হাজারী গুড় তৈরির পদ্ধতি - হাজারী গুড় এর ইতিহাস
শীতকালীন সবজি চাষ পদ্ধতি। ছাদে শীতকালীন সবজি চাষ পদ্ধতিহাজারী গুড় তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে কি আপনি জানতে চাচ্ছেন? আপনি যদি হাজারী
গুড় তৈরি করার পদ্ধতি এবং এই গুড় এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে
এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
হাজারি গুড় হলো এমন এক ধরনের বিখ্যাত গুড় যা অন্যান্য গুড়ের
তুলনায় অনেক দামি। হাজারী গুড়ের ইতিহাস, এই গুড় কোথায় পাওয়া যায়, এই গুড় কেন
এত বিখ্যাত এবং এই গুড় তৈরীর পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো-
পেজ সূচিপত্রঃ হাজারী গুড় তৈরির পদ্ধতি
হাজারী গুড় তৈরির পদ্ধতি
হাজারী গুড় তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে বলতে গেলে এটি একটি প্রাচীন শিল্প বলা চলে।
কেননা এই হাজারী গুড় এর ইতিহাস হলো ৩০০ বছরের। প্রায় ৩০০ বছর আগে মানিকগঞ্জ
জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা এলাকায় হাজারী নামে একজন সুদক্ষ গাছি এই হাজারী
গুড় এর আবিষ্কার করে।তখন থেকে শুরু করে এখন অব্দি এই হাজারী গুড় এর দেশ থেকে
বিদেশ অব্দি ব্যাপক চাহিদা এবং সুনাম রয়েছে। বর্তমানে হাজারী পরিবার সহ ২৫
পরিবার এবং বেশ কিছু সুদক্ষ গাছি বা কারিগর এই হাজারী গুড় তৈরি করে থাকে। এই
হাজারী গুড় তৈরি করার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। ১০-১৫ কেজি খেজুরের রস থেকে ১ কেজি
হাজারী গুড় তৈরি করা যায়। হাজারী গুড় তৈরি করার পদ্ধতি নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো-
- প্রথমে খেজুর গাছ থেকে পরিষ্কার রস সংগ্রহ করতে হয়। এরপর সেই রস ২০/১৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে নিতে হয়। জাল দেওয়ার পাশাপাশি রস ভালো ভাবে নাড়তে হয় যাতে করে খেজুরের রস পাত্রে লেগে না যায় এবং সুন্দর মত জাল হয়।
- তারপর রস জাল হওয়ার পর যখন একটু সাদাটি ভাব আসবে তখন সেই রসগুলো মাটির তৈরি একটি পাত্রে নামিয়ে নিতে হয়।
- এরপর সেই পাত্রে একটি কাঠের তৈরি লাঠি বা হাতল দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে ঘষাঘষি করতে হয়। অর্থাৎ যত বেশি ঘষাঘষি করা যাবে রস তত ঘনত্ব হবে এবং সাদা হবে। এভাবে অনেকক্ষণ যাবৎ ঘষাঘষি করার পর রসগুলো একটু ঘন হয়ে গুড়ে রূপান্তরিত হবে।
- ঘষাঘষি শেষে যখন রস গুলো ঘন হয়ে যাবে তখন পাত্রের উপর সাদা নরম এবং পরিষ্কার কাপড় দিয়ে তার উপর এই ঘন রসগুলো ঢেলে নিতে হয়।
- পাত্রে ঢালা হয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর সেই ঘন দ্রবণটি জমে গিয়ে পাত্রের আকার ধারণ করে এবং হাজারী গুড় তৈরি হয়ে যায়।
- গুড় তৈরি হয়ে গেলে এরপর কারিগররা হাজারী সিল মেরে দেয়। এই সিলটি মারার কারণ হলো আসল হাজারী গুড় চেনার উপায় হিসেবে।
- প্রত্যেকটি পাত্রের গুড়ে সিল মারা হয়ে গেলে সেই পাত্র থেকে জমে যাওয়া গুড় গুলো বের করে একটি কাগজ দিয়ে ভালো করে মুড়িয়ে তারপর প্যাকেটজাত করা হয়। প্যাকেটজাত করার পর এসব হাজারী গুড় বিক্রি করা হয়।
হাজারী গুড় এর ইতিহাস
হাজারী গুড় তৈরির পদ্ধতি হাজারী গুড় এর ইতিহাস সম্পর্কে বলতে গেলে এটি অনেক
প্রাচীন একটি ইতিহাস। হাজারী গুড় এর ইতিহাস প্রায় ৩০০ বছরের উপরে। শোনা যায়
৩০০ বছর আগে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা এলাকায় এক সুদক্ষ গাছী
ছিলেন যার নাম ছিল হাজারী। তিনি ওই সময় খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড়
তৈরি করতে এবং সেখান থেকে আয় রোজগার করতেন। তবে তিনি একসময় দারুন এক গুড়ের
আবিষ্কার করে ফেলেন।
তবে এই আবিষ্কার অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব হয়নি। মূলত লম্বা সময় চেষ্টা এবং
ধৈর্যের ফলে তিনি এক ধরনের গুড় আবিষ্কার করেন। তখন সেই গুড় এর সুনাম ওই
এলাকায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই সেই গুড়ের খ্যাতি ছড়িয়ে
পড়ে মানিকগঞ্জ জেলায়। শোনা যায় যে ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথ এই
হাজারী গুড় অনেক পছন্দ করেন এবং এই গুড়ের সুনাম অনেক জায়গায় ছড়িয়ে দেন।
মুলত রানী এলিজাবেথ হাজারীর নাম অনুসারে এই গুড়ের নাম দেন হাজারী গুড়। এই
গুড়ের নামকরণ করার পর এর সুনাম এবং ক্ষ্যাতি ছরিয়ে পরে অনেক দূরে। তখন থেকেই
মানিকগঞ্জ জেলার এই গুড় অনেক বিখ্যাত হয়ে যায় যা এখন পর্যন্ত বিদ্যমান।
বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরের উপজেলার ঝিটকা এলাকায় এখনও বেশ কিছু
পরিবার এই গুড়ের উৎপাদন এবং বিক্রি করে আসছে।
হাজারী গুড় কোথায় পাওয়া যায়
হাজারী গুড় তৈরির পদ্ধতি হাজারী গুড় কোথায় পাওয়া যায় এ সম্পর্কে এখন
আমরা জানতে চলেছি। হাজারী গুড় এর ব্যাপক সুনাম এবং চাহিদা থাকায় এই
গুড় সম্পর্কে অনেকে কম বেশি জানে। এই হাজারী গুড়ের উৎপাদন
শুরু হয় মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা এলাকায়। মানিকগঞ্জ জেলা
এই হাজারী গুড় এর জন্য বিখ্যাত এবং দেশ-বিদেশে অনেক
সুনাম কুড়িয়েছে।
এখন আসি এই হাজারী গুড় কোথায় পাওয়া যাবে। যেহেতু এই হাজারী
গুড় মানিকগঞ্জ জেলায় তৈরি হয় সেহেতু মানিকগঞ্জে খুব সহজেই এই হাজারী
গুড় পাওয়া যাবে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার এলাকার যে
কয়েকটি পরিবারে এই গুড় তৈরি হয় সেখানে খুব সহজে এই গুড় পাওয়া
যাবে।
এছাড়াও মানিকগঞ্জ জেলার বেশ কিছু বাজারে এই গুড় বিক্রি করা
হয়। সেখানে গিয়েও এই হাজারী গুড় খুব সহজেই কিনতে পাওয়া
যাবে। আবার অনলাইনেও অনেক পেইজে অথবা অনলাইন মার্কেটে এই
গুড়ের নানা প্রচারণা দেখা যায়। তাই বাজার ছাড়াও অনলাইনে খোঁজ করলে
এই হাজারী গুড় পাওয়া যায়।
হাজারী গুড় এর দাম
হাজারী গুড় এর দাম সম্পর্কে এখন আমরা জানতে চলেছি। অনেকেই হাজারী
গুড় এর ইতিহাস জানলেও এই গুড়ের আসল এবং সঠিক দাম অনেকেই জানে না।
হাজারী গুড় অন্যান্য গুড়ের তুলনায় অনেক দামি একটি গুড়। হাজারী গুড় এর
দাম বর্তমানে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কখনো কখনো এই গুড় ১৫০০,
১৬০০, ১৮০০, ২০০০ টাকায় পাওয়া যায়।
তবে অনলাইনে এই হাজারী গুড় কিনলে বাজার থেকে কেনার তুলনায় একটু বেশি হতে
পারে কেননা অনলাইনে সবকিছুরই দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। এই গুড়ের এত দাম
হওয়ার কারণ রয়েছে কেননা ১ কেজি হাজারী গুড় তৈরি করতে প্রায়
১০/১৫ কেজি খেজুরের রস লাগে। এই গুড়ের এত দাম হওয়ার কারণ শুধুমাত্র রস
বেশি লাগার কারণ নয়। এই গুড়ের এত দাম হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এই গুড়
তৈরি করতে প্রচুর সময় এবং পরিশ্রম লাগে।
হাজারী গুড় কেন বিখ্যাত
হাজারী গুড় কেন বিখ্যাত এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ে
থাকেন। আসলে এই হাজারী গুড় এর এত নাম এবং খ্যাতি থাকার কারণে
অনেকেই এরকম জানতে চান যে এই গুড় কেন এত বিখ্যাত এবং বিখ্যাত
হওয়ার পেছনে প্রধান কি কারণ রয়েছে। আসলে এই হাজারী গুড় অনেক
দীর্ঘ সময় প্রায় ৩০০ বছর ধরে ঐতিহ্য বহন করে আসছে।
এই গুড়ের স্বাদ, ঘ্রাণ এবং তৈরির পদ্ধতি এবং দামের কারণে এই
হাজারী গুড় এত বিখ্যাত। প্রায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্য বহনকারী এই হাজারী
গুড় দীর্ঘ সময় ধরে গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। এই
হাজারী গুড় এর দাম এত বেশি হওয়ার পরেও এই গুড়ের চাহিদা
ব্যাপক। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী এই গুড়ের উৎপাদন সম্ভব হয় না।
কেননা বর্তমান সময়ে মানিকগঞ্জের গাছি এবং স্থানীয়দের মুখ থেকে
শোনা যায় যে এই হাজারী গুড় এর এত দাম হওয়ার পরেও এর
চাহিদা অনেক। তবে চাহিদা অনুযায়ী এই গুড় উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।এর কারণ
হিসেবে তারা বলেন যে অতীতের তুলনায় বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা
অনেক কমে যাওয়ায় রসের পরিমাণও কম হচ্ছে যার কারণে বেশি এবং চাহিদা অনুযায়ী
গুড় তৈরি করতে পারছেন না।
যদি বিখ্যাত এই হাজারী গুড় এর ইতিহাস এবং ঐতিহ্য ধরে রাখতে হয় তাহলে
অবশ্যই বেশি বেশি খেজুর গাছ লাগানোর পাশাপাশি খেজুর গাছের যত্ন নিতে হবে।
এছাড়াও অনেকে এই পেশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে মূলত বড় সময় ধরে বসে
থাকার কারণে। শুধুমাত্র শীতের সময় এই হাজারী গুড় এর কার্যক্রম এবং
উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এই সময় বাদে বাকি অর্ধেকের বেশি সময় ধরে গাছিদের বসে কাটাতে হয় অর্থাৎ
তারা বাকি সময়গুলোতে আয়-রোজগার করতে পারে না। যার কারণে অনেকে
এখন এই পেশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাই হাজারী গুড় এর এই
ঐতিহ্য ধরে রাখতে স্থানীয় জনগণ এবং দক্ষ গাছিদের উৎসাহিত
করতে হবে।
হাজারী গুড় এর দাম বেশি হওয়ার কারণ
হাজারী গুড় এর দাম বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলতে গেলে এই হাজারী
গুড় তৈরি অন্যান্য গুড়ের তুলনায় একটি ভিন্ন ধরনের পদ্ধতি। এই হাজারী
গুড় এর দাম বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে এর ব্যতিক্রম তৈরীর পদ্ধতি,
কায়িক পরিশ্রম এবং বেশি পরিমাণে খেজুরের রস। ১ কেজি হাজারী গুড়
তৈরি করতে প্রায় ১০/১৫ কেজি খেজুরের রস
দরকার হয়। সেইসাথে দরকার হয় অনেক পরিশ্রম।
কড়াইতে জাল দেওয়ার সময় রস জ্বাল দেওয়ার পাশাপাশি নাড়াচাড়া করতে হয় এবং
এরপর মাটির পাত্রে নিয়ে অনেক সময় ধরে ঘুটা ঘুটি করতে হয় এই গুড়ের
কাঙ্ক্ষিত রুপ, স্বাদ এবং ঘ্রাণ পেতে। তবে অন্য গুড় এবং
পাটালি তৈরি করতে খেজুরের এত পরিমান রস লাগে না। তাই অন্যান্য গুড়ের
তুলনায় এই হাজারী গুড় এর দাম এত বেশি।
খাঁটি হাজারী গুড় চেনার উপায়
খাঁটি হাজারী গুড় চেনার উপায় সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানতে
চলেছি। হাজারী গুড় কেনার আগে অবশ্যই খাঁটি হাজারী গুড় চিনতে
পারাটা অনেক জরুরী। কেননা এই হাজারী গুড়ের অনেক বেশি দাম
হওয়ার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই গুড়ের নকল তৈরি করে আসল গুড়ের
পরিচয় দিয়ে আপনাকে ঠকাতে পারে। এই বিখ্যাত হাজারী গুড় মূলত
মানিকগঞ্জের ৩০০ বছরের পুরনো একটি ঐতিহ্য।
এই হাজারী গুড় মানিকগঞ্জে উৎপাদিত হয় এবং সেখান থেকে শুরু করে সারা
দেশে এবং বিদেশেও এই গুড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এত এত
চাহিদার কারণে অনেক সময় বাজারে নকল হাজারী গুড় বিক্রি হতে দেখা
যায়। সেখানে তারা আসল হাজারী গুড় এর পরিচয় দিয়ে নকলটা বিক্রি
করে এবং বেশি দাম নেয়। তবে আপনি চাইলে আসল এবং নকল হাজারী
গুড় চিনতে পারবেন যদি আপনার কয়েকটি বিষয় জানা থাকে। যেমন-
- আসল এবং খাঁটি হাজারী গুড় দেখতে হালকা সাদা এবং হালকা বাদামি রঙের হয়ে থাকে।অপরদিকে নকল হাজারী গুড় বেশি সাদা অথবা অনেক গাঢ় বাদামি রঙের হতে পারে।
- আসল হাজারী গুড় এর অনেক ভালো সুগন্ধ পাওয়া যায় এবং এর স্বাদ অনেক সুন্দর অপরদিকে নকল এবং ভেজাল হাজারী গুড় এর তেমন সুগন্ধি এবং স্বাদ লক্ষ্য করা যায় না।
- আসল এবং খাটি হাজারী গুড় এর উপরে হাজারী নামের একটি সীল থাকে। অপরদিকে নকল এবং ভেজাল হাজারী গুড় এর উপর কোন ধরনের সীল নাও থাকতে পারে।
- খাঁটি হাজারী গুড় এর উপর একটি ছোট বল আকৃতির গুড়ের দলা দেওয়া থাকে। ভেজাল এবং নকল হাজারী গুড় এর ক্ষেত্রে এমনটা না থাকতেও পারে।
হাজারী গুড় কি অনলাইনে পাওয়া যায়
হাজারী গুড় কি অনলাইনে পাওয়া যায় এই প্রশ্নটি হয়তো অনেকের
মনে ঘুরপাক খায় অথবা অনেকেই জানতে চায়। এই হাজারী
গুড় মানিকগঞ্জ জেলায় উৎপাদিত স্থান এবং বাজারে পাওয়া যায় এটা অনেকেই
জানেন। তবে এই গুড় বর্তমান সময়ে অনলাইনেও কয়েকটি পেজে মার্কেটিং
করতে দেখা যায়। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে হাজারী গুড় অনলাইনে পাওয়া
যাবে। তবে অনলাইনে এই হাজারী গুড় এর দাম একটু বেশি হতে পারে এ
সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো।
আর অনলাইনে যে কোন প্রোডাক্ট এর দাম বেশি হয় এ সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা
হয়েছে। তাই অনলাইনে এই গুড় কিনতে চাইলে দাম একটু বেশি পড়বে। তবে
আপনাকে আসল এবং খাঁটি হাজারী গুড় ক্রয় কর তে হবে। তবেই আপনি এই
গুড়ের আসল স্বাদ এবং ঘ্রাণ পাবেন। অনলাইন থেকে হাজারী গুড়
কিনতে চাইলে এই পেজগুলো থেকে কিনতে পারেন-
- Saker mart.com-- ১ কেজি হাজারী গুড় ১৩০০-২৬০০ টাকা পর্যন্ত।
- Fresh food.com-- ৫০০ গ্রাম এবং ১ কেজি হাজারী গুড় পাওয়া যায়। ৫৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা পর্যন্ত।
লেখকের শেষ কথাঃ হাজারী গুড় তৈরির পদ্ধতি
হাজারী গুড় তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের কম বেশি ধারণা রাখা
দরকার। কেননা মানিকগঞ্জের এই গুড় বিখ্যাত এবং এই হাজারী গুড়
মানিকগঞ্জের প্রায় ৩০০ বছরের একটি ঐতিহ্য বহন করে আসছে।তাই এই আর্টিকেলে
হাজারী গুড়ের ইতিহাস এবং তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে।
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি হাজারী গুড় সম্পর্কে সঠিক তথ্য
পান তাহলে অন্যদের মাঝে শেয়ার করে দিন যাতে তারাও এই গুড়
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে সঠিক তথ্য
পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইল। এতক্ষণ ধরে ধৈর্য সহকারে
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url