানিতে মিশিয়েঃ আসল জাফরান সাবান চেনার জন্য একটি পরিষ্কার পাত্রে অল্প কিছু পানি নিয়ে তাতে জাফরান সাবানের একটু অংশ মিশিয়ে দেখুন। এবার লক্ষ্য করুন জাফরান সাবান থেকে যদি হলুদ রং বের হয় তাহলে এটি আসল। আবার যদি অধিক সময় ধরে গলতে দেখা যায় অথবা পানিতে মিশতে বেশি সময় লাগে তাহলে সেটি আসল জাফরান সাবান। আর যদি পানিতে দেওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি এটি গলে যায় এবং এটির রং হলুদের পরিবর্তে গাড়ো লাল বর্ণের হয়ে যায় তাহলে সেটি নকল জাফরান সাবান।
নকল জাফরান সাবান ব্যবহারের ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই কেনার আগে ভালো করে পরীক্ষা করে তারপর কিনুন।

জাফরান সাবান এর দাম

জাফরান সাবান এর উপকারিতা ও অপকারিতা বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জাফরান সাবান পাওয়া যায়। জাফরান  সাবানের দাম নির্ধারিত হয় কোন ব্র্যান্ডের সেটা বিবেচনা করে। বেশ কিছু ব্র্যান্ডের সাবান আছে যার দাম ভিন্ন ভিন্ন। জাফরান সাবান দোকানেও পাওয়া যায় আবার মার্কেট বা কোন অনলাইন পেইজেও পাওয়া যায়।
আবার বড় কোন সুপার শপেও এই জাফরান সাবানটি পাওয়া যাবে। দোকান থেকে কিনলে এক রকম দাম আবার মার্কেট বা পেইজ থেকে কিনলে আরেক দাম নিতে পারে। তবে আপনাকে দেখতে হবে সাবান টি আসল কি না, কম দামের কথা ভেবে কখনো নকল সাবান কিনবে না। নিচে কিছু জাফরান সাবানের দাম দেওয়া হলো-
  • Premium Handmade Saffron Soap - 80gm: এই জাফরান সাবান টি অর্গানিক স্টোর বিডি ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে। এরা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায় এই সাবানটি তৈরি করে থাকে।বাংলাদেশ ছাড়াও তাদের এই সাবানটি আমেরিকা এবং ফ্রান্সে বিক্রি হয়ে থাকে। ৮০ গ্রাম এই সাবানের দাম ৬৫০ টাকা।
  • Casprof Saffron Sope 108gm premium (Handmade): এই সাবানটি দারাজ থেকে পাওয়া যাবে। দারাজ থেকে এই সাবানটি যারা ক্রয় করেছে তারা অনেক ভালো রিভিউ দিয়েছে। এই ১০৮ গ্রাম সাবানের দাম ২৯৮ টাকা।
  •  Casprof Rose Saffron Sope- 108 gm Premium (Handmade): এই সাবানটি দারাজ এ পাওয়া যাবে। এই ১০৮ গ্রাম সাবানের মূল্য ২৯৯ টাকা।

জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম

জাফরান সাবান যেমন দোকানে বাজারে সুপারশপে বা পেইজে পাওয়া যায় তেমনি চাইলে বাড়িতে এই সাবান খুব সহজে বানানো সম্ভব। জাফরান সাবান এর উপকারিতা ও অপকারিতা বাড়িতে জাফরান সাবান বানানোর জন্য বেশকিছু নিয়ম ফলো করতে হবে তাহলেই আপনি বাড়িতে খুব সহজে জাফরান সাবান বানাতে পারবেন। চলুন সাবান বানানোর নিয়ম গুলো জেনে নিই।
  • প্রথমে আপনার লাগবে জাফরান। যেটা আপনি বাজারে কিংবা কোন পেইজে নিতে চাইলে পেয়ে যাবেন। প্রথমে জাফরান টাকে কাঁচা দুধে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। অনেকক্ষণ সময় ধরে ভিজিয়ে রাখলে জাফরানটা অনেক নরম হয়ে যায় এবং এর সঠিক উপকারিতা পাওয়া যায়।
  • এরপর আপনার যেটা লাগবে সেটা হল সোপ বেজ। এই সোপ বেজ আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেন। এই সোপ বেজ এর প্যাকেটের উপরে গট মিল্ক লেখা থাকবে। এই গট মিল্ক সোপ বেজ টা অনেক নরম আর মোলায়েম হয়ে থাকে। সাবান তৈরির জন্য একদম পারফেক্ট। এই সোপ বেজ গুলো কে টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
  • এরপর টুকরো করে কাটা এই সোপ বেজ গুলো একটি পাত্রে রেখে চুলাতে আরেকটি বড় পাত্রে পানি রেখে সোপ বেজ রাখা পাত্রটি তার উপরে দিয়ে গলিয়ে নিতে হবে। যতক্ষণ না পুরোপুরি গলবে ততক্ষণ এভাবে রাখতে হবে। ২-৩ মিনিট জ্বাল দিলেই এটা গলে যাবে।
  • চুলাতে থাকা অবস্থায় এরপর আগের ভিজিয়ে রাখা জাফরান গুলো এবার এখানে ঢেলে দিতে হবে।তারপর এতে অল্প একটু গ্লিসারিন দিয়ে দিতে হবে। এর সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে দিতে হবে। এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের জন্য অনেক উপকারি।
  • এগুলো দেয়া হয়ে গেলে খুব ভালোভাবে নেড়ে এক থেকে দেড় মিনিট চুলাতে রাখতে হবে। ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে তখন নামিয়ে নিতে হবে।
  • নামিয়ে নেওয়ার পর যেকোনো পাত্রে বা আপনি সাবানটির যেমন শেইপ দিতে চাচ্ছেন সেখানে ঢেলে দিন। বাড়িতে থাকা মগ, বাটি এ ধরনের যেকোনো পাত্রে আপনি রাখতে পারবেন। পাত্রে ঢালার পর উপর দিয়ে আরো কিছু জাফরান ছিটিয়ে দিলে সাবানটি দেখতে অনেক ভালো লাগবে। ঢেলে দেওয়ার এক ঘন্টা লাগতে হবে। এক ঘন্টা পর এটি ঠান্ডা হয়ে বসে যাবে। এবং একটি পূর্ণাঙ্গ সাবানের রূপ নেবে।
  • ঘন্টাখানেক পর যখন ঠান্ডা হয়ে বসে যাবে তখন পাত্র থেকে বের করে নিতে হবে। এর পরে আপনি সাবানটি ব্যবহার করতে পারবেন।

জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম

জাফরান সাবান এর উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা অনেকেই জাফরান সাবানের উপকারিতা সম্পর্কে জানলেও জাফরান সাবান ব্যবহারে নিয়ম সম্পর্কে জানি না।
জাফরান-সাবান-এর-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

উপরে এতক্ষণ জাফরান সাবানের উপকারিতা বানানো নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি এবার আলোচনা করব জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। কিভাবে ব্যবহার করলে জাফরান সাবানের পর্যাপ্ত উপকার পাওয়া যাবে। চলুন জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিই-
  • প্রথমে আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত সাবানটি বেছে নিতে হবে। জাফরান সাবান অনেক ধরনের হয়ে থাকে। শুষ্ক ও তৈলাক্ত ত্বকের ভিত্তিতে সাবান বাছাই করতে হবে।
  • ত্বকে জাফরান সাবান ব্যবহারের পূর্বে ত্বক অবশ্যই পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। সাবান দেয়ার পূর্বে তো ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার কারণ হচ্ছে আপনার ত্বকে থাকা সমস্ত ধুলাবালি ময়লা দূর হয়ে যাবে। এরপর সাবানটি ব্যবহার করতে হবে।
  • ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর সাবান ব্যবহার করতে হবে। সাবান ব্যবহার করার পূর্বে হাতে ভালোভাবে ঘষে সাবানের ফেনা তৈরি করে নিন। অথবা মুখে ঘষে পর্যাপ্ত ফেনা তৈরি করে নিতে পারেন। ত্বকে মাখার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে চোখ অথবা নাকের ছিদ্রের ভেতর সাবানের এই ফেনা না যায়।
  • ত্বকে সাবান লাগানোর পর হাত দিয়ে ভালোভাবে আস্তে আস্তে ডলতে হবে। যাতে ত্বকে থাকা যাবতীয় ময়লা দূর হয়ে যায়। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর আপনার ত্বক ভালো ভাবে মুছে নিন। এভাবে ত্বকে নিয়মিত জাফরান সাবান ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

জাফরান সাবানের অপকারিতা

জাফরান সাবান এর উপকারিতা ও অপকারিতা জাফরান সাবানের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই সবাই জাফরান সাবান ব্যবহার করে থাকে। তবে বেশ কিছু কারণে জাফরান সাবান ব্যবহারের ফলে উপকারে বদলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। এখন প্রশ্ন হতে আসতে পারে জাফরান সাবানের এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও জাফরান সাবানের কি অপকারিতা থাকতে পারে। চলুন জাফরান সাবানের অপকারিতা জেনে নিই।
জাফরান সাবান আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী তবে আপনি যদি সঠিক জাফরান সাবান বাচাই করতে না পারেন, যদি আপনি বাজারের কম দামে নকল জাফরান সাবান ব্যবহার করেন তাহলে তাতে থাকা রাসায়নিক কেমিক্যাল এর কারণে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। দামে কম দেখে এরকম জাফরান সাবান কখনো কিনবেন না। আসল জাফরান সাবান কেনার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন যাতে করে এই সাবান ব্যবহারের কারণে আপনার ত্বকের কোন ক্ষতি না হয়।

আবার বেশি উপকারের আশায় একদিনে অনেকবার এই সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। কেননা অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো না। বেশি সৌন্দর্যের আশায় যদি প্রতিদিন বেশি বার করে এই সাবান ব্যবহার করেন তাহলে উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জাফরান সাবানের যাবতীয় উপকারিতা পেতে উপরে নিয়মগুলো মেনে চলুন।

লেখকের শেষ কথাঃ জাফরান সাবান এর উপকারিতা ও অপকারিতা

জাফরান সাবান এর উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের জানা দরকার। জাফরান সাবানের অনেক উপকারিতা রয়েছে যা একটি পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। জাফরান সাবান আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখেন। সঠিক বা আসল জাফরান সাবান কিনতে পারলে এই সাবান থেকে আপনি অনেক উপকারিতা পাবেন। তবে যদি যাচাই না করে নকল জাফরান সাবান কেনেন তাহলে উপকারের বদলে ক্ষতি হবে। তাই যাচাই-বাছাই করে জাফরান সাবান কেনার চেষ্টা করুন। এই আর্টিকেলে জাফরান সাবানের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।

এছাড়াও আসল জাফরান সাবান চেনার উপায় এবং ঘরোয়া উপায়ে সাবান বাড়ানোর যাবতীয় নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করে দিন যাতে তারাও আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হতে পারে। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো নানা ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং উপকৃত হন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url