নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয় - নবজাতকের কাশির সিরাপ

কোডোমো বেবি লোশন এর উপকারিতা - কোডোমো বেবি লোশন এর দামনবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে আপনি জানতে চাচ্ছেন? আপনি যদি নবজাতকের সর্দি কাশি নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন এবং এ সময় কি করণীয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নবজাতক-শিশুর-সর্দি-কাশি-হলে-করণীয়
নবজাতক শিশুদের সর্দি কাশি এটা অপরিচিত নয় । বাচ্চা পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে এরকম সর্দি কাশিতে ভোগে। সর্দি কাশি শিশুদের সাধারণ সংক্রমণ হিসেবে ধরা হয়। তবে নবজাতক শিশুদের সর্দি কাশি থেকে রক্ষা করতে কি কি করা লাগবে তাই এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পেজ সূচিপত্রঃ নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয়

নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয়

নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে বাবা-মা চিন্তা করবে এটাই স্বাভাবিক।কেননা সর্দি কাশি জ্বর হলে বাচ্চারা অস্বাভাবিক আচরণ করে যেটা অবশ্যই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নবজাতক বাচ্চার সর্দি কাশি হয় মূলত ভাইরাসজনিত কারণে। আবার কখনো কখনো ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণেও সর্দি কাশি হয়ে থাকে। বাচ্চাদের শীত বা ঠান্ডার কারণেও সর্দি কাশি দেখা যায়। শিশুর সর্দি কাশি হলে যা যা করণীয়-

শিশুর শরীরকে গরম রাখতে হবেঃ বাচ্চার যখন সর্দি কাশি দেখা দিবে তখন বাচ্চাকে তার আবহাওয়া অনুযায়ী গরম রাখতে হবে। ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে দূরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে মোটা কাপড় অথবা কম্বল দিয়ে বাচ্চাকে গরম রাখতে হবে।
নাক পরিষ্কার রাখতে হবেঃ বাচ্চার যখন সর্দি কাশি হয় তখন নাক দিয়ে পানি ঝরতে থাকে। নাক দিয়ে অনেক জীবাণু বের হয়ে যায়। এজন্য নাক সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে ওই জীবাণু বাচ্চা শরীরে আক্রমণ করতে না পারে।
ঘন ঘন খাবার খাওইয়াতে হবেঃ বাচ্চার যখন সর্দি কাশি হবে তখন বাচ্চার যত্নের পাশাপাশি ঘন ঘন স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তরল খাবার খাওয়াতে হবে। খাবার না খাওয়ার ফলে বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়বে। নবজাতক শিশু যেহেতু অন্য খাবার খেতে পারে না তাই বাচ্চাকে ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।বারবার খাওয়ার ফলে বাচ্চা শরীরে শক্তি আসবে। আর এই শক্তি রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
কাশি থেকে রক্ষা করতে হবেঃ নবজাতক বাচ্চাদের কাশি থেকে রক্ষা করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। যেমন- সরিষা তেলের সাথে কাঁচা রসুন মিশিয়ে গরম করতে হবে। এরপর হালকা গরম থাকা অবস্থায় বাচ্চার গলা এবং বুকে লাগিয়ে দিতে হবে। কাশি সারাতে এই প্রক্রিয়াটি অনেক কার্যকরী। এছাড়া যেসব বাচ্চারা পানি সহ অন্য কিছু খেতে পারে তাদের কুসুম গরম পানি খাওয়াতে হবে। এগুলো ছাড়াও কাশি সারাতে লেবুর রস তুলসী পাতার রস অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

স্বাভাবিক সর্দি কাশি হলে তাড়াতাড়ি বাচ্চা সুস্থ হয়ে যায়। এছাড়া নিউমোনিয়া হলে সর্দি কাশি দেখা দেয় এবং তা সেরে উঠতে অনেকদিন সময় লাগে। তবে যখন দেখবেন যে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেও সর্দি কাশি ভালো হচ্ছে না এবং বাচ্চার নিউমোনিয়ারও কোন সমস্যা নেই তখন বুঝবেন বাচ্চা অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। এই অ্যাডিনো ভাইরাসের একটি নেতিবাচক দিক হচ্ছে এর মাধ্যমে একবার সর্দি কাশি লাগলে তা সেরে উঠতে অনেক সময় লাগে। তখন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

নবজাতকের ঠান্ডা লাগলে কিভাবে বুঝব

নবজাতকের ঠান্ডা এটা খুব সাধারণ। কেননা অনেক শিশুর জন্মের পর নানা কারণে ঠান্ডা লেগে থাকে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে নবজাতকের ঠান্ডা লাগলে আপনি বুঝবেন কিভাবে? চলুন নবজাতকের ঠান্ডা লাগার কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
  • সর্দি -- নবজাতকের ঠান্ডা লাগা আপনি তখনই বুঝতে পারবেন যখন আপনি দেখবেন যে বাচ্চার সর্দি লেগেছে। তার নাকে হালকা সর্দির পানি এবং মাঝে মাঝে হাছি দিচ্ছে। আর যদি অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগে তাহলে অনেক বেশি হাছি দেবে। সর্দি লাগলে সাধারণত সবার নাক দিয়েই কমবেশি পানি ঝরে এবং হাছি হয়।
  • মাথা ব্যাথা -- শিশুর মাথা ব্যাথা করলে বুঝবেন যে তার ঠান্ডা লাগছে। কেননা ঠান্ডা লাগলে সবারই মাথা ব্যাথা করে। তবে বাচ্চারা কখনো বলতে পারে না তার কি সমস্যা।মা হিসেবে আপনাকে বাচ্চা সমস্যা গুলো বুঝে নিতে হবে।
  • গলা ব্যাথা -- নবজাতকের ঠান্ডা লাগা তখনই বুঝবেন যখন সর্দির কাশির পাশাপাশি গলা ব্যথা হবে। বাচ্চার গলায় ব্যাথা হলে যেকোনো সময় বাচ্চার গলাতে হাত পড়লে কাঁদবে।
  • কানে ব্যাথা -- এসব লক্ষণের সাথে বাচ্চার কানে ব্যাথা লক্ষ্য করলে বুঝবেন বাচ্চার ঠান্ডা লেগেছে। কানে হাত পড়লে ব্যথার কারণে বাচ্চা কাঁদতে পারে।
  • হালকা গা গরম -- জ্বর ও ঠান্ডা বোঝার একটি বড় লক্ষণ হলো শরীরের তাপের পরিমাণ। নবজাতকের যখন ঠান্ডা লাগবে তখন তার শরীরের তাপের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এ থেকে আপনি ঠান্ডা লাগে বুঝতে পারবেন। তবে যখন অনেক গা অনেক বেশি গরম থাকবে তখন বুঝতে হবে জ্বর হইছে।

নবজাতকের স্বাভাবিক কাশি কতটুকু

নবজাতকের কাশি বাবা মায়ের জন্য চিন্তা জনক হয়ে থাকে। তবে এটা অবশ্যই জানতে হবে যে নবজাতকের জন্য কতটুকু কাশি স্বাভাবিক এবং কি পরিমাণে কাশি হলে সেটা অস্বাভাবিক এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বাচ্চাদের-স্বাভাবিক-কাশি-কতটুকু
সাধারণত বাচ্চাদের দিনে ১০ বার কাশি হওয়া কে স্বাভাবিক বলা চলে। এর থেকে বেশি কাশি হওয়া লক্ষ্য করলে অবশ্যই চিন্তার বিষয়। চলুন জেনে নেই নবজাতকের জন্য কতটুকু কাশি বা কোন কাশি গুলো স্বাভাবিক।

স্বাভাবিক কাশি যেগুলো
  • সাধারণ মূলত বাচ্চার জন্য ভালো, কেননা কাশির মাধ্যমে বাচ্চা তার গলা বা শ্বাসনালী কে পরিষ্কার রাখে।
  • আবার অনেক বাচ্চা রিফলাক্স অনুভব করার কারণে মাঝে মাঝে কাশি দেয়। এছাড়াও তীব্র গন্ধ অথবা ধোয়ার কারণেও বাচ্চা কাশি দিতে পারে।
অস্বাভাবিক কাশি যেগুলো
  • বাচ্চা যখন অতিমাত্রায় কাশি দেবে এবং এই কাশি কয়েকদিন যাবত স্থায়ী থাকবে তখন বুঝতে হবে এট অস্বাভাবিক।
  • বাচ্চা যখন কাশির সাথে সাথে শ্বাসকষ্ট অনুভব করবে তখন বুঝে নিতে হবে এটি অস্বাভাবিক এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • বাচ্চার কাশি অতিরিক্ত হলে কাশির সাথে সবুজ বা হলুদ এক ধরনের কফ তৈরি হয়। তখন আপনি বুঝবেন এই কাশি অস্বাভাবিক।
  • বাচ্চার কাশি যখন অস্বাভাবিক হয়ে উঠবে তখন বাচ্চার অতিরিক্ত কাশি হবে এবং বাচ্চা খেতে চাইবে না তখন খাওয়াতে অসুবিধা হবে।
উপরে আলোচনার মাধ্যমে যদি বুঝেন স্বাভাবিক কাশি তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আর যদি বুঝেন যে বাচ্চার এই কাশি অস্বাভাবিক তাহলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে হবে।

কি খেলে বাচ্চাদের কাশি কমে

বাচ্চাদের সাধারণত জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি এগুলো পিছু ছাড়তে চায় না। জন্মের পর থেকেই অনেক বাচ্চাদের এসব জর ঠান্ডা সর্দি কাশি লেগে থাকে। কারণ বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয় সর্দি কাশি সহ কোন রোগ সহজে ভালো হতে চায় না। তবে এমন কিছু ভেষজ উপাদান রয়েছে যেগুলো বাচ্চাদের খাওয়ালে কাশি খুব তাড়াতাড়ি কমে যায় এবং ভালো হয়ে যায়। নিচে বাচ্চাদের কাশি কমে যাওয়ার কয়েকটি ভেষজ উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

তুলসী পাতার রসঃ তুলসী পাতার রস কাশি কমানোর অন্যতম একটি ভেষজ উপাদান। এবং কাশি কমানোর জন্য এটি অনেক কার্যকরী। কাশি কমানোর জন্য প্রথমে একমুঠো তুলসী পাতা নিয়ে তারপর সেই পাতার পেস্ট তৈরি করে রস বের করে নিতে হবে। তারপর এই তুলসী পাতার ১-২ চামচ রস বাচ্চাদের খাওয়াতে হবে। এতে বাচ্চাদের কাশি দূর হয়ে যাবে।
পুদিনা পাতার রসঃ বাচ্চাদের কাশি সারানোর জন্য পুদিনা পাতার রস অনেক কার্যকরী। এর জন্য প্রথমে একমুঠো পুদিনা পাতা নিয়ে সেটার পেস্ট তৈরি করে রস বের করে নিতে হবে। তারপর বাচ্চাদেরকে পুদিনা পাতার এই রস ১-২ চামচ খাইয়ে দিতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি কাশি কমে যাবে আশা করা যায়।
সরিষার তেলের সাথে কাঁচা রসুনঃ বাচ্চাদের কাশি দূর করার জন্য এই পদ্ধতিটি অনেক আগে থেকে চলমান রয়েছে। বড় চামচ করে সরিষার তেল নিয়ে তার উপর ১/২ টা রসুন ফেলে দিয়ে আগুনের গরম করে নিতে হবে। তারপর হালকা গরম থাকা অবস্থায় এই তেল বাচ্চার গলায় এবং বুকে লাগিয়ে দিতে হবে। এতে বাচ্চার কাশি সহজেই ভালো হয়ে যাবে আশা করা যায়।

বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঔষধের নাম

বাচ্চাদের সর্দি কাশি নানা কারণে হয়ে থাকে। আবহাওয়া জনিত কারণ ছাড়াও আরো অনেক কারণে বাচ্চাদের সর্দি কাশি হয়ে থাকে। অনেকের আবার জন্মের পর থেকেই এসব সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। বাচ্চাদের এসব সর্দি কাশি নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ থাকে না। বাচ্চাদের সর্দি কাশি হলে বেশ কিছু করণীয় আছে যায়ে ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।
বাচ্চাদের-সর্দি-কাশির-ঔষধের-নাম
এছাড়াও সর্দি কাশি সারাতে অনেকগুলো ঔষধ রয়েছে। ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসার পরেও যখন সর্দি কাশি ভালো না হয় তখন এর পাশাপাশি বাচ্চাদের ঔষধ খাওয়াতে পারেন। আজকাল ঘরোয়া উপায় চিকিৎসার বদলে বেশিরভাগ অভিভাবক ঔষধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার ঔষধগুলো হলো-
  • টোফেন -- বেক্সিমকো কোম্পানির একটি জনপ্রিয় ওষুধ হলো এই টোফেন। বাচ্চার আরামদায় ঘুমের জন্য এই ওষুধটি অনেক কার্যকরী। এই কোম্পানির ঔষধ গুলো মূলত বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করে থাকে। ১০০ মিলিগ্রাম এই ঔষধের দাম ৫৫ টাকা।
  • ই-কফ -- বাচ্চা সর্দি কাশি ভালো করার জন্য এই সিরাপটি অনেক কার্যকরী। এই ঔষধটি বাচ্চার বুকের জমে থাকা কফ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এড্রেক লিমিটেড কোম্পানির এই সিরাপটি ১০০ মিলিগ্রাম এবং এর মূল্য ৮০ টাকা।
  • এমব্রক্স -- এই সিরাপটি বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার জন্য অনেক ভালো একটি সিরাপ। স্কয়ার কোম্পানির এই এমব্রক্স সিরাপটি ১০০ মিলিগ্রাম বোতলের দাম ৫০ টাকা।
  • তুসকা প্লাস -- এই ঔষধটি কাশি এবং কফ দূর করতে অনেক ভালো কাজ করে। স্কয়ার কোম্পানির এই ওষুধটি 100 মিলিগ্রাম বোতলের দাম ৮৫ টাকা।
  • এবেক্স -- এই ঔষধটি জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি দূর করতে অনেক কার্যকরী। ইবনেসিনা কোম্পানির এই ঔষধটি ১০০ মিলিগ্রাম বোতলের দাম ৩৫ টাকা।
  • টোটি ফেন -- এই ঔষধটি জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, গলার মধ্যে জ্বালাপোড়া দূর করার জন্য অনেক ভালো কাজ করে। ১০০ মিলিগ্রাম এই ঔষধের দাম ৫০ টাকা।
উপরে বেশ কিছু ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো যেগুলো বাচ্চাদের জ্বর ঠান্ডা সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে। তবে এক্ষেত্রে আমার একটি পরামর্শ থাকবে যে বাচ্চার সর্দি-কাশি বা জ্বর দেখা দিলে প্রথমে ওষুধ খাওয়াবেন না।
ঘরোয়া উপায় আগে চিকিৎসা করে সর্দি কাশি কমানোর চেষ্টা করবেন। এরপরেও যখন সর্দি কাশি কমবে না তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উপরের ঔষধ গুলো বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন। জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি দূর করতে এই ঔষধগুলো অনেক কার্যকরী।

বাংলাদেশের শুকনো কাশির জন্য কোন সিরাপ ভালো

শুকনো কাশির জন্য বাজারে অনেক ধরনের ঔষধের পাশাপাশি সিরাপও পাওয়া যায়।এখন প্রশ্ন আসতে পারে শুকনো কাশির জন্য বাংলাদেশের কোন সিরাপ ভালো।শুকনো কাশির জন্য এডোভাস টি অনেক ভালো। নিচে এডোভাস সিরাপের কিছু বিবরণ দেওয়া হয়-

এডোভাস সিরাপ হলো একটি চিনি মুক্ত, অ-শমক, ভেষজ কাজের সিরাপ। এই সিরাপ টি সমস্ত ধরনের কাশি দূর করতে সাহায্য করে। যেমন শুষ্ক খিটখিটে কাশি, এলার্জিজনিত কাশি, ধূমপানজনিত কাশি, ব্রংকাইটিস জনিত কাশি ইত্যাদি। এই সিরাপটি খাওয়ার ফলে গলার জ্বালাপোড়া থেকে প্রশমিত করে এবং কর্কশতা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

খাওয়ার নিয়ম
  • ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য -- ১-২ চা চামচ দিনে ৩ বার (৫-১০ মিলি করে)।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য -- ৩ চা চামচ দিনে ২-৩ বার (১৫মিলি করে)।

লেখকের শেষ কথাঃ নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয়

নবজাতক শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কেননা প্রত্যেক পরিবারে নবজাতক শিশুর আগমন ঘটে। নবজাতক শিশুর সর্দি, কাশি, ঠান্ডা, জ্বর এটা সাধারণ ব্যাপার। নবজাতকের এই সমস্যাগুলো থেকে সমাধান পেতে প্রথমেই ওষুধের উপর নির্ভরশীল হবেন না। ঘরোয়া উপায়ে আগে এই সমস্যাগুলোকে দূর করার চেষ্টা করবেন। তারপরেও এই সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে ভালো না হলে তখন ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করা জরুরী।

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে আমি নবজাতক শিশুদের সর্দি কাশি হলে কি করতে হবে এবং নবজাতকের কাশির সিরাপ সহ বাচ্চাদের সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব অথবা আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করে দিন যাতে করে এটা পড়ে তারা উপকৃত হতে পারে। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পর্কে এরকম আরো তথ্য পেতে নিয়মিত ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url