ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে - ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়
ঠোঁট গোলাপি করার ঘরোয়া উপায় - ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে এই সম্পর্কে কি আপনি জানতে ইচ্ছুক? আপনি যদি কোন
ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফাটে এবং ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান
তাহলে আপনি পোস্টটি আপনার জন্য। এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শীতকাল আসতে না আসতেই দেখা যায় ঠোঁট ফাটা শুরু হয়ে যায়। আবার কারো কারো গরমের
মধ্যেও অনেক সময় ঠোট ফাটতে দেখা যায়। কি কি কারনে ঠোট ফাটে এবং ঠোঁট ফাটা
কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পেজ সূচিপত্রঃ ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
- ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
-
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি
- ঠোঁট ফাটার কারণ কি
- গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ কি
- ঠোঁটের চামড়া উঠে কেন
- ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- ঠোঁট ফাটার ঔষধ
- লেখকের শেষ কথাঃ ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীরে নানা কারণে ঠোঁট ফাঁটতে পারে। তার
মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হলো পর্যাপ্ত ভিটামিনের অভাব। আমাদের শরীরে এমন কিছু
ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফাটা লক্ষ্য করা যায়। ভিটামিন ছাড়া কিছু উপাদানের
ঘাটতির কারণে ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়। ঠোট ফাটে কোন ভিটামিন বা পুষ্টি উপাদানের
অভাবে নিচে আলোচনা করা হলো-
- ভিটামিন বি -- ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ হলো ভিটামিন বি এর অভাব। ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোঁট ফাটে। ভিটামিন বি জাতীয় যেমন রাইবোফ্লাভিন(২), নিয়াসিন(৩), পাইরিডক্সিন(বি৬) কোবালামিন(বি১২) এর অভাবে ঠোঁট ফাটে। এছাড়াও শরীরে আরো কিছু পুষ্টি উপাদানের অভাবে ঠোঁট ফাটা দেখা দেয় যেমন-
- ভিটামিন সি -- ভিটামিন সি এর অভাবেও ঠোঁট ফাটা লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অনেক।
- আয়রন -- শরীরে ঘাটতি কারনে রক্তশূন্যতা ও ত্বক শুষ্কতা ছাড়াও বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়।ঠোঁট ফাটার অন্যতম একটি কারণ শরীরে আয়রনের অভাব।
- জিংক -- শরীরে জিংক এর অভাব দেখা দিলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সহ ঠোঁট ফাটার সমস্যাও দেখা দেয়। জিংক এমন একটি উপাদান যা শরীরের যেকোনো ক্ষত সারাতে সাহায্য করে থাকে।
- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড -- আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য সুন্দর ও ঠিক রাখার জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের শরীরে এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের ঘাটতির কারণে ঠোট শুকিয়ে যাওয়া ফেটে যাওয়ার মত দেখা দিতে পারে।
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সাধারণত শীত কালে ঠোঁট বেশি শুকিয়ে
যায় এবং ঠোঁট ফাটা লক্ষ্য করা যায়। কারণ শীতকালের আদ্রতা অনেক শুষ্ক হওয়ায়
এরকম ঠোঁট ফাটা দেখা যায়। নিচে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কয়েকটি কারণ সম্পর্কে
আলোচনা করা হলো-
- আবহাওয়ার অবস্থা -- প্রথমেই আসি আবহাওয়া নিয়ে। ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া কিংবা ঠোঁট ফাটা প্রধান কারণ হলো আবহাওয়া। শীতকালের আবহাওয়া সাধারণত ঠান্ডা এবং শুষ্ক হওয়ায় বাতাস বা সূর্যের আলোতে ঠোঁটের আদ্রতা কমে যায় যার ফলে ঠোঁট শুকিয়ে যায়। শীতকালের আবহাওয়া কিংবা ঠান্ডা বাতাসের কারণে শুধু ঠোঁট নয় বরং ত্বক ও শুকিয়ে যায়।
- ঠোঁটে বেশি মাত্রায় জিভ দেওয়া -- ঠোঁটে বেশি মাত্রায় জীভ দিলে তৎক্ষণাৎ ঠোঁট ভিজে থাকলেও অল্প কিছুক্ষণ পরে আবার শুকিয়ে যায়। ঠোঁটে লেগে থাকা এই লালা খুব কম সময়ে বাষ্পীভূত হয়ে যায় তাই খুব তাড়াতাড়ি ঠোঁট শুকিয়ে যায়।
- ডিহাইড্রেশন -- ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো ডিহাইড্রেশন। আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকার কারণে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এর কারণেও ঠোঁট শুকিয়ে যায়। ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পেতে আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে।
- পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাব -- আমাদের দেহের অনেক স্থানে ঘাম বের হয় যার কারণে সেখানে তেলতেলে দেখা যায়। কিন্তু ঠোঁটে এরকম কোন তেলগ্রন্থী না থাকায় ঠোঁট খুব সহজে শুকিয়ে যায়।
ঠোঁট ফাটার কারণ কি
ঠোঁট আমাদের শরীরের একটি অংশ এবং এটি আমাদের সৌন্দর্য বাড়ায়। তবে যখন কোন কারণে
ঠোঁট ফেটে যায় তখন নিজের কাছে অনেক অস্বস্তি লাগে এবং খারাপ দেখায়। ঠোঁট ফাটার
অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন-
- ঠান্ডা আবহাওয়া -- ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের শরীর অনেক শুষ্ক থাকে। আবহাওয়া ঠাণ্ডার কারণে ঠোঁট শুকিয়ে যায় এর কারণে ঠোঁট ফাটা লক্ষ্য করা যায়।
- শুষ্ক বাতাস -- শুষ্ক বাতাসের কারণে ঠোঁট ফাটা দেখা যায়। শীতকালে সাধারণত আবহাওয়া ঠান্ডা থাকার কারণে যখন বাতাস হয় তখন ওই বাতাসের কারণে শরীরে এবং শুষ্কতা দেখা যায়। ঠিক একই কারণে আর্দ্রতার অভাবে আমাদের ঠোট ফেটে যায়।
- সূর্যের আলোর কারণে -- শীতকালে আমাদের শরীরে সূর্যের আলো পড়লে খুব তাড়াতাড়ি ত্বক শুকিয়ে যায়। এর ফলে ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়।
- ঠোঁটে অতিমাত্রায় জিভ দেওয়া -- ঠোঁটে বারবার জিভ দেওয়ার কারণে ঠোটের আদ্রতা হ্রাস পায় এবং আবহাওয়া কিংবা ঠান্ডা বাতাসের কারণে এই ঠোঁট খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় এবং ঠোঁট ফেটে যায়।
- ধূমপানের কারণে -- ঠোট ফাটার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো ধূমপান করা। ধূমপান করলে যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয় তেমনি ধূমপানের ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। আপনি যখন ধূমপান করবেন ধূমপানের ধোয়া কিংবা আগুনের তাপের কারণে তখন আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা হারিয়ে যাবে আপনার ঠোঁট খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।
গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ কি
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে ঠোট ফাটা একটি অস্বস্তিকর এবং খুব বিব্রত বোধকর।
ঠোঁট ফাটার কারণে কারো সামনে যেতে অনেক বিব্রতকর লাগে। ঠোঁট ফাটা সাধারণত
বেশিরভাগ লক্ষ্য করা যায় শীতকালে। তবে অনেক সময় গরমের ভেতরেও অনেকের ঠোঁট
ফাটতে দেখা যায়। আমরা জানি যে সাধারণত শীতকালে ঠোঁটের যত্ন না নিলে ঠোঁট ফাটে।
কিন্তু অনেক সময় প্রচন্ড গরমের ভিতরে লক্ষ্য করা যায় যে অনেকে ঠোঁট নিয়ে
প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ভোগে। এর কারণ হলো ঠোঁট ফাটা। আবার অনেকের ঠোঁটের চামড়া ও
ওঠে তাও আবার এই গরমে। আবার গরম আরেকটি সমস্যা হল এমনিই প্রচণ্ড ঘাম বের হয়
তার উপর ঠোঁটে ক্রিম বা লিপ বাম লাগালে আরো বেশি অস্বস্তিকর লাগে। আমরা এখন
চিন্তা করতে পারি যে গরমের মধ্যেও কি করে ঠোঁট ফাটে। চলুন এবার জেনে নিই যে
গরমের মধ্যেও কি জন্য ঠোঁট ফাটে।
- আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় ঠোটের চামড়া অনেক নরম ও পাতলা হয়ে থাকে।যার কারণে ঠোঁট ফাটা দেখা যায়। তবে গরমের মধ্যেও ঠোঁট ফাটার কিছু কারণ রয়েছে। আমরা জানি যে সাধারণত শীতকালে ঠোঁট ফাটে তবে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শীতকালে এখন আর শীতকাল আর শীতকালের জায়গায় নেই ফলে এর একটা প্রভাব আমাদের শরীরের উপর পড়ছে। যার ফলে অসময়ে ঠোঁট ফাটতে দেখা যাচ্ছে।
- শরীরে পানির অভাবে ঠোঁট ফাটা দেখা দেয়। যারা খুব কম পানি পান করে থাকেন তাদের ত্বকের সাথে সাথে ঠোঁট ফাটা লক্ষ্য করা যায়। শরীরে পানির অভাবে আর্দ্রতা হারিয়ে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
- বাতাসে জলীয় বাসে পরিমাণ খুব বেশি হলে প্রচন্ড গরমের মাঝেও শরীরের অন্য ত্বকের সাথে ঠোঁট এর শুষ্কতা লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। এর মূল কারণ হলো ঠোঁটের চামড়া পাতলা ধরনের হয়ে থাকে তাই সহজেই ঠোঁট শুকিয়ে যাই এবং ঠোঁট ফেটে যায়।
- রোজায় থাকার কারণে ও ঠোঁট ফাটা লক্ষ্য করা যায়। রোজায় থাকলে দীর্ঘক্ষণ পানি পান না করার কারণে শরীর এবং ত্বক খুব সহজেই সুস্থ হয়ে যায় যার কারণে ঠোট ফাটা দেখা দেয়।
ঠোঁটের চামড়া ওঠে কেন
ঠোঁটের চামড়া ওঠা একটি অস্বস্তিকর এবং বিব্রতকর। শীতকালে প্রায়
অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় ভোগে। শীতকাল ছাড়াও
গরমেও অনেকের ঠোঁট ফাটা সাথে সাথে ঠোঁটের চামড়া উঠতে দেখা যায়। এখন
প্রশ্ন হলো ঠোঁটের চামড়া উঠে কেন। ঠোঁট ফাটার কারণ
আপনারা ইতিপূর্বে জেনে গেছেন।চলুন এবার জেনে নেই কি কি কারনে ঠোঁটের চামড়া
উঠে। যদি কারণগুলো জানতে পারেন তাহলে এ থেকে মুক্তি পেতেও পারবেন।
- বেশি সময় ধরে রোদের মধ্যে থাকলে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া সাথে সাথে চামড়া উঠার মত লক্ষ্য না দেখা দেয়। আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশ তুলনায় ঠোঁট অনেক নরম এবং চামড়া অনেক পাতলা হয়। যার কারণে যখন সূর্যের আলো ঠোটে লাগে তখন খুব সহজেই ঠোট শুকিয়ে যায় এবং বেশিক্ষণ সূর্যের আলোর নিচে থাকলে ঠোঁট থেকে চামড়া উঠতে শুরু করে।
- শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে ঠোঁট ফাটার সাথে সাথে ঠোটে চামড়া উঠার লক্ষণ দেখা দেয়। পানি আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। প্রতিদিন আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হয়। শরীরে যখন পানির ঘাটতি দেখা দেয় তখন খুব সহজেই ত্বকের সাথে সাথে ঠোঁট শুকিয়ে যায় এবং চামড়া ওঠে। ঠোঁটের চামড়া উঠার একটু অন্যতম কারণ হলো শরীরে পানির অভাব। এ থেকে রক্ষা পেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে
- আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অংশের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। তেমনি ঠোটের জন্যও পুষ্টির দরকার রয়েছে। আমাদের শরীরে ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোট ফাটা সহ ঠোঁটে ঘা লক্ষ্য করা যায়।
ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অংশ যেমন আমাদের শরীরের সৌন্দর্য বাড়াতে করতে
সাহায্য করে তেমনি শরীরে একটি অংশ হলো ঠোঁট যেটি আমাদের শরীরে সৌন্দর্য
বৃদ্ধি করে। তবে শীতকালে বা অন্য সময় যখন ঠোঁট ফাটা দেখা যায় তখন ভীষণ
অস্বস্তি করে এবং দেখতেও খারাপ লাগে। এই ঠোঁট ফাটা রোধ করা আমাদের একান্ত
জরুরী। এর আগে জানতে হবে ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে। ঘরোয়া উপায়ে
ঠোঁটফাটা কমানোর জন্য বেশ কিছু কাজ করা জরুরী। চলুন এবার জেনে নেই
কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁট ফাটা রোধ করা যায়।
- ক্রিম ব্যবহার করে -- ঠোঁট ফাটা রোধ করার জন্য প্রায় সবাই ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। ক্রিম ব্যবহার ফলে খুব সহজেই ঠোঁটের চামড়াকে নরম করা যায়। ঠোঁটের জন্য নির্দিষ্ট যেসব ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলো ঠোঁটে ব্যবহার করতে হবে।
- লিপবাম ব্যবহার করে -- ঠোঁট ফাটা দূর করার জন্য লিপবাম অনেক কার্যকরী। শীতকালে অথবা যে সময়ে ঠোঁট ফাটে সে সময়ে দু'ঘন্টা পরপর ঠোঁটে এই লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। খাওয়ার সময় অথবা আমরা যে সময় মুখে পানি ব্যবহার করি তারপর মুখ মোছার পর ঠোঁটে এই লিপবাম ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করে -- আমরা প্রায় সময় বিভিন্ন কাজে বাইরে বের হই। আর বাইরে বের হলেই সূর্যের আলো কিংবা বাতাস ঠোঁটে লাগে যার ফলে ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়। এই জন্য বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এতে ঠোঁট ভালো থাকবে।
- এক্সফলিয়েট করে -- এক্সফলিয়েট বলতে বোঝায় নরম কোন পাতলা কাপড় ভিজিয়ে ঠোঁটের চামড়ার উপর আস্তে আস্তে ঘষলে ঠোঁটে থাকা পাতলা মৃত চামড়া গুলো উঠে আসবে। তবে বেশি জোরে ঘষা যাবেনা খেয়াল রাখতে হবে যাতে ঠোঁট ছিলে না যায়।
- পর্যাপ্ত পানি পান করে -- শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় আমাদের ঠোঁট পাতলা এবং এতে কোন তৈলগ্রন্থী থাকে না। যার ফলে শুষ্কতার কারণেই ঠোঁট ফেটে যায়। ঠোঁট ফাটা রোধ করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকলে ত্বকের শুষ্কতা দেখা দেয়। শীতের সময়ে অনেকে পানি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেয় যার ফলে ত্বক শুষ্কতা সহ আরো অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
- ঠোঁটে জিভ না দেওয়া -- ঠোঁটে বারবার জিভ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ঠোঁটে বার বার যদি দেওয়ার কারণে ঠোঁট অল্প সময়ের জন্য ভিজে থাকলেও খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় যার কারণে ঠোঁট ফাটা দেখা দেয়। তাই বারবার ঠোঁটে জিভ দেওয়া বা ঠোঁট চাটা বন্ধ করতে হবে।
ঠোঁট ফাটার ঔষধ
ঠোঁট ফাটা নিয়ে অনেকে দীর্ঘদিন যাবত অসস্তিতে ভুগে থাকেন। যারা দীর্ঘদিন যাবত
ঠোঁট ফাটা সমস্যায় ভুগছেন, ক্রিম ব্যবহার করেও ঠোঁট ফাটা কমছে না তারা চর্মরোগ
বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। চর্ম রোগের ডাক্তাররা আপনাকে আপনার
অবস্থার পরীক্ষা করে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারে। ডাক্তারের চিকিৎসা ছাড়াও আপনি
যদি বেশ কিছু টিপস ফলো করতে পারেন তাহলে এ সমস্যার থেকে উন্নতি লাভ করতে পারবেন।
- শরীরকে হাইড্রেট রাখার জন্য পদার্থ পরিমাণ পানি খেতে হবে কারণ শরীরে পানির অভাব ঠোঁট ফাটে অন্যতম কারণ।
- ঠোঁটে বেশি বেশি লিপ বাম অথবা ক্রিম ব্যবহার করুন। বারবার ক্রিম অথবা লিপবাম ব্যবহার করা ফলে আপনার ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও নারিকেল তেল অথবা মাখন জাতীয় কিছু উপাদান আছে যেগুলো ঠোঁটে লাগিয়ে রাখলে প্রাকৃতিকভাবে উপকার পেতে পাবেন।
- বারবার ঠোঁটে জীভ অথবা ঠোঁট চাটলে ঠোট খুব দ্রুত ঠোঁট শুকিয়ে যাই। তাই এ থেকে রক্ষা পেতে বারবার ঠোঁট চাটা বন্ধ করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খান। শুকিয়ে যায় ভিটামিন বি এর অভাবে। তাই খাবারে ভিটামিন বি নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন।
লেখকের শেষ কথা
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট আমাদের শরীরের একটি আকর্ষণীয় একটি অংশ।
ঠোঁট আমাদের মুখের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে। তবে যখন ঠোঁট ফাটে তখন অনেক অস্বস্তিকর
লাগে। ঠোঁট ফাটার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যে কারণগুলো ইতিমধ্যে আলোচনা করা
হয়েছে। ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে আমাদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে
হবে। পর্যাপ্ত পরিমান পানি খাওয়ার পাশাপাশি ঠোঁটে নিয়মিত ক্রিম
ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও আরো কিছু উপায় আছে যেগুলো আপনি ইতিপূর্বে জানতে
পেরেছেন।
এই আর্টিকেলে আমি কোন ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফাটে এবং ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি উপরের নিয়ম গুলো মেনে
চললেই আপনি ঠোঁটফাটা থেকে মুক্তি পেতে পাবেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি
আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করে
দিন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে।এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url