শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব - শীতকালে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে - ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব এই সম্পর্কে কি আপনি জানতে ইচ্ছুক? যদি আপনি
শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
শীতকালে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে এবং বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে আমাদের ত্বকের বেশি বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়।
কেননা শীতকালে আমাদের ত্বক অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে থাকে।
এজন্য শীতকালে আমাদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য যাবতীয় টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হলো।
পেজ সূচিপত্রঃ শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব বিস্তারিত জেনে নিন
- শীতকালে ত্বকের যত কিভাবে নেব
- শীতকালে শুষ্ক ত্বকের যত্ন
- শীতকালে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
- শীতকালে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন
- শীতকালে শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো
- লেখকের শেষ কথাঃ শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব বিস্তারিত জেনে নিন
শীতকালে ত্বকের যত্ন নেব কিভাবে
গরমকালের সময় শেষ এবার শীতকালের শুরু। শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব শীতকাল
সাধারণত সবাই পছন্দ করে। শীতকাল পছন্দ করে না এমন লোক নেই বললেই চলে। তবে কিছু
সংখ্যক লোক আছে যারা শীতকাল পছন্দ করেন না। কারণ শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে
অনেক শীত লাগে। সারাক্ষণ মোটা গরম কাপড় পড়ে থাকতে হয় যার কারণে অনেকে বিরক্ত
বোধ করে। গোসলের সময় অনেক শীত লাগে। এসব কারণেই মূলত অনেকে শীতকাল পছন্দ করে
না। শীতকাল অনেক ঠান্ডা হওয়ায় শীতে ত্বকের যত্ন অন্যান্য সময় তুলনায় কয়েক
গুণ বেশি নিতে হয়। শীতকালে ত্বকের অযত্ন হলেই আপনার ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে
পারে। শীতকালে ত্বকের প্রতি অনেক যত্নশীল হতে হবে। শীতকালে ত্বকের যত্ন নেবেন
যেভাবে-
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবেঃ অন্য যেকোনো সময় ময়েশ্চারাইজার
ব্যবহার না করলেও শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতে অবশ্যই আপনাকে ময়েশ্চারাইজার
ব্যবহার করতে হবে। আমাদের ত্বক দুই ধরনের হয়ে থাকে। শুষ্ক ত্বক ও তৈলাক্ত
ত্বক। দুই ধরনের ত্বকের জন্য দুই ধরনের ময়েশ্চারাইজার রয়েছে। ত্বকের উপযুক্ত
এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের
রুক্ষতা দূর করতে এবং ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাই অন্যান্য
সময় এটাকে এড়িয়ে চললেও শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় ময়েশ্চারাইজার
থেকে বিরত থাকা যাবে না।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবেঃ আমরা সাধারণত গরমকালের রোদ থেকে বাঁচার
জন্য ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে থাকি। অনেকে ভাবে শীতকালে আবার কেন
সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।শীতকালে আমরা তখন রোদে বের হই ওই রোদ সাধারণত
আমাদের অনেক ভালো লাগে। তবে ওই রোদ বা সূর্যের আলো আমাদের ত্বকে লাগলে আমাদের
ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন
ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হওয়ার ১০-১৫ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার
করে তারপর বাইরে বের হতে হবে।
ঠোঁটের যত্ন নিতে হবেঃ শীতকালে ত্বকের তুলনায় ঠোঁট সাধারণত বেশি শুষ্ক
হয়ে যায়। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। শীতকালের ঠান্ডা আবহাওয়ার এবং ঠান্ডা
বাতাসের কারণে খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় এবং ঠোঁট ফেটে যাওয়ার সাথে সাথে
ঠোটের চামড়া উঠতে শুরু করে। তাই শীতের শুরুর থেকেই ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটের
প্রতিও যত্নশীল হতে হবে। এজন্য ঠোঁটের ঘন ঘন লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে।
হাত ও পায়ের যত্ন নিতে হবেঃ শীতকালে ত্বকের যত্নের কথা বলতে আমরা শুধু
মুখ এবং ঠোঁটের কথাই চিন্তা করি। তবে শীতকালে শুধু মুখ এবং ঠোঁটের যত্ন নিলেই
হবে না। পাশাপাশি আমাদের হাত এবং পায়ের যত্ন নিতে হবে। হাত-পায়ের অযত্নের
কারণে দেখা যায় যে পায়ের সাথে সাথে হাতও ফাটতে শুরু করে। শীতকালের যে ঠান্ডা
আবহাওয়া এটা ত্বক কে খুব সহজেই রুক্ষ করে দেয়।তাই হাত এবং পায়ের রুক্ষতা দূর
করার জন্য পায়ের সাথে সাথে হাতেও ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। পায়ের জন্য যেকোনো
ধরনের পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভেসলিন ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও পা ফাটা দূর করতে
গ্লিসারিন ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি রুক্ষতা দূর হয়ে যায়।
হাইড্রেট থাকতে হবেঃ শীতকালে সাধারণত শরীরে পানির টান তেমন না থাকায়
অনেকে এ সময়ে পানি খাওয়া কম করে দেয়। আমাদের শরীরে পর্যন্ত পরিমাণ পানি না
থাকার কারণে ত্বক খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বক ও শরীর উভয় সুস্থ
রাখতে বেশি করে পানি খেতে হবে।
গরম কাপড় পরতে হবেঃ শীতকালে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে সকলেই কাপড় পরে থাকে।
শরীরকে গরম রাখার জন্য গরম কাপড় পরা যেতেই পারে। তবে অতিরিক্ত টাইট ফিট এবং
সিনথেটিক পোশাক পরা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এসব পোশাক করার কারণে আমাদের ত্বক
আরো শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।এজন্য আমাদের আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে।
নাইলন, পলিস্টার, লিনেন ইত্যাদি ধরনের কাপড় পরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
গোসল করতে হবেঃ শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই গোসল করতে চায়
না। আবার অনেকে গোসল করলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করে। যার কারণে একটু
পরেই আবার শরীর খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক হয়ে যায়। শরীরকে সুস্থ রাখতে গোসল করা
জরুরী। তবে অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গরম পানি দিয়ে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে
হবে। আপনি চাইলে মাঝে মাঝে অল্প কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। তবে এটা
অভ্যাসে পরিণত করা থেকে বিরত থাকবেন।কেননা প্রতিনিয়ত গরম পানি দিয়ে গোসল করলে
আপনার শরীর কড়া হয়ে যেতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার
অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং প্রতিনিয়ত গোসল করার চেষ্টা করতে হবে। তবে এ সময়
কারো ঠান্ডা বা জ্বর হলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে হাত, পা ও মুখ ধুয়ে নিতে
হবে।
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের যত্ন
শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব শীতকালে ত্বকের যত্ন অনেক বেশি প্রয়োজন কেননা
এ সময় ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়ার
জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো আপনি মেনে চলতে পারলে শীতকালে শুষ্ক
ত্বকের পর্যাপ্ত যত্ন নিতে পারবেন। চলুন জেনে নেই শীতকালে শুষ্ক ত্বকের
যত্নে কি কি করতে হবে-
- শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য ময়েশ্চারাইজার অনেক সাহায্য করে থাকে। তবে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার বাছাই করে নিতে হবে। শীতকালে ত্বকের যত্নের জন্য অনেকে বডি লোশন ব্যবহার করে থাকেন। তবে যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক তারা বডি লোশনে বদলে ক্রিম ব্যবহার করুন। ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে গোসলের সাথে সাথে বেশ কিছু তেল ব্যবহার করতে পারলে তাদের শুষ্কতা কমানো যায়। তেল গুলো হল নারিকেল তেল, তিলের তেল, অ্যাভোকাডো তেল ইত্যাদি। শীতকালে নিয়মিত এগুলো ব্যবহার করতে পারলে শুষ্কতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো ত্বকে বেশি পরিমাণে সাবানের ব্যবহার করা। শীতকালে সাবানের ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে। কারণ অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
- শীতকালের কড়া রোদ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। শীতকালের কড়া রোদ ত্বক শুষ্ক করে দেয়। শীতকালে সাধারণত রোদ গায়ে মাখতে অনেক ভালো লাগে তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত রোদ ত্বকে না লাগে। কারণ এই রোদ ত্বকে লাগলে শুষ্কতা দেখা দেয়।
- শীতকালে অনেকে ঠান্ডা জলে গোসল করতে যায় না এজন্য গরম পানি দিয়ে গোসল করে। গরম পানি ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। গরম পানি দিয়ে গোসল এর ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল গুলো নষ্ট করে দেয়। যার কারণে ত্বক আরো শুষ্ক হতে দেখা যায়।
- শুষ্ক স্থানের যত্ন নিতে হবে। শীতকালে ঠোঁট হাত পা ফেটে যায় এজন্য এ থেকে রক্ষা পেতে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
শীতকালে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
আমাদের ত্বক সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন শুষ্ক ত্বক ও তৈলাক্ত ত্বক।
শুষ্ক ত্বকের যত্ন সম্পর্কে ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। শীতকালে ত্বকের যত্ন
কিভাবে নেব এখন আসি তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিয়ে। আমরা ভাবতে পারি যে তৈলাক্ত
ত্বক হয়তো শীতকালেও তেলতেলে হয়ে থাক।
কিন্তু বিষয়টি মোটেও এরকম না। তৈলাক্ত ত্বক শীতকালে আরও শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে
যেতে পারে।তাই ও তৈলাক্ত ত্বকেরও যত্নের প্রয়োজন আছে। শীতকালে তৈলাক্ত ত্বকের
যত্নের জন্য যা যা করতে হবে-
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে -- গরমের ন্যায় শীতকালেও ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে এটি লম্বা সময় ধরে ত্বককে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সানস্ক্রিনের এসপিএফের মাত্রা যেন ৩০ বা তার উপর যেন না হয়।
- ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে -- শুষ্ক ত্বকের জন্য যেমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয় তেমনি তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার ফলে ত্বকের সাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ত্বককে সুন্দর ও স্বাভাবিক রাখতে ময়শ্চারাইজার অনেক কার্যকরী।
- স্ক্রাবিং করতে হবে -- শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের ত্বক যেমন শুষ্ক হয়ে যায় তেমনি ত্বকের কিছু কোষ মরে যায়। স্ক্রাবিং এর ফলে ত্বকের ওইসব মরা কোষগুলো দূর করতে সাহায্য করে। এতে ত্বককে আরো সুন্দর ও মসৃণ দেখায়।
- ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে -- আপনার ত্বকের সাথে যে ফেসওয়াশ টা মানানসই সেটা ব্যবহার করতে। দিনে দুইবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত দূর হয়ে যাবে।
শীতকালে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন
শীতকালে সবারই ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যায়। তেমনি ছোট বাচ্চাদের ত্বক ও
শুষ্ক হয়ে যায়। বাচ্চাদের ত্বক অনেক সংবেদনশীল হওয়ায় শীতকালে তাদের ত্বকের
বেশি যত্ন নিতে হবে। কেননা বাচ্চারা তাদের ত্বকের যত্ন নিজে নিজে নিতে পারে না
তাই তাদের প্রতি বেশি খেয়াল রাখতে হবে। শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব
শীতকালে বাচ্চাদের ত্বকের যত্নের জন্য কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে। চলুন শীতকালে
বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন সম্পর্কে জেনে নিই।
- আমরা বাচ্চাদের ত্বকে সাবান ব্যবহার করে থাকি। সাবানে ক্ষারের পরিমাণ বেশি রয়েছে তাই শীতকালে সাবান ব্যবহারের ফলে বাচ্চার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।এক্ষেত্রে বাচ্চার জন্য উপযোগী সাবানটি ব্যবহার করতে হবে।
- বাচ্চাদের ত্বকে নিয়মিত বডি লোশন কিংবা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করলে তোকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বড়দের লৌশন ব্যবহার করা যাবে না। বাচ্চাদের ত্বকের উপযোগী লোশন ব্যবহার করতে হবে।
- বাচ্চাদের নিয়মিত গোসল করাতে হবে। শীতকালে আবহাওয়া সাধারণত ঠান্ডা থাকায় বাচ্চারা গোসল করতে চায় না গোসল করার সময় কাঁদে।এজন্য বাচ্চাদের হালকা গরম পানিতে গোসল করতে হবে। এই হালকা গরম পানি বাড়ছে ত্বকের জন্য উপযোগী। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- বাচ্চাকে অল্প সময়ের জন্য রোদ পোহাতে দিতে হবে। কারণ রোদে ভিটামিন ডি রয়েছে। ১০-১৫ মিনিট মতো রোদ পোহালে বাচ্চার ত্বকের জন্য তা উপকার হবে। কড়া রোদের ভিতর বাচ্চাদের রাখা যাবে না। এতে বাচ্চাদের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো
শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে বাতাসে
আর্দ্রতা পরিমান কমে যাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয়। ত্বকে
এক ধরনের খসখসে ভাব অনুভব করা যায়।অন্য সময় তুলনায় শীতকালে তক
অতিমাত্রায় শুষ্ক হয়ে যায়। শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ কিছু
নিয়ম মেনে চললে এ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এ সম্পর্কে ইতিপূর্বে আলোচনা
করা হয়েছে। শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে
যেকোনো ধরনের ক্রিম ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয় এতে শুষ্ক ত্বকের কোন
উন্নতি লক্ষ্য করা যায় না।
শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করা
উত্তম। শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযোগী ক্রিম গুলো ব্যবহার করতে
হবে। যেসব ক্রিমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, হায়ালুরোনিক এসিড,
অ্যালোভেরা ইত্যাদি উপাদান রয়েছে সেসব ক্রিম গুলা শুষ্ক
ত্বকের ব্যবহারের জন্য উপযোগী।
লেখকের শেষ কথা
শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব এই নিয়ে লোকজনের চিন্তা শেষ নেই। কারণ
শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য সময়ের তুলনায় তা খুব দ্রুত শুষ্ক
এবং রুক্ষ হয়ে যায়। শীতকালে ত্বকের জন্য বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। আমাদের
পাশাপাশি বাচ্চাদের ত্বকেরও অনেক যত্ন নেওয়া উচিত। কেননা শীতকালে ত্বকের
অযত্নের কারণে তোকে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।নিয়মিত ত্বকের যত্ন
নিতে পারলে শীত কালের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
প্রিয় পাঠক আমার এই আর্টিকেলে শীতকালে ত্বকের যত্ন নেব কিভাবে এবং ছেলে
বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেওয়া সহ শীতকালে ত্বকের কতগুলো বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি আপনার ত্বকের প্রতি যত্নশীল হন
তাহলে অবশ্যই শীতকালের যাবতীয় ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এই আর্টিকেল
টি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয়-স্বজনদের
মাঝে শেয়ার করে দিন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে। এতক্ষন ধৈর্য সহকারে
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url