বাচ্চাদের চুল ঘন করার উপায় - বাচ্চাদের চুল ঘন করার তেলের নাম
বাচ্চাদের চুল ঘন করার উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে ইচ্ছুক? আপনি যদি বাচ্চাদের
মাথার চুল ঘন করার উপায় জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনার উপকারে আসবে।
বাচ্চাদের মাথার চুল ঘন করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
বাচ্চাদের মাথার চুল ঘন না হওয়া নিয়ে অনেকে চিন্তিত থাকেন। নবজাতক শিশুদের
মাথার চুল প্রথমে পাতলা এবং কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক তবে অনেকদিন যাবত যখন মাথার
চুল পাতলাই থেকে যায় তখন সেটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাচ্চাদের চুল ঘন
করার বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পেজ সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের চুল ঘন করার উপায়
- বাচ্চাদের চুল বড় রাখলে কি ক্ষতি হয়
- বাচ্চাদের মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা আছে কি না
- বাচ্চাদের চুল ঘন করা তেলের নাম
- বাচ্চাদের চুল সিল্কি করার উপায়
- বাচ্চাদের চুল পাকে কন
- বাচ্চাদের মাথায় তেল দেওয়ার নিয়ম
- শিশুর চুল গজানোর খাবার
- লেখক এর শেষ কথাঃ বাচ্চাদের চুল ঘন করার উপায়
বাচ্চাদের চুল বড় রাখলে কি ক্ষতি হয়
বাচ্চাদের চুল বড় রাখলে কি ক্ষতি হয়? উত্তর হলো না। বাচ্চাদের মাথার চুল বড়
রাখলে কোন ক্ষতি হয় না। মাথার চুলে ক্ষতি হয় তখন যখন চুলের প্রতি অযত্ন এবং
অনিয়ম করা হয়। সাধারণত বাচ্চারা নিজেরা নিজেদের চুলের যত্ন নিতে পারেনা।
বাচ্চাদের চুলের যত্নের জন্য তার মায়ের ভূমিকা বেশি থাকে। মা তার বাচ্চার
শরীরের সবকিছুর যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি চুলের যত্নও নিয়ে থাকেন এ কারণে বাচ্চার
চুলের জন্য বাচ্চার মাকে বেশি সতর্ক এবং যত্নশীল হতে হবে।
সাধারণত বেশিরভাগ বাচ্চাদের মাথার চুল বাচ্চা বড় হলে তারপর রাখা হয়। তবে
অনেকে বাচ্চাদের অল্প বয়স থেকেই মাথায় চুল রেখে দেয় এতে করে বাচ্চাদের
সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। কারণ ছোট বাচ্চাদের মাথায় চুল থাকলে অনেক সুন্দর দেখা
যায়। তবে শুধুমাত্র চুল বড় রাখলে হবে না সেইসাথে ছোট থেকে যত্ন নিতে হবে
বাচ্চাদের চুল বড় রাখলে তেমন সমস্যা হয় না। বাচ্চারা যেহেতু চুলের যত্ন
বোঝেনা তাই তাদের চুলের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। বাচ্চার চুলের জন্য প্রয়োজনীয়
সকল পুষ্টি কর খাবার খাওয়াতে হবে যাতে করে চুলের বৃদ্ধিতে অথবা অন্য কোন
সমস্যা না হয়।
বড় চুলের জন্য বেশি যত্নশীল হওয়া উচিত।বাচ্চাদের মাথার বড় চুলে যত্ন নেওয়া
যেমন সময়মতো তেল দেওয়া, শ্যাম্পু করানোর, কন্ডিশনার নেওয়া ইত্যাদি অনেক
প্রয়োজন। ছোট থেকে যদি চুল বড় মজবুত থাকে তাহলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল
আরো বড় ও আকর্ষণীয় দেখাবে। তাই বাচ্চাদের অল্প বয়স থেকে চুল রাখলে তাদের
চুলের যত্ন নিতে হবে এবং বাচ্চাদেরও যত্ন নেওয়া শেখাতে হবে যাতে বড় হলে সেও
চুলের পর্যাপ্ত যত্ন নেয়।
বাচ্চাদের মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা আছে কি না
বাচ্চাদের চুল ঘন করার উপায় বাচ্চাদের মাথা ন্যাড়া করার মূল কারণ
হিসেবে অনেকেই ভাবেন যে নতুন চুল গজাবে অথবা চুল ঘন হবে। বাচ্চাদের মাথা
ন্যাড়া করা হয় ঘন চুলের আশায়। তবে বিজ্ঞান কিন্তু এর সাথে একমত
না। বিজ্ঞান বলছে ছোট বাচ্চাদের অর্থাৎ একদম অল্প বয়সের
বাচ্চাদের এর মাথা ন্যাড়া না করাই ভালো কারণ ছোট বাচ্চাদের মাথার
চুল সাধারণত অল্প এবং অনেক পাতলা হয়ে থাকে তাই ন্যাড়া করার সময়
বাচ্চার মাথায় সমস্যা হতে পারে।
ন্যাড়া করতে গিয়ে বাচ্চার মাথায় ইনফেকশন হতে পারে অথবা বাচ্চার মাথার
ত্বক নরম হওয়ায় কেটে যাওয়ার ভয় থাকে। কারণ ন্যাড়া করার সময় যে খুর
বা রেজার ব্যবহার করা হয় তা থেকেই ইনফেকশন ছড়াতে পারে। ন্যাড়া করার
সাথে চুল ঘন হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।বাচ্চাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে
সাথে এমনিতেই চুল বড় এবং ঘন হতে শুরু করবে। বাচ্চাদের চুল ঘন
হওয়ার আশায় ন্যাড়া করা ঠিক নয়।
চুল যদি ঘন হয় তবে এমনি হবে চুল ঘন হওয়ার সাথে ন্যাড়া করার কোন
সম্পর্ক নেই। আপনি চুল ঘন হওয়ার আশায় যতই বারবার ন্যাড়া করেন না
কেন আপনার মাথার চুলের ঘনত্ব পরিবর্তন হবে না। কারণ মাথার চুলের ঘনত্ব
নির্ধারিত হয় পরিবেশ, জেনেটিক্স, বয়স এবং স্বাস্থ্যের কারণে। অল্প
বয়সে বাচ্চাদের চুল পাতলা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন।একটা জিনিস মনে রাখতে
হবে বাচ্চাদের মাথা ন্যাড়া করলেই মাথার চুল ঘন হবে না।
বয়স যত বাড়বে তার মাথার চুল এমনি এমনিই শক্ত এবং ঘন হাতে থাকবে।বাচ্চাদের অল্প
বয়সে মাথার চুল ঘন করতে গিয়ে যেন ক্ষতি না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে
হবে। বাচ্চাদের মাথার চুল কাটা যদি একান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে
আপনারা চাইলে ন্যাড়া করার বদলে কাচি অথবা ট্রিমার দিয়ে চুল ছোট করতে
পারেন। এক্ষেত্রে ট্রিমার দিয়ে চুল কাটলে অনেক ভালো হয়। এতে করে চুল
অনেক ছোট ছোট হবে এবং বাচ্চার চুল এবং মাথার ত্বকের কোন সমস্যা হবে না।
তবে যদি একান্তই বাচ্চার চুল ন্যাড়া করতে হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ
নিয়ে ইনফেকশন মুক্ত খুর অথবা ব্লেড দিয়ে নাড়া করতে পারেন। বাচ্চার
মাথা ন্যাড়া করার সময় খুব সতর্ক হয়ে ন্যাড়া করতে হবে যাতে তার
মাথার ত্বকের কোন ক্ষতি না হয়। বাচ্চার চুল ন্যাড়া করার সময় তার দিকে
খেয়াল রাখতে হবে যাতে সে বেশি বিরক্তবোধ না হয়।কারণ সে বেশি বিরক্ত হলে
নড়াচড়া করলে কেটে যেতে পারে। চুল ন্যড়া করার সময় তার খেয়াল রাখার
পাশাপাশি তার হাতে কোনো খেলনা দিতে পারেন যাতে সে খেলতে ব্যস্ত থাকে এবং
এদিকে ভালোভাবে ন্যাড়া করা হয়। বাচ্চার চুল ন্যাড়া করার সময় অবশ্যই তাকে
শুয়ে দিতে হবে এতে করে ন্যাড়া করা অনেক সহজ হবে।
বাচ্চাদের চুল ঘন করার তেলের নাম
বাচ্চাদের চুল ঘন করার তেল নিয়ে প্রত্যেক অভিভাবকরাই জানতে চান। বাচ্চাদের চুল ঘন
করার উপায় বাচ্চাদের জন্মের পর থেকেই চুল নিয়ে অভিভাবকেরা অনেক চিন্তা
থাকে। কারণ জন্মের পর বাচ্চাদের মাথায় চুল পাতলা এবং কম থাকে।প্রত্যেকে চাই
তার মাথায় চুল বেশি থাকবে কারণ একজনের মাথায় যত বেশি চুল থাকে তত ভালো
লাগে। তেমনি বাচ্চাদের চুল নিয়েও অভিভাবকরা অনেক কিছু ভেবে থাকেন। চুল
পাতলা হওয়ার কারণে অনেকে চিন্তিত থাকেন। তবে বাচ্চাদের চুল ঘন
করার বেশ কিছু তেল রয়েছে যেগুলো বাচ্চাদের মাথায় নিয়মিত ব্যবহার করলে
মাথার চুল ঘন হবে। নিচে বাচ্চাদের চুলের জন্য় কয়েকটি তেলের নাম দেয়া হলো-
- নারিকেল তেল -- আমরা জানি যে শুধুমাত্র বড়রাই মাথায় নারকেল তেল ব্যবহার করে থাকে।কারণ নারিকেল তেল চুলের জন্য অনেক উপকারী। বড়দের পাশাপাশি বাচ্চাদের চুলের জন্যও নারকেল তেলের অনেক কদর রয়েছে। যদি খাঁটি নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চুলের জন্য অনেক উপকার হবে। কারণ চুলের জন্য খাটি নারিকেল তেলের কোন বিকল্প নাই।নারকেল তেলের পুষ্টি উপাদান এবং গুনাগুন জানলে আপনি অবাক হবেন। বাচ্চাদের মাথার চুল ঘন করতে নারকেল তেল অনেক কার্যকরী।
- অলিভ অয়েল -- বাচ্চাদের চুলের জন্য অলিভ অয়েল তেল অনেক উপকারী একটি তেল। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ লোকজন বাচ্চাদের চুলের জন্য অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে থাকে। অলিভ অয়েল তেলের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা মাথায় আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং শুষ্কতা থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেসব বাচ্চাদের চুল কোঁকড়া হয় সেসব বাচ্চাদের চুলের জন্য এই অলিভ অয়েল তেল অনেক উপকারী।
- কাঠ বাদাম তেল -- কাঠ বাদামের তেল চুলের জন্য এবং মাথার ত্বকের জন্য অনেক ভালো। কারণ কাঠবাদামের তেল ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর। বাচ্চাদের চুলের যে কোন সমস্যায় কাঠ বাদামের তেল ব্যবহার করা যায়। এই তেল ব্যবহারের কারণে মাথার ত্বক এবং চুল অনেক ভালো থাকে।
বাচ্চাদের চুল সিল্কি করার উপায়
বাচ্চাদের জন্মের পর থেকে তাদের ত্বকের প্রতি যেমন নজর অথবা যত্ন থাকে চুলের
প্রতি যত্নশীল না হওয়ায় চুল পাতলা এবং কোঁকড়ানো অথবা রুক্ষ হয়ে যায়।
প্রত্যেক অভিভাবকদের উচিত জন্মের পর থেকেই বাচ্চার ত্বকের যত্নের পাশাপাশি চুলের
যত্ন নেয়া। বড়রা তাদের চুলকে সিল্কি করতে চুলে নানা রকম শ্যাম্পু বা তেল
ব্যবহার করে থাকে। তেমনি বাচ্চাদের চুল সিল্কি করার জন্য অনেকে অনেক ধরনের পদ্ধতি
গ্রহণ করে থাকে। বাচ্চাদের চুলকে সিল্কি করার জন্য আপনি নিজের পদ্ধতিতে অনুসরণ
করতে পারেন-
বাচ্চাদের চুল ঘন করার উপায় বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের মাথার ত্বক এবং চুল অনেক
সেনসিটিভ হয়। অনেক সময় বাচ্চাদের মাথায় ধুলাবালি জমা হয়। এজন্য আপনাকে
সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার বাচ্চার মাথা পানি দিয়ে ধুতে হবে। এরপর বাচ্চার
মাথায় শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে
শ্যাম্পু বাছাই করে নিতে হবে। এছাড়াও আপনি ঘরোয়া উপায়ে শ্যাম্পু তৈরি করতে
পারেন।
ঘরোয়া উপায়ে শ্যাম্পু তৈরি করার জন্য প্রথমে এক কাপ পানিতে চার ভাগের একভাগ
গ্রিন টি নিয়ে এরপর এক চামচ মধু এবং এক চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর বাচ্চার চুলে ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু অথবা এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার
করার ফলে চুল সিল্কি হবে আশা করা যায়। চুল ধোয়ার পরে শক্ত কোন কাপড় দিয়ে মাথা
মোছা যাবে না। বাচ্চাদের ভেজা চুল মুছতে নরম পাতলা কাপড় নিতে হবে। বেশি জোরে ঘষে
ঘষে চুল মোছা যাবে না। এতে করে চুল ছিড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বাচ্চাদের চুল পাকে কেন
বাচ্চাদের চুলে অনেক সময় লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চুল সাদা সাদা অর্থাৎ পেকে
গেছে। সাধারণত যারা বয়স্ক তাদের চুল বেশি পাকে কিন্তু বাচ্চাদেরও চুল পেকে
যায়। বাচ্চাদের অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। নিচে তা
দেয়া হলো-
- বাচ্চাদের চুল ঘন করার উপায় বাচ্চাদের চুল পাকার প্রথম কারণ হচ্ছে বংশগত কারণ।বংশের যদি কারো অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার ঘটনা থাকে তাহলে এটা একটা কারণ হতে পারে। কারণ বংশগত সমস্যা এমন একটি সমস্যা যা বংশ-পরম্পরায় ঘটে থাকে।আপনার বাচ্চার যদি চুল পেকে যায় তাহলে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যের কারো এমন ঘটনা ছিল কিনা দেখতে পারেন।
- বাচ্চাদের চুল পেকে যাওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনের অভাব।অকালে চুল পেকে যাওয়ার পেছনে কয়েকটি উপাদানের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। যেমন ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়া্ ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব উপাদান চুলে ত্বকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।
- বাচ্চাদের চুল পেকে যাওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে হরমোন জনিত কারণ। হরমোনের সমস্যার কারণে অনেকের অকালে চুল পেকে যায়। হাইপোথায়াইরয়েডিজম ও হাইপারথাইরয়েডিজম এই দুই ধরনের সমস্যার কারণে অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। রক্তে থাইরয়েড এর পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
- বাচ্চাদের চুল পেকে যাওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে তারা শাকসবজি খেতে চায় না। খাবার তালিকায় সবসময়ই মাছ মাংস ডিম রাখার কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। নিয়মিত শাকসবজি খেলে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে। এছাড়াও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। বাচ্চারা যারা পানি খেতে চায় না খুব কম পরিমাণে পানি খায়। যা অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার আরও একটা কারণ।
বাচ্চাদের মাথায় তেল দেওয়ার নিয়ম
বাচ্চাদের মাথার চুল ঘন করার জন্য অনেকে অনেক ধরনের তেল ব্যবহার করে থাকে।
বাচ্চাদের মাথার চুল ঘন করার জন্য তেল আসলেই অনেক উপকারী। তবে আপনি বাচ্চাদের
মাথার চুলে কোন তেল ব্যবহার করছেন এবং কিভাবে ব্যবহার করছেন সেটার উপর নির্ভর
করে বাচ্চাদের চুলের উপকারিতা। অনেকে বাচ্চাদের চুলের জন্য নানা ধরনের তেল
সম্পর্কে জানলেও সেই তেল কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সেটা অনেকে জানে না।
বাচ্চাদের মাথায় তেল দেওয়ার জন্য প্রথমে মাথা ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
তারপর বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরে নরম
কাপড় দিয়ে মাথা মুছে নিতে হবে। এমন ভাবে মুছতে হবে যাতে চুল ছিঁড়ে না যায়।
বাচ্চাদের চুল বড়দের তুলনায় কম মজবুত এবং পাতলা থাকে। তাই আলতো করে ঘষে ঘষে
মুছতে হবে।এরপর যেকোন ধরনের তেল যেমন নারিকেল, অলিভ অয়েল, কাঠবাদামের তেল
দিয়ে বাচ্চাদের মাথায় আস্তে আস্তে ঘষে ঘষে তেল দিতে হবে।
বাচ্চাদের মাথায় ভালোভাবে তেল দিতে পারলে চুল ঘন করতে সাহায্য করবে। নিয়মিত
বাচ্চাদের মাথায় এভাবে ঘষে ঘষে তেল লাগাতে পারলে মাথার ত্বকের জন্য অনেক উপকার
হবে। কারণ হাত দিয়ে ঘষে ঘষে তেল লাগানোর ফলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি
পাবে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেলে মাথার ত্বক ভালো থাকবে। এতে চুল পড়া কমাবে এবং
চুল ঘন করতে সাহায্য করবে।
শিশুর চুল গজানোর খাবার
জন্মের পর থেকে একটি বাচ্চার চুল সাধারণত অল্প এবং পাতলা থাকে। বয়স বাড়ার সাথে
সাথে ধীরে ধীরে চুল মজবুত এবং শক্ত হতে শুরু করে। তবে যাদের চুল ঘন হয় না তাদের
অভিভাবকরা অনেক চিন্তায় থাকে। এজন্য চুল ঘন করার জন্য চুলের যত্ন নেওয়ার
পাশাপাশি এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানতে চায় যা বাচ্চাদের চুল গজাতে সাহায্য করে।
চুল ঘন করার জন্য যেমন তেল এবং শ্যাম্পুর ব্যবহারের প্রয়োজন তেমনি বেশ কিছু
খাবার খাওয়া প্রয়োজন যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে চুল গজাতে সাহায্য করে।
- শাকসবজি -- বাচ্চাদের চুল গজানোর জন্য তাদের ছোট থেকেই শাকসবজি খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। কেননা শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি। বাচ্চাদের সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক বাঁধাকপি, পুঁইশাক ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। শাক-সবজিতে থাকা পুষ্টি উপাদান চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিক উপায় চুল গজাতে সাহায্য করে।
- ডিম -- ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদান বাচ্চাদের চুল গজাতে সাহায্য করে। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ যা অকালে চুলপাকা থেকে রক্ষা করে।
- ডাল -- চুলের উপকারের জন্য ডাল একটু অসাধারন খাবার। বাচ্চাদের ডাল খাওয়ানোর অভ্যাস করলে চুল ভালো রাখতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। যাদের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা চুলের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। ডাল খেলে সকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই বাচ্চাদের সপ্তাহে ২-৩ বার ডাল খাওয়ান।
- দুধ -- দুধকে বলা হয় সুষম খাদ্য। যদি বাচ্চাদের দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে বাচ্চাদের শরীরের অনেক উপকার হবে। দুধ শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গর উপকার করে। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী। আমাদের মাথার চুলের ত্বকে প্রোটিনের প্রয়োজন হয় যা দুধে পাওয়া যায়। এজন্য আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ খাওয়ানোর অভ্যেস করে তুলুন
লেখকের শেষ কথাঃ বাচ্চাদের চুল ঘন করার উপায়
বাচ্চাদের চুল ঘন করার উপায় চুল সাধারণত প্রথমে পাতলা এবং অল্প থাকে। বয়স
বাড়ার সাথে সাথে সেই চুল মজবুত এবং ঘন হতে শুরু করে। অনেকের তাড়াতাড়ি ঘন হয়ে
যায় এবং অনেকের দেরি হয়।তারপরেও যখন বাচ্চাদের চুল ঘন হয় না তখন অভিভাবকরা করে
অনেক চিন্তিত হয়ে পড়েন। এ সময় তারা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে থাকে এবং
বাড়িতে নানা ধরনের তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে।
বাচ্চাদের চুল ঘন করার জন্য ছোট থেকেই তাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে এবং
তাদের চুলের পর্যাপ্ত যত্ন নিতে হবে।
আমার এই আর্টিকেলে আমি বাচ্চাদের চুল ঘন করার বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি যা পোস্ট টি গুরুত্ব সহকারে পড়লেই বুঝতে
পারবেন। বাচ্চাদের চুল ঘন করার নানা উপায় সম্পর্কে এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি
উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার
করে দিন। যাতে তারাও এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হতে পারে। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url