কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো এই সম্পর্কে আপনি কি জানতে
ইচ্ছুক? আপনি যদি বাংলাদেশের ব্যাংকের মধ্যে কোন ক্রেডিট কার্ড
সবচেয়ে ভালো এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই
সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ক্রেডিট কার্ড মূলত ব্যাংকের বুথ থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য এবং যে কোন পণ্য কেনাকাটা বা সেবার মূল্য পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে অনেকেই জানে না কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে ভালো। তাই এই আর্টিকেলে সকল ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
পেজ সূচিপত্রঃ কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো
কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো
কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো এ সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন কেননা
ক্রেডিট কার্ড বর্তমানে একটি জনপ্রিয় এবং বড় লেনদেনের মাধ্যমে হিসেবে
দাঁড়িয়েছে। ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে মূলত এক ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি একটি
কার্ড। এই ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক তাদের ইস্যু
করে থাকে। বর্তমান সময় ক্রেডিট কার্ড দিয়ে প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা ভোগ করা
যায়। যেমন কেনাকাটা, ভ্রমণ, হোটেল বুকিং ইত্যাদি সুবিধা।
বর্তমান সময়ে এই ক্রেডিট কার্ডের কারণে নগদ অর্থের লেনদেনের পরিমাণ
অনেক কমে গেছে।তাছাড়া নগদ টাকার একটি বাড়তি ঝামেলা সেটা অনেক ক্ষেত্রে কমে
গেছে।এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমান সভায় ক্রেডিট কার্ড দিয়ে
অনেক অল্প সময়ে যেকোনো কাজের জন্য অর্থের লেনদেন করা যায়। বিশ্বের
অন্যান্য দেশে এই ক্রেডিট কার্ড খুব জনপ্রিয়। ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও এই
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
তবে আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড নিতে চান তাহলে নিশ্চয়ই কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড
ভালো এ সম্পর্কে ভাবছেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলে বাংলাদেশের কোন
ব্যাংকের কার্ড অনেক ভালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। তবে
জেনে নেওয়া ভালো যে একটি ভালো ক্রেডিট কার্ড বাছাই করা কিন্তু সহজ বিষয়
নয়।
এটা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও যেমন কঠিন একটি কাজ তেমনি ঠিক বাংলাদেশেও এরকম কঠিন
একটা বিষয়। তবে আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ
অব্দি পড়েন তাহলে বাংলাদেশের শীর্ষ কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড
সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা লাভ করতে পারবেন আশা করা যায়।নিজে বাংলাদেশের
কয়েকটি ব্যাংকের ভালো ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
DBBL Credit Card: বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংকিং এ পুরোপুরি অটোমেটিক
সিস্টেম চালু করেছে এই ডাচ বাংলা ব্যাংক। পুরো বাংলাদেশে এই ডাচ-বাংলা
ব্যাংকের অনেক সুনাম ও প্রচলিত রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের দুর্গম
এলাকা গুলোতেও তাদের সেবা পাওয়া যায়। ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড এর
ক্ষেত্রেও অনেক অফার দিয়ে থাকে।এই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের APR রেট ১৫% ,
৫০ দিনের একটি বড় সময়। এর সাথে সাথে আপনি পাবেন ফ্রি Supplementary
Card সুবিধা এবং Renewal ও একদম ফ্রি।
EBL Credit Card: এই ক্রেডিট কার্ডটি মূলত তাদের জন্য যারা অত্যন্ত
ভ্রমণ পিপাসু অথবা যারা ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করেন তাদের জন্য এই
ক্রেডিট কার্ডটি অনেক ভালো একটি চয়েজ হতে পারে।আপনি বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে
তাদের EBL SKYLOUNGE ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি বিদেশ ভ্রমণের
ক্ষেত্রে এই EBL SKYLOUNGE ব্যবহার করেন তাহলে এর জন্য আপনাকে একজন
প্লাটিনাম কার্ড হোল্ডার হতে হবে। এখানে আপনি APR রেট পাবেন ২৭%,
৪৫ দিনের একটি বড় সময়। এছাড়াও আপনি এর সাথে পাবেন কিস্তির
সুযোগ সুবিধা। আর আপনি যদি বছরে ১৮ টি লেনদেন করে থাকেন তাহলে আপনি
পাবেন Supplementary Card সুবিধা এবং Renewal একদম ফ্রি।
CBA Credit Card: সিটি ব্যাংক এমেক্স এমন একটি ব্যাংক যা সব
সময় তাদের গ্রাহকদের চেষ্টা করে নতুন কিছু দেওয়ার। এরকম খুব কম
ব্যাংকই আছে যারা গ্রাহকদের এমেক্স কার্ডটি ইস্যু করে। এই ব্যাংকের
APR রেট ২৭%, এবং ৪৫ দিনের একটি বড় সময়। এর সাথে সাথে আপনি পাবেন
ফ্রি Supplementary Card সুবিধা এবং Renewal ও একদম ফ্রি।
MTB Credit Card: বর্তমানে বাংলাদেশের মোটামুটি একটি সফল ব্যাংক হলো
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।বর্তমান সময় তারা এই ব্যাংকের
গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড অনেক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এই ব্যাংকের
ক্রেডিট কার্ডে APR ২৫% বা তার একটু বেশি, ৪৫ দিনের একটি বড়
সময়। এছাড়া পেয়ে যাবেন ফ্রি Supplementary Card সুবিধা। তবে এই
ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের Renewal ফি ১০০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত
হয়ে থাকে।
উপরে উল্লেখিত বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে।এরমধ্যে আপনার কাছে যে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা
বেশি ভালো মনে হয় আপনি সেই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি
ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার সম্পর্কে হয়তো অনেকের অজানা। ক্রেডিট কার্ডের
সকল তথ্য জানলেও হয়তো এটা জানে না যে ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার বা
সেগুলো কি কি। ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই সঠিকভাবে
লেনদেন করার সুবিধার জন্য এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।ক্রেডিট
কার্ডের সুবিধা গুলো ভোগ করার পাশাপাশি আমাদের এটাও জানা দরকার যে
বাংলাদেশে কত রকমের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড মূলত ৪
প্রকার। এই ৪ প্রকার ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও আরো কিছু ক্রেডিট কার্ড রয়েছে যার
সাহায্যে বর্তমানে যাবতীয় লেনদেন করা হয়।
বাংলাদেশের প্রধান চার প্রকার ক্রেডিট কার্ড হলো-
- মাস্টার কার্ড
- ভিসা
- জেসিবি
- আমেরিকান এক্সপ্রেস
উপরের উল্লেখিত প্রধান ৪টি ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও আরো একটি ক্রেডিট
কার্ড হচ্ছে ডিসকভারি।
কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে কত সুদ
কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে কত সুদ এ সম্পর্কে তাদের অবশ্যই জানা
জরুরী যারা মূলত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকে অথবা পরবর্তীতে
ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ২৯ টি ব্যাংকের
ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক সুদের হার উল্লেখ রয়েছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু
ব্যাংকের সুদের হার সর্বোনিম্ন ১৮ শতাংশ আর সর্বোচ্চ সুদের হার হলো ৩৬ শতাংশ।
নিচে কোন ব্যাংকের কত সুদ তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-
-
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, যমুনা ও ডাচ বাংলা এই তিনটি ব্যাংক
সবচেয়ে কম হারে সুদ নিয়ে থাকে। এরা সবচেয়ে কম ১৮ শতাংশ সুদ
নিয়ে থাকে।
- এইচএসবিসি ১৯.৫০ শতাংশ সুদ নিয়ে থাকে
- ব্যাংক আল ফালাহর এর সুদের হার ২১-২৪ শতাংশ
- জনতা ব্যাংকের সুদের হার ২৪ শতাংশ
- ঢাকা ব্যাংকের সুদের হার ২৪ শতাংশ
- আইএফআইসি ব্যাংকের সুদের হার ২৪ শতাংশ
- স্ট্যান্ডার্ড ও সাউথইস্ট ব্যাংক এর সুদের হার ২৪ শতাংশ
- ন্যাশনাল ব্যাংকের সুদের হার ২৭ শতাংশ
- ব্র্যাক ব্যাংকের সুদের হার ২৭-৩০ শতাংশ
- এনআরবি ব্যাংকের সুদের হার ২৮ শতাংশ
- ওয়ান ব্যাংকের সুদের হার হচ্ছে ২৮.৫০- ৩১.৫০ শতাংশ
ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা
ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আমাদের অবশ্যই জানা দরকার কেননা বর্তমান
সময়ে আর্থিক লেনদেনের জন্য এই ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে
যাচ্ছে। ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে নানা ধরনের লেনদেন করা যায় এছাড়াও
বড় কোন কেনাকাটার জন্য এটি অনেক কাজে আসে। তবে এই ক্রেডিট
কার্ডের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে।নিচে এগুলো বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো-
ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা
দ্রুত লেনদেন করা যায়ঃ পণ্য বা সেবা কেনার ক্ষেত্রে এই
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জানে কিন্তু এর যে একটি
বাড়তি সুবিধা রয়েছে এটা হয়তো অনেকেই জানে না। ক্রেডিট কার্ডের
সাহায্যে পণ্য ক্রয় করার সময় যদি পণ্যের সবটুকু মূল্য
পরিশোধ করতে না পারেন তবুও আপনি খুব সহজে এসব পণ্য কিনতে
পারবেন। কেননা ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে ঋণ নেওয়া যায়। আবার এই
ঋণ আপনি চাইলে কয়েক মাস ধরে পরিশোধ করতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ডের এই ঋণের
বোঝা খুব একটা বেশি মনে হয় না। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে মূল্য পরিষদের
যে তারিখ বা সময়সীমা তার মধ্যে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করতে হবে তা না হলে আপনাকে
জরিমানা দিতে হতে পারে।
সুরক্ষা প্রদানকারীঃ নগদ, ডেবিট কার্ড কিংবা চেক ব্যবহার করার চেয়ে
আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্য বেশি নিরাপদ বলে
মনে করা হয়। কেননা এই ক্রেডিট কার্ডটির কোন ভুল ত্রুটি হলে অথবা যদি
এই ক্রেডিট কার্ডটি জাল হয় এছাড়াও যদি কখনো ক্রেডিট কার্ড চুরি হয়ে যায়
তারপরও আপনি আপনার অর্থ বা টাকা ফেরত পাবেন। যদি কখনো এই ক্রেডিট কার্ড চুরি
হয়ে যায় তাহলে অনেকে টাকা তুলে নেওয়ার ভয় করে থাকে। তবে আপনি
যদি এই ক্রেডিট কার্ডের যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে আপনার কার্ডের অর্থ
খুব তাড়াতাড়ি ফেরত নিতে পারবেন। তবে আপনাকে এই ক্রেডিট কার্ডের পিন
নাম্বারটি মনে রাখতে হবে।
ঋণের সুবিধা পাওয়া যায়ঃ ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে ঋণ পাওয়া
যায়।তবে এই ঋণ পরিষদের কিছু বাড়তি সুদ তারা নিয়ে থাকে। আবার এমন কিছু
ক্রেডিট কার্ড আছে যারা বিদেশে শূন্য শতাংশ সুদে ঋণ দেয়।আর এই
ঋণ মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এভাবে ঋণ দেয়ার
ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
বিভিন্ন অফার পাওয়া যায়ঃ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা অনেক সময়
অনেক ধরনের অফার পেয়ে থাকে। যেমনঃ ক্যাশ ব্যাক অফার, স্পেশাল
ডিসকাউন্ট ইত্যাদি। এছাড়াও অফারের সময় কিংবা যেকোনো সময় দেশের বাইরে
বেড়াতে গেলে হোটেলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করার কারণে অনেক সময়
মূল্যছাড় দেওয়া হয়। আবার কোন কোন সময় প্লেনের টিকিট কাটতে গিয়েও বিশেষ
মূল্যছাড় পাওয়া যায়।
সহজে পরিবর্তনযোগ্যঃ আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন অফারের একটি ক্রেডিট
কার্ড নিয়ে থাকেন এবং পরবর্তী যদি আপনার কাছে কার্ডটি ব্যবহারের কারনে ঋণের
বোঝা মনে হয় তাহলে আপনি এটি পরিবর্তন করে অন্য অফারের কার্ড নিতে
পারবেন। তবে এজন্য সামান্য কিছু অর্থ বেশি লাগতে পারে তবে এটা হিসেব করলে
আপনার লাভজনকই মনে হবে।
ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা
ঋণের ফাঁদঃ ক্রেডিট কার্ড সকলেই ব্যবহার করে মূলত ঋণ নেওয়ার
কারণে। আপনি যদি ঋণ নিন অথবা এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোন পণ্য বা
সে বা ক্রয় করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরে এর অর্থ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ
পরিশোধের ক্ষেত্রে একটা বাড়তি চিন্তা এবং ঝুঁকি থেকে যায়। আপনি
যদি সময় মতো এর ঋণ পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে ঋণ বাড়তেই থাকবে।
লুকায়িত ব্যয়ঃ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার কারণে শুধু যে সুদের
হার পরিশোধ করতে হবে তা কিন্তু নয়। ঠিক সময় মত এই টাকা পরিশোধ
করতে না পারলে জরিমানাও লাগতে পারে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার যে সীমা
থাকে যদি কোন কারণে নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করতে সেই সীমা অতিক্রম
হয়ে যায় তাহলে নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধের পরও কিছু বাড়তি অর্থ পরিশোধ
করতে হয়। যদি এ সম্পর্কে আপনার কোন সময় জ্ঞান না থাকে তাহলে ক্রেডিট কার্ড
ব্যবহার আপনার জন্য বিপদজনক। এছাড়াও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে নগদ অর্থ
তোলার জন্য নির্দিষ্ট হারে একটা ফি দিতে হতে পারে।
সঠিক কার্ড চেনাঃ সঠিক কার্ড বেছে নেওয়া আপনার জন্য অনেক জরুরী
কেননা আপনি যদি আপনার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্ডটি বেছে নিতে না পারেন
তাহলে দিনের পর দিন ব্যবহারের কারণে আপনার ঋণের বোঝা বাড়তেই থাকবে। এজন্য
আপনাকে পুরো শর্তাবলিগুলি আগে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড হলো বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে
প্রতিষ্ঠিত একটি ব্যাংক। এই ডাচ বাংলা ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়
৩ জুন, ১৯৯৬ সালে। তবে এখন বর্তমানে এই ডাচ বাংলা ব্যাংকের
জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এর কারণ হলো ডাচ বাংলা ব্যাংকের যত সব সুবিধা। অনেকেই ডাচ বাংলা ব্যাংকের
ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা গুলো জানতে চায়। নিচে ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট
কার্ডের সুবিধা গুলো উল্লেখ করা হলো-
-
সর্বাধিক সুরক্ষিত ইএমভি (ইউরোপে, মাস্টার কার্ড এবং ভিসা সিকিউরিটি
স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফাইড) ক্রেডিট কার্ড।
- ফ্রিতে নগদ উত্তোলন।
- সর্বনিম্ন সুদের হার।
- ৫০ দিনের সুদ মুক্ত সময়ক।
- তহবিল স্থানান্তর সুবিধা।
- নগদ তোলার সুবিধা।
- প্রথম বছর কার্ড ফি।
- নগদ উত্তোলন ফি শূন্য।
-
এক্সাইটিং ডিসকাউন্ট এন্ড অফার।
-
শীর্ষ পাচ তারকা হোটেলে বিনামূল্যে অফার।
- বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার।
-
রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ইজি পে, সহজ ঋণ, সহজে বাই করার
সুবি।
-
ফ্লেক্সিবল পেমেন্ট সুবিধা।
- লেনদেন সতর্কতার এসএমএস।
-
গোল্ড ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারদের জন্য রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড হলো বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয়
ক্রেডিট কার্ড। এই মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই
দৈনন্দিন লেনদেন করা যায় এছাড়াও এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে রয়েছে দারুণ
সব সুযোগ-সুবিধা। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি
বাণিজ্যিক ব্যাংক।
এই মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১৯৯৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমান সময়ে এই ব্যাংকের শাখা হলো ১৩৭টি এবং এই ব্যাংকের ১৫০ টি এজেন্ট
ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গুলোর মত এই
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড এর রয়েছে কিছু আকর্ষণীয় অফার এবং
সুযোগ-সুবিধা। নিচে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা গুলো উল্লেখ
করা হলো-
-
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের Classic/Silver/Gold/Platinum/Titanium Credit
Card হোল্ডার গন ১ টি রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন প্রতি ৫০ টাকা খরচের
জন্য।
-
সিগনেচার এন্ড ওয়ার্ল্ড ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার গন প্রতি ৫০ টাকা
বা ১ ডলার খরচের বিপরীতে পাবেন দুইটি রিওয়ার্ড পয়েন্ট।
-
ফ্লেক্সি পে ইনস্টলেশন করার পর আপনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এর
সকল ক্রেডিট কার্ড থেকে ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত মার্চেন্টস এর আউটলেটে
০% EMI সুবিধা পাবেন ৩ থেকে ৩৬ মাস পর্যন্ত। এই সুবিধাটি পাওয়ার
জন্য আপনাকে কার্ডটি ক্রয় করার আগে আউটলেটে জেনে নিতে হবে যে উক্ত
আউটলেটে ফ্লেক্সিপে এক্টিভেট আছে কিনা।
-
বিভিন্ন ই-কমার্স এবং পস ট্রানজেকশনে পণ্য ক্রয়ের সুবিধা পাবেন ৬ থেকে
২৪ মাসের সহজ কিস্তিতে। তবে জেনে নেওয়া ভালো যে এই সুবিধাটি পাওয়ার
জন্য আপনাকে কমপক্ষে ১০০০০ টাকার পণ্য কিনতে হবে। তাছাড়া এর নিচে যদি হয়
তাহলে আপনি এই সুবিধাটি পাবেন না।
-
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের হোল্ডারগন দেশের বিভিন্ন হোটেল,
রেস্টুরেন্টে, হাসপাতাল এবং রিসোর্টে বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। যেমন বাই ওয়ান
গেট ওয়ান, বাই ওয়ান গেট থ্রি, ফ্রী ডাইনিং এছাড়াও পাবেন নগদ ক্যাশব্যাক
সুবিধা।
উপরের উল্লেখিত সুবিধা গুলো ছাড়াও আপনি সময়ের সাথে সাথে মিউচুয়াল ট্রাস্ট
ব্যাংকের নতুন নতুন অফার বা সেবা পাবেন। আপনি যদি মিউচুয়াল
ট্রাস্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তাহলে উক্ত অফার গুলো জানতে
পারবেন।
পূবালী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা
পূবালী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড বর্তমান সময়ে বহুল ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় একটি
ক্রেডিট কার্ড। এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড বর্তমান সময়ে সকলের কাছে অনেক
পরিচিতি লাভ করেছে আর্থিক লেনদেনের জন্য। এই পূবালী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড
ব্যবহারকারীরা নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। নিচে পূবালী ব্যাংক
ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা গুলো উল্লেখ করা হলো-
-
পুবালী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের একাউন্ট থেকে প্রতিদিন ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত নগদ
টাকা উত্তোলন করা যায়।
-
নির্দিষ্ট উত্তোলনের পাশাপাশি আপনি যদি আরো টাকা উত্তোলন করতে চান তবে চাইলে
আপনি আনলিমিটেড টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এই আনলিমিটেড টাকা উত্তোলনের
সুবিধা পূবালী ব্যাংক দিয়ে থাকে।
-
পূবালী ব্যাংকের এটিএম থেকে পূবালী ব্যাংক কার্ড ব্যবহারকারীর একাউন্টে ২৪/৭
ব্যালেন্স স্থানান্তরের সুবিধা পাওয়া যায়।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বর্তমান সময়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে। ক্রেডিট কার্ডের
মাধ্যমে আমাদের ইচ্ছেমতো কেনাকাটা এবং সেবা ক্রয় করতে পারি।এছাড়াও কোন আর্থিক
সমস্যা দেখা দিলে ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে আর্থিক সহায়তা লাভ করা যায়।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অনেক সুবিধা থাকলেও সঠিক উপায়ে কার্ড ব্যবহার
করতে না পারলে আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের কারণে নানা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সঠিক নিয়ম গুলো আমাদের জানা জরুরী। নিচে ক্রেডিট কার্ড
ব্যবহারের সকল নিয়মগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অনুপাত কম রাখতে হবেঃ আপনার ক্রেডিট কার্ডের যে
পরিমাণ লিমিট রয়েছে তার ৫০ শতাংশ বা তার কম ব্যবহার করা উচিত।আপনি যদি ক্রেডিট
কার্ডের লিমিটের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ক্রেডিট স্কোরে বিরূপ
প্রভাব পড়তে পারে। আপনি যদি ক্রেডিট কার্ডের লিমিট শেষ করে ফেলেন আর যদি কখনো
ওয়ান টাইম পেমেন্ট করতে না পারেন তাহলে পুরো আউটস্ট্যান্ডিং এর উপর আপনাকে সুদ
এবং ফাইন দিতে হবে। তাই ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের বেশি ব্যবহার করবেন না। কেননা
ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক সুদ ৩০% থেকে ৪০% পর্যন্ত হতে পারে।
সময়মতো ক্রেডিট কার্ডে বিল পরিশোধ করতে হবেঃ আপনি যদি ক্রেডিট কার্ডের
বিল সময় মত পরিশোধ না করেন তাহলে সুদের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে এবং আপনার ঋণও
বেড়ে যাবে। এছাড়া আপনি যদি বকে পরিশোধ না করেন তাহলে জরিমানা তো হবেই আবার
ব্যাংক আপনার স্কোরও কমাতে থাকবে। তাই আপনি যদি ক্রেডিট কার্ডের বড় সুদের হাত
থেকে বাঁচতে চান এবং আপনার ক্রেডিট স্কোর ঠিক রাখতে চান তাহলে যত তাড়াতাড়ি
সম্ভব সময়ের আগে বকেয়া পরিশোধ করে দিতে হবে। এর জন্য আপনি আপনার ক্রেডিট
কার্ডের একাউন্টের অটো প্লে এনেবল করে রাখবেন যাতে আপনার ডিউ রেট শেষ হওয়ার আগে
আপনার একাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেমেন্ট হয়ে যায়।
এটিএম থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা এড়িয়ে চলতে হবেঃ এটিএম
এর মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তুললে সুবিধা দেয় ঠিকই কিন্তু এটিএম থেকে
টাকা তোলার দিন থেকেই বড় চার্জ নেয় এবং অনেক চড়া সুদ গোনা শুরু হয়ে যায় যা
আপনাকে আরো দেনাই ফেলতে পারে। আবার এটিএম থেকে টাকা উইথড্র করলে কোন ছাড়ও পাওয়া
যায় না। তাই এটিএম থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
মিনিমামের চেয়ে বেশি প্রদান করতে হবেঃ আপনি যদি ভারী সুদের হার এড়াতে
চান তাহলে ক্রেডিট কার্ডে মিনিমাম পেমেন্ট এর চাইতে বেশি প্রদান করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ডে যে বকেয়া রয়েছে সেটির পুরোপুরি অর্থ প্রদান করা খুব ভালো, তবে
আপনি যদি বকেয়া টাকার পুরোপুরি অর্থ প্রদান করতে না পারেন তাহলে কমপক্ষে মিনিমাম
এর চেয়ে বেশি পেমেন্ট করার চেষ্টা করুন।
জয়েনিং ফি এবং রিনিউয়াল ফি এর বিষয়ে সচেতন হতে হবেঃ যে কোন ব্যাংকের
ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে সেই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের জয়েনিং ফি এবং
রিনিউয়াল ফি কত তা অবশ্যই জেনে নিতে হবে। এর কারণ হলো আপনি যদি না জেনে কোন
কার্ডের জন্য আবেদন করেন তাহলে সেই কার্ডের অফার কিংবা ডিসকাউন্ট সম্পর্কে আপনার
ধারণা থাকবে না। এমন অনেক ব্যাংক আছে যাদের ক্রেডিট কার্ডে অনেক টাকার অফার বা
ডিসকাউন্ট দেয় তবে তার থেকে বেশি আপনার কাছ থেকে রিনিউয়াল চার্জ ফি বেশি নিয়ে
নেয়। ক্রেডিট কার্ডের এসব জয়েনিং ফি এবং রিনিউয়াল ফি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড দিয়ে জরুরি জিনিসপত্র বাদে অন্য কিছু কেনা থেকে বিরত থাকতে
হবেঃ
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি চাইলে যে কোন কেনাকাটা করতে পারবেন। তবে এই ক্রেডিট
কার্ড দিয়ে ছোটখাট বা খুচরা কেনাকাটা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা ক্রেডিট
কার্ড দিয়ে খুচরা কেনাকাটার ফলে অভ্যাস হয়ে যাবে এবং মাসের শেষে বেশি বিল আসবে।
তাই ক্রেডিট কার্ডের সঠিক ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র বড় ধরনের কেনাকাটার জন্যই
আপনাকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয়ঃ যদি কখনো আপনার এই ক্রেডিট কার্ডটি
হারিয়ে যায় তাহলে যথাসম্ভব আপনার ব্যাংক অথবা ক্রেডিট কার্ড প্রোভাইডারের কাছে
যোগাযোগ করে সেই ক্রেডিট কার্ডটি তাড়াতাড়ি ব্লক করতে হবে। কেননা ক্রেডিট কার্ডে
টাকা থাকলে সেই টাকা কেউ উত্তোলন করে নিতে পারে। আর অবশ্যই ক্রেডিট কার্ডের পিন
নাম্বারটি মনে রাখতে হবে। নতুন করে ক্রেডিট কার্ড চালু করার সময় এই পিন
নাম্বারটি দরকার হবে।
উপরে উল্লেখিত নিয়ম গুলো মেনে যদি আপনি সঠিক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি
ক্রেডিট কার্ড বিষয়ক সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
ক্রেডিট কার্ডের টাকা পরিশোধের নিয়ম
ক্রেডিট কার্ডের টাকা পরিশোধের নিয়ম সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই অজানা।যারা
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন এবং পরবর্তীতে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তাদের ক্রেডিট
কার্ডের টাকা পরিশোধের নিয়ম সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। ক্রেডিট কার্ডের
মাধ্যমে আমরা সাধারণত কেনাকাটা, পণ্য, বা সেবা ক্রয় করে থাকি।
এখন আপনি যদি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোন মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত
টাকা খরচ করেন তাহলে আপনাকে পরের মাসের ১৪ তারিখ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে সেই ঋণ
পরিশোধ করতে হবে। এবং আপনি যদি মাসের ১ তারিখের মধ্যে সকল টাকা ব্যয় করে
ফেলেন তাহলে আপনি সেই ঋণ পরিশোধ করার জন্য ৪৫ থেকে ৫০ দিন পর্যন্ত সময় পাবেন।
ক্রেডিট কার্ডের টাকা পরিশোধের এসব নিয়ম গুলো মেনে যদি আপনি ক্রেডিট
কার্ড ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি ক্রেডিট কার্ডের সব সকল সুবিধা গুলো উপভোগ
করতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার পর বকে টাকা সময় মত পরিশোধ করতে হবে।
আর যদি ক্রেডিট কার্ডের টাকা সময় মত পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে
বকেয়া টাকা পরিশোধের পাশাপাশি আপনাকে জরিমানাও গুনতে হতে পারে।
লেখক এর শেষ কথাঃ কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো
কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো এ সম্পর্কে তাদের জানা অত্যন্ত জরুরী যারা
বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন এবং পরবর্তীতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার
পরিকল্পনা করছেন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে যদি আপনি নিয়মগুলো
ভালোভাবে জেনে তারপর ব্যবহার করতে পারেন আবার এর কিছু অসুবিধা রয়েছে যা ইতি
পূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলে আমি বাংলাদেশের ব্যাংকের মধ্যে কোন ক্রেডিট
কার্ড ভালো এবং পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আরো যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত
আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার
বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করে দিন যাতে তারাও এ সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে উপকৃত হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইল। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url