আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৫ আবেদন করার নিয়ম

আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৫ আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? আপনি যদি ২০২৫ সালে আমেরিকান ডিভি লটারি আবেদন করতে চান এবং ডিভি লটারি আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ অব্দি সম্পূর্ণ পড়ুন।

আমেরিকান-ডিভি-লটারি-২০২৫-আবেদন-করার-নিয়ম
উন্নত দেশে পাড়ি দিতে অথবা সেই দেশের স্থায়ী নাগরিক হতে অনেক ইচ্ছা পোষণ করে থাকে। উন্নত দেশগুলোতে বিশেষ করে আমেরিকায় লটারির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ রয়েছে।আমেরিকান ডিভি লটারি আবেদন ২০২৫ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পেজ সূচিপত্রঃ আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৫ আবেদন করার নিয়ম

আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৫ আবেদন করার নিয়ম

আমেরিকান ডিভি লটারি আবেদন করে চাইলে খুব সহজে আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া যাবে। আবার যারা আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক হতে চাই তারাও চাইলে আমেরিকান ডিভি লটারি আবেদন করে আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারবে। প্রত্যেক বছর বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় লোক নেয়ার জন্য তারা কিছু সংখ্যক গ্রীন কার্ড দিয়ে থাকে।

ঠিক তেমনি এবারও অর্থাৎ ২০২৫ সালে আমেরিকায় নাগরিক নেয়ার জন্য গ্রীন কার্ড দেয়া হয়েছে।যারা যারা আমেরিকায় পাড়ি দিতে চাই অথবা স্থায়ীভাবে আমেরিকার বাসিন্দা হতে চাই তাদের এই আমেরিকান ডিভি লটারি আবেদন করতে হবে। আমেরিকা ছাড়াও বেশ কয়েকটি উন্নত দেশে এই ডিবি লটারি আবেদনের মাধ্যমে প্রতিবছর কিছু সংখ্যক লোক তারা নিয়ে থাকে।

এই পদ্ধতিটি অনেক আগে থেকেই কার্যকরী। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকেও অনেক লোকজন বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে অথবা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তবে এখন জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে বাংলাদেশ থেকে ডিভি লটারি আবেদন করা যাবে কিনা। বাংলাদেশ থেকে ডিভি লটারি আবেদন করা যাবে কিনা এবং  সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ডিভি লটারি কি

ডিভি লটারি আবেদন করে বিদেশে পাড়ি জমানো সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আসি ডিভি লটারি কি। এই ডিভি লটারি এর মাধ্যমে কিভাবে লোকজন বিদেশে পাড়ি দেবে। ডিভি লটারি বলতে ডাইভারসিটি ভিসা লটারি কে বোঝানো হয় যা সংক্ষেপে ডিভি লটারি হিসেবে পরিচিত।

বিভিন্ন কারণে নিজ দেশ ত্যাগ করে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয় সেটা হতে পারে ব্যবসায়িক কোনো কারণে, চাকরির জন্য অথবা পড়াশোনার জন্য আবার কেউ কেউ স্থায়ীভাবে সেই দেশের নাগরিক হতেও বিদেশে পাড়ি জমায়। প্রত্যেকটি দেশে যাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে ঠিক তেমনি আমেরিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশে যাওয়ার জন্য একটি নিয়ম রয়েছে।

সেটা হল ডিভি লটারি ভিসা আবেদন করে তারপর নির্দিষ্ট দেশে গমন করা যা ডাইভারটিসি ভিসা নামে পরিচিত। ডিভি লটারির মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রথমে ডিভি লটারিতে আবেদন করতে হবে। ডিভি লটারির মাধ্যমে  আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য যে আবেদন টা করতে হবে সেই আবেদন সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কি ডিভি লটারি ২০২৫ এর আবেদন করতে পারবে

আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৫ আবেদন করার নিয়ম বাংলাদেশ থেকে ডিভি লটারি ২০২৫ এর আবেদন করা যাবে কিনা এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন। যারা এ সম্পর্কে জানতে চান এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন তাদের জেনে নেওয়া ভালো যে বাংলাদেশ থেকে ডিভি লটারি ২০২৫ এর আবেদন করতে পারবে না। শুধুমাত্র ২০২৫ এই নয় বরং এর আগে ২০২৪, ২০২৩,২০২২ ইত্যাদি কোন বছরেই বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে পারেনি।

এর কারণ হলো যে সব দেশ ডিভি লটারি চালু করে তারা নির্দিষ্ট একটি দেশ থেকে অনেক বেশি লোকজন নেয় না। আর বাংলাদেশে যেহেতু বর্তমান সময়ের এক যুগ আগে থেকেই বেশি সংখ্যক লোকজন ডিভি লটারির মাধ্যমে আমেরিকা সহ আরো কিছু দেশে পাড়ি দিয়েছে। তাই বর্তমান সময়ে তারা এখন বাংলাদেশ থেকে আবেদন বন্ধ করে রেখেছে কেননা তারা বর্তমানে বাংলাদেশের লোকজন নিতে আগ্রহী নয়।

২০১২ সালের আগ অব্দি এই ডিভি লটারির মাধ্যমে আবেদন করে বাংলাদেশ থেকে অনেক লোকজন আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তবে ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশের জন্য এই ডিভি লটারি আবেদন সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয় কারণ তারা বাংলাদেশ থেকে আর এখন লোকজন নেবে না। কেননা বাংলাদেশ থেকে আবেদন করে অনেক লোকজন এখন আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক হয়ে গেছে।

২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল অব্দি শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকেই ৫০ হাজার নাগরিক ডিভি লটারি মাধ্যমে বিদেশে পাড়ি জমায় যার কারণে বাংলাদেশ থেকে এই ডিভি লটারি আবেদন সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার যারা যারা আবেদনের মাধ্যমে আমেরিকার নাগরিক হতে পেরেছে পরবর্তীতে তারা তাদের পরিবারের সদস্যকেও আমেরিকার নাগরিক বানিয়েছে।

তাই যেসব দেশ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে নাগরিক এসেছে সেসব দেশকে বাদ দিয়ে যেসব দেশ থেকে কম নাগরিক এসেছে তারা সেসব দেশ থেকে আবেদন চালু রেখেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও ঠিক একই নিয়ম প্রযোজ্য। শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, বাংলাদেশ ছাড়াও আরো বেশ কিছু দেশ থেকে এই ডিভি লটারি আবেদন সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তবে এখন বর্তমান সময়ে যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকান অথবা যুক্তরাষ্ট্রের ডিভি লটারি আবেদন করতে চান তারা চাইলে বিকল্প পথ ব্যবহার করে আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে যেহেতু বর্তমান সময়ে আবেদন করা যাবে না তাই আবেদন করা যাবে এমন কোন দেশে যদি আপনার স্বামী/স্ত্রী  কেউ থেকে থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে আবেদন করাতে পারবেন। আমেরিকান ডিভি লটারি আবেদন করার নিয়ম সঠিকভাবে জেনে তারপর আবেদন করলে আমেরিকার নাগরিক হতে পারবেন বলে ধারণা করা যায়।

ডিভি লটারি আবেদন করার নিয়ম

আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৫ আবেদন করার নিয়ম ডিভি লটারি আবেদন করতে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তবে জেনে নেওয়া ভালো বাংলাদেশ থেকে ডিভি লটারির আবেদন করা যাবে না কেননা বাংলাদেশ ডিভি লটারি আবেদনের যোগ্য নয় যা ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে ডিভি লটারির জন্য আবেদন করা না গেলেও অন্য যে দেশগুলো ডিভি লটারি আবেদনের জন্য যোগ্য সেই দেশে স্বামী/স্ত্রী থেকে থাকলে তাদের মাধ্যমে ডিভি লটারির আবেদন করা যাবে। নিচে ডিভি লটারি আবেদন করার নিয়ম দেওয়া হল।

আমেরিকান-ডিভি-লটারি-২০২৫-আবেদন-করার-নিয়ম
ডিভি লটারি আবেদন করার জন্য নিম্নে উল্লেখিত বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে দেখে নিন। ডিভি লটারি আবেদনের জন্য প্রথমে আপনাকে ডিভি লটারির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর আবেদন ফরমে প্রবেশের জন্য আপনাকে একটি অথেন্টিকেশন কোড দেওয়া হবে। উপরে লেখা কোডটি দেখে দেখে নিচের খালি ঘরে পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। উপরে যা যা লেখা থাকবে সেগুলো দেখে দেখে সঠিক নাম্বার এবং সংখ্যা বসিয়ে পূরণ করলে আবেদন ফরমে ঢুকতে পারবেন। আবেদন ফরমে ঢুকার আগের অথেন্টিকেশন কোডের পেইজটি ঠিক এমন দেখাবে।


সঠিক সংখ্যা এবং নাম্বার বসিয়ে সাবমিট করলে এরপর আবেদন ফরমের পেজটি ওপেন হবে। প্রথম পার্ট হিসেবে প্রবেশকারীর যাবতীয় তথ্য যেমন এক নম্বরে নাম, দুই নম্বরে জেন্ডার, তিন নম্বরে জন্ম তারিখ, চার নম্বরে যে শহরে জন্ম হয়েছে, পাঁচ নম্বরে যে দেশে জন্মগ্রহণ করেছে এসব তথ্য গুলো সুন্দর ভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।

উপরের তথ্যগুলো পূরণ করা হয়ে গেলে ৬ নম্বরে আপনি যেই দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন সেই দেশের যোগ্যতার ভিত্তিতে হ্যাঁ অথবা না পূরণ করতে হবে। যদি আপনি এমন কোন দেশে থাকেন যেই দেশ এই আবেদনের যোগ্য তাহলে হ্যাঁ পূরণ করতে হবে আর যদি দেশটি আবেদনের যোগ্য না হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে আপনাকে সেই দেশে প্রবেশ করতে হবে যেই দেশ এই আবেদনের যোগ্য।

এরপর সাত নম্বরে ছবি যুক্ত করতে হবে। এমন একটি ডিজিটাল ছবি যুক্ত করতে হবে যেটা ডিভি লটারি আবেদনের জন্য পরিপূর্ণ উপযুক্ত। যদি ছবি উপযুক্ত হয় তাহলে একবারে ছবিটি নিয়ে নেবে আর যদি উপযুক্ত ছবি না হয় তাহলে আবার চেষ্টা করতে হবে। ছবি যুক্ত করার উদাহরণ সম্পর্কিত একটি লিংক থাকবে যেটাতে ক্লিক করলে আবেদনের জন্য উপযুক্ত ছবির উদাহরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।


ছবি যুক্ত করার পর আট নম্বরে মেইলিং ঠিকানা নামে একটি অপশন থাকবে যেটাতে আপনার বসবাসের ঠিকানা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে কয়েকটি ঠিকানা অপশনাল হিসেবে রয়েছে যেগুলো দিলেও হবে আর না দিলে কোন সমস্যা নাই।

এরপর ১০ নম্বরে আপনার ফোন নাম্বারটি দিতে হবে। ফোন নম্বরটি অপশনাল হিসেবে রয়েছে যেটা দিলেও চলে না দিলেও কোন সমস্যা নেই। এরপর ১১ নম্বরে আপনার ইমেইল এড্রেসের একটি ঠিকানা দিতে হবে। ইমেইল এড্রেস টি দুইবার বসাতে হবে প্রথমবার বসিয়ে আবার দ্বিতীয়বার কনফার্ম ইমেইলে আবার বসাতে হবে।

আপনি যদি যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে এই ইমেইলটি অতিরিক্ত তথ্য প্রদান এর জন্য ব্যবহৃত হবে।এরপর ১২ নম্বরে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বোচ্চ স্তর যেটি সেটির সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রাইমারি লেভেল থেকে শুরু করে ডক্টরেট ডিগ্রী অব্দি দেয়া রয়েছে।এর ভিতর আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বোচ্চ স্তরটি সেটি এখানে বসাবেন।


এরপর ১৩ নম্বরে আপনার বৈবাহিক অবস্থার সকল তথ্য পূরণ করতে হবে যদি আপনি অবিবাহিত হন তাহলে সেখানে অবিবাহিত দিতে হবে আর যদি আপনি বিবাহিত হলে বিবাহিত দিতে হবে আবার আরো কিছু অপশন রয়েছে যদি আপনি বিবাহিত হয়ে থাকেন এবং আপনার স্বামী/স্ত্রী সেই দেশের স্থায়ী নাগরিক না হয়ে থাকে তাহলে সেটা পূরণ করতে হবে।

আবার যদি আপনি বিবাহিত হন এবং আপনার স্বামী/স্ত্রী সেই দেশের স্থায়ী নাগরিক হয়ে থাকে তাহলেও সেটা পূরণ করতে হবে। এছাড়া আরো কিছু অপশন আছে যেমন তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা। যদি আপনারা আইনগতভাবে তালাকপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ডাইভারসিটি ভিসার মাধ্যমে স্বামী/স্ত্রীর সাথে অভিবাসন করতে পারবেন না।

এরপর ১৪ নম্বরে আপনার বাচ্চার সংখ্যা দিতে হবে। আপনার বাচ্চা যদি ২১ বছরের নিচে এবং অবিবাহিত হয় তাহলে অভিবাসনের জন্য যোগ্য আর যদি এর থেকে বয়স বেশি হয় এবং বিবাহিত হয়ে থাকে তাহলে অভিবাসনের জন্য অযোগ্য। তবে বাচ্চা যদি আগে থেকেই সেই দেশের নাগরিক হয়ে থাকে তাহলে এই ডাইভারসিটি ভিসা আবেদনের অন্তর্ভুক্ত করবেন না।


উপরের উল্লেখিত ফর্মটি ভালো করে বুঝে তারপর পূরণ করতে হবে যার জন্য আপনাকে গড়ে আনুমানিক ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। এজন্য ফরমটি পূরণ করার জন্য প্রথমে সমস্ত তথ্য গুলি ভালো করে জেনে বুঝে এবং সঠিক তথ্যগুলো সংগ্রহ করে তারপর পূরণ করতে হবে। আপনি যদি উপরের উল্লেখিত সকল তথ্যগুলো যোগ্যতার ভিত্তিতে সঠিক ভাবে পূরণ করতে পারেন তাহলে এই ডাইভারসিটি ভিসা আবেদনে যোগ্য হিসেবে গণ্য হবেন।

ডিভি লটারি ২০২৫ যোগ্য দেশের তালিকা

প্রত্যেকবছর যোগ্য দেশগুলো থেকে ডিভি লটারি আবেদনের মাধ্যমে আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র সহ ডিভি লটারি সিস্টেম চালু আছে এমন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে অনেক নাগরিক। কেননা এসব দেশগুলো উন্নতদের সবাই সবাই ভাবে এসব দেশে একবার নাগরিক হতে পারলে ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যাবে।যারা আশাতে প্রত্যেক বছর এই ডাইভারসিটি ভিসা লটারি আবেদন করে আমেরিকান এবং মার্কিন নাগরিক হচ্ছে অনেক লোকজন।

তবে জেনে নেওয়া ভালো যে এই ডাইভারসিটি ভিসা লটারির জন্য প্রত্যেকটি দেশ যোগ্য নয়। যেসব দেশ থেকে এর আগে অনেক নাগরিক এসব উন্নত দেশে স্থায়ী নাগরিক হয়ে গেছে সেসব দেশ থেকে এই লটারি আবেদন অযোগ্য। এই জন্য ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশীদের জন্য বেশ কয়েকটি দেশ যেমন আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র এই ডাইভারসিটি ভিসা লটারি সিস্টেম বন্ধ রেখেছে।

এক কথায় যেসব দেশ থেকে অভিবাসনের হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম সে সব দেশের নাগরিকদের ডাইভারসিটি ভিসা লটারির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিয়ে থাকে এসব উন্নত দেশগুলো। তারা চায় এমন দেশের নাগরিক নিতে যেসব দেশ থেকে কম সংখ্যক নাগরিক স্থায়ীভাবে সেই দেশের বাসিন্দা হয়ে গেছে। তাই এই ডাইভারসিটি ভিসা লটারির জন্য বেশ কয়েকটি দেশ অযোগ্য যার কারণে সেই দেশ থেকে আবেদন করলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

দেশগুলো হল- বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কানাডা, কলোম্বিয়া, ডোমিনিকান, চীন, রিপাবলিক, হাইতি, এল সালভাদর, ভারত, হন্ডুরাস, জ্যামাইকা, মেক্সিকো, পাকিস্তান, ফিলিপিন, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও ভেনেজুয়েলা। উপরে উল্লেখিত দেশগুলো ডাইভারসিটি ভিসা লটারি আবেদনের জন্য যোগ্য নয়। এসব দেশগুলো ছাড়া বাকি অন্য দেশগুলো এই লটারি আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত।

ডিভি লটারি 2025 এর জন্য আবেদন কবে

ডিভি লটারির জন্য যোগ্য এবং অযোগ্য দেশ সম্পর্কে উপরে আলোচনা থেকে জানলাম। এবার ডিভি লটারি ২০২৫ এর জন্য আবেদন কবে শুরু এবং এর ফলাফল কবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেব।যারা ২০২৫ সালের জন্য আবেদন শুরু হয় ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর থেকে এবং আবেদন শেষ হয় ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। কেননা আবেদন করে ফলাফল বের হয় এক বছর পর।

ফলাফল বের হওয়ার আরো এক বছর পর অভিবাসনের সুযোগ আসে। তাই ২০২৫ সালের জন্য ২০২৩ সালে আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৫ সালের জন্য সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার গ্রীন কার্ড দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। ২০২৫ সালে অভিবাসনের জন্য ডাইভারসিটি লটারির ফলাফল পাওয়া যাবে ২০২৪ সালের ৪ মে থেকে। ২০২৩ সালের লটারির ফল ২০২৪ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উপলব্ধ ছিল।

ডিভি লটারি 2026 এর জন্য আবেদন কবে

ডাইভারসিটি ভিসা লটারি ২০২৫ সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত জানলাম, এবার আমরা ডিভি লটারি ২০২৬ এর জন্য কবে আবেদন করতে হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব। প্রত্যেক বছর ডি ভি লটারি জন্য যোগ্য দেশগুলো আবেদন করতে পারে তবে তার জন্য নির্দিষ্ট বছরের দুই বছর আগে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে আবেদন করতে হয়।

আমেরিকান-ডিভি-লটারি-২০২৫-আবেদন-করার-নিয়ম
২০২৬ সালে অভিবাসনের জন্য ডিভি লটারি আবেদন ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে।এবং এই ডিভি লটারি আবেদন এর শেষ তারিখ ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ২০২৬ সালে অভিবাসনের জন্য ২০২৪ সালে পড়া আবেদনের ফলাফল ২০২৫ সালে দেওয়া হবে। যারা আবেদনের জন্য যোগ্য তারা ২০২৬ সালে অভিবাসনের সুযোগ পাবে।

লেখকের শেষ কথাঃ আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৫ আবেদন করার নিয়ম

আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৫ আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী তারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ২০২৫ সালের ডাইভার সিটি ভিসা লটারির আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। সেই সম্পর্কে যারা জানতে চায় তারা যদি মনোযোগ সহকারে শেষ অব্দি আর্টিকেলটি পড়ে তাহলে অনায়াসে আবেদন করতে পারবে বলে আশা করা যায়।

প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে অন্যদের মাঝে শেয়ার করে দিন যাতে তারাও ২০২৫ সালের ডাইভারসিটি ভিসা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে। এছাড়া অন্যান্য সকল বিষয়ে জানতে ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ সময় ধরে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url