অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম ২০২৫ – লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম ২০২৫

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। আপনি যদি ২০২৫ সালে কিভাবে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হয় এই সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অনলাইনে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-আবেদন-করার-নিয়ম-২০২৫
বর্তমান যুগে ড্রাইভিং লাইসেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। কেননা যারা সর্বদা রাস্তাঘাটে গাড়ি চালায় তাদের এই ড্রাইভিং লাইসেন্স না হলে চলবে না। কারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে গাড়ির ড্রাইভারকে ট্রাফিক পুলিশে ধরবে এবং জরিমানা সহ তার বিরুদ্ধে আরো নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নিচে ২০২৫ সালের জন্য অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পেজ সূচিপত্রঃ অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম ২০২৫

নিচের যে অংশে পড়তে চান, ক্লিক করুন

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম ২০২৫

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স ২০২৫ আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো।বর্তমান যুগে ড্রাইভিং লাইসেন্স তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস যারা সর্বদা রাস্তাঘাটে গাড়ি চালায় অথবা গাড়ি চালানোর কাজ করে। কেননা এই ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ট্রাফিক পুলিশে আটক করে এবং জরিমানা সহ তার বিরুদ্ধে আরো নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।

তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা অত্যন্ত জরুরি। তবে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় যেটা অনেক বিরক্তিকর। তবে আপনি চাইলে খুব সহজেই অনলাইনে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্সে আবেদন করার বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া রয়েছে যেগুলো নিচে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য প্রথমে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল নামের একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে একটি পেজ শো করবে। পেজটি দেখতে ঠিক এরকম হবে।

এই পেজটিতে আসার পর উপরে দেখতে পাবেন প্রবেশ করুন এবং নিবন্ধন নামে দুটি অপশন আছে। আপনার যেহেতু আগে নিবন্ধন করা নেই তাই আপনাকে নিবন্ধন নামের অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
নিবন্ধনে ক্লিক করার পর দেখতে পাবেন জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং মোবাইল নম্বর দিতে বলবে। এগুলো সঠিকভাবে বসানোর পর নিচে অনুসন্ধান নামের যে অপশনটি আছে সেটাতে ক্লিক করতে হবে। 

অনুসন্ধান অপশনে ক্লিক করার পর দেখতে পাবেন আপনার সামনে একটি পেজ শো করবে এবং আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি কোড আসবে। এই ওটিপি কোডটি ৩ মিনিটের মধ্যে সঠিকভাবে বসিয়ে ওটিপি যাচাই করুন এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। যদি আপনার ফোনে ওটিপি না আসে তাহলে নিচে এখানে নামে যে অপশনটি রয়েছে সেটাতে ক্লিক করতে হবে। এবং ওটিপি কোডটি বসাতে হবে এবং যাচাই করতে হবে।
এবার আপনার সামনে এই পেজটি শো করবে। তবে যদি উক্ত নম্বরটি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে নিবন্ধন করা না থাকে তাহলে ওটিপি ভেরিফাইড দেখাবে না। আর যদি আপনার মোবাইল নম্বরটি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে নিবন্ধন থাকে তাহলে ওটিপি সাকসেসফুল দেখাবে।

এরপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে সম্পৃক্ত আপনার নাম এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর সহ আপনার মোবাইল নম্বর চলে আসবে। এই ফর্মের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে ইমেইল আইডির একটি অপশন রয়েছে। এখানে আপনার ইমেইল আইডিটি দিয়ে দিবেন।

এরপর একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে এবং পুনরায় একই পাসওয়ার্ড দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে এরপর নিবন্ধন করুন নামে অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনি যে পাসওয়ার্ডটি দিবেন সেটি অবশ্যই মনে রাখবেন কেননা এটি দিয়ে পরবর্তীতে লগইন করতে হবে।


এবার আপনার সামনে এরকম একটি পেজ শো করবে। আগে যে ইমেইল আইডিটা আপনি দিয়েছিলেন সেই ইমেইল আইডিতে একটি মেসেজ আসবে ভেরিফিকেশনের। ইমেইল চেক করে ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে এবং নিচের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দেওয়ার দুটি ঘর রয়েছে। এখানে আপনি আপনার উক্ত জিমেইল আইডিটি এবং আগের দেওয়া পাসওয়ার্ডটি দিয়ে লগইন করে নিতে হবে।

এবার আপনার সামনে এমন একটি পেজে শো করবে। অনলাইনে লাইসেন্স আবেদন করার জন্য আপনাকে লার্নার করে নিতে হবে। এজন্য আপনাকে উপরের বাম দিকে কোনায় মার্ক করে দেওয়া প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করতে হবে।

প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করার পর আপনার প্রোফাইলটি আপনার সামনে শো করবে। এখানে আপনার ইউজারনেম এছাড়াও আপনার নাম, পিতার নাম ও মাতার নাম ইত্যাদি সো করবে। যদি সকল তথ্যগুলো এখানে শো করায় তাহলে অতিরিক্ত কোন কিছু আর আপনাকে করতে হবে না।

আর যদি এই সকল তথ্যগুলো আপনার সামনে শো না করায় তাহলে উপরের ছবিটিতে মার্ক করে দেওয়া রিফ্রেশ বাটনে ক্লিক করতে হবে। রিফ্রেস করার পর দেখতে পাবেন এনআইডি কার্ড অনুযায়ী ভেরিফিকেশন হয়ে গেছে এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো শো করাচ্ছে। আর যদি কিছু তথ্য না করায় তাহলে আপনি আপনার এনআইডি কার্ড অনুযায়ী এগুলো পূরণ করে দিবেন।

এরপর নিচের দিকে গেলে দেখতে পাবেন যে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সবগুলোই আপনার সামনে শো করছে। এখানে যদি আপনি মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে চান তাহলে করতে পারবেন।আর যদি আপনার নাম্বার পরিবর্তন করার প্রয়োজন না পড়ে তাহলে কিছুই করার দরকার নেই।
এরপর নিচের দিকে তাহলে দেখতে পাবেন যে পাসপোর্ট নাম্বার এবং জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এর জন্য দুটি ঘর রয়েছে। এখানে আপনার যদি পাসপোর্ট থাকে তাহলে পাসপোর্ট নাম্বার আর যদি না থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে দিতে হবে।এগুলো বসানোর পর নিচের দিকে দেখতে পাবেন প্রোফাইল হালনাগাদ নামের একটি অপশন আছে। এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
প্রোফাইল হালনাগাদে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি পেজ শো করবে যেখানে উপরে লেখা থাকবে ইউর প্রোফাইল আপডেটেড সাকসেসফুলি। আপনার যেহেতু বিএসপি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেছে তাই এবার আপনি বামদিকের যে ড্যাশবোর্ড এ চলে যাবেন। কেননা এবার আপনাকে অনলাইনে এর মাধ্যমে লার্নারের জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য প্রথমে আপনাকে ড্যাশবোর্ডের নিচে ড্রাইভিং লাইসেন্স নামের অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে এবং সেখান থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
এবার আপনার সামনে এরকম একটি পেজ শো করবে। যেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্স আবেদনের পূর্ব শর্তগুলো পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করা আছে। আবেদন করার জন্য এই সকল শর্তগুলো ভালোভাবে পড়ে নিবেন।এই শর্তগুলো সম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা সেটি ভালোভাবে দেখে নিবেন। এরপর নিজে দেখতে পাবেন আমি সহমত নামে একটি অপশন আছে এটাতে ক্লিক করতে হবে।
এবার আপনাদের সামনে এমন একটি পেজ শো করবে যেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ভেরিফাইড হয়ে যাবে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের সব ডকুমেন্ট এবং আপনার ছবি শো করবে। এরপর নিচের দিকে তাকালে কিছু অপশন দেখতে পাবেন তার ভিতরে নেক্সট নামে যে অপশনটি রয়েছে সেটাতে ক্লিক করতে হবে।
এবার আপনার সামনে একটি পেজ শো করবে যেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য চাইবে। এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভাষা, ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরন এবং আবেদনের ধরন উল্লেখ করতে হবে। আপনি যে ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন অর্থাৎ পেশাদার নাকি অপেশাদার সেটা সিলেক্ট করতে হবে।

এরপর দেখতে পাবেন মোটরযানের শ্রেণী নামের একটি অপশন আসবে। আপনি যদি পেশাদার লাইসেন্স করতে চান তাহলে এখানে ৪টি অপশন পাবেন। আর যদি অপেশাদার লাইসেন্স করতে চান তাহলে ২টি অপশন পাবেন একটি হলো মোটরসাইকেল এর পাশে আরেকটি থাকবে লাইট নামের অপশন।

আপনি যদি শুধুমাত্র বাইকের জন্য লাইসেন্স করতে চান তাহলে মোটরসাইকেল অপশন এ টিক মার্ক দিবেন আর যদি বাইকের পাশাপাশি মাইক্রো অথবা যে কোন ৪ চাকার গাড়ির জন্য লাইসেন্স করতে চান তাহলে মোটরসাইকেল এর পাশে থাকা লাইট অপশন টিতেও টিক মার্ক দিতে হবে। এরপর নিচের দিকে নেক্সট অপশনে ক্লিক করতে হবে।

নেক্সট এ প্রেস করার পর আপনার সামনে এমন একটি পেজ শো করবে। এবার ওকে করে দিতে হবে। পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য।
পরবর্তী ধাপে এসে আপনার সামনে একটি ফরম চলে আসবে। এখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো ভালোভাবে পূরণ করতে হবে। এছাড়া আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে আপনার স্ত্রীর নাম এবং আপনার বৈবাহিক অবস্থা সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এগুলো সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচে থাকা নেক্সট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
এবার আপনার সামনে এমন একটি ফর্ম চলে আসবে যেখানে আপনার বর্তমান ঠিকানা দেওয়া রয়েছে।যদি এই উক্ত ঠিকানা গুলো সঠিক হয়ে থাকে তাহলে হ্যাঁ অপশনে টেক মার্ক দিবেন আর যদি সঠিক না হয় তাহলে না অপশনে টিক মার্ক দিবেন এবং সঠিকটি পূরণ করে দিবেন।পাশে থাকা ঠিকানাগুলো আপনাকে ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। এগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর নিচে সার্কেল অফিস অটোমেটিক চলে আসবে এবং পরীক্ষার স্থান ও একই ভাবে চলে আসবে। এরপর নেক্সট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
এরপর আপনাদের সামনে এমন একটি ফর্ম শো করবে যেখানে আবেদনকারীর যোগাযোগের বিবরণ এবং জরুরি যোগাযোগের বিবরণ অর্থাৎ আপনার কোন রিলেটিভের নাম, যোগাযোগ নম্বর এবং তার সাথে আপনার কি সম্পর্ক সেটা দিয়ে দিতে হবে।
এরপর নিচের দিকে গেলে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার স্থায়ী ঠিকানা শো করছে। এই ঠিকানা অনুযায়ী আপনি ডানদিকে ইংরেজিতে এই ঠিকানাগুলো যথাযথভাবে বসিয়ে দিবেন। একটু নিজের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন বর্তমান ঠিকানা। এখানে সবগুলো ভালোভাবে পূরণ করে আবার নেক্সট অপশনে ক্লিক করতে হবে।
নেক্সট অপশনে ক্লিক করার পর এবার আপনার সামনে এই পেজটি শো করবে। এখানে আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয়পত্র এবং ইউটিলিটি  বিল (গ্যাস/বিদ্যুৎ /ওয়াসা) সংযুক্ত করতে হবে। সংযুক্ত করার সময় পাশে থাকা দেখুন নামের অপশনে ক্লিক করে দেখে নিতে পারবেন। আপনার যে স্মার্ট কার্ডটি হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সেটা বাড়িতে হোম ডেলিভারি দেয়া হবে তাই এখানে নিচের তথ্য গুলো পূরন করতে হবে। তথ্যগুলো যথাযথভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে তারপর নিচের দিকে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এরপর আপনার সামনে এমন একটি পেজ শো করবে যেখানে লেখা থাকবে আবেদন সম্পন্ন করার জন্য আপনার তথ্য যাচাই করে ফি প্রদান করুন এই জন্য তিনটা অপশন থাকবে তার মধ্যে তিন নম্বর অপশন অর্থাৎ ফি জমা অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ফি প্রদানে ক্লিক করার পর আপনার সামনে ঠিক এরকম একটি লার্নার লাইসেন্সের ফর্ম ওপেন হবে।এখানে আপনার দেওয়া যাবতীয় তথ্যগুলো শো করবে। আপনার যাবতীয় তথ্যগুলো ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। এখানে আপনাকে সর্বমোট ৭৪৮ টাকা পেমেন্ট করতে হবে ফি হিসেবে। তথ্যগুলো যাচাই করা হয়ে গেলে যদি আপনার কাছে মনে হয় যে এগুলো সব ঠিক আছে তাহলে নিচের দিকে ফি জমা দিন নামের অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে ফি দেওয়ার জন্য।
ফি জমা দিন অপশনে ক্লিক করার পর আপনি ঠিক এরকম একটি পেজ দেখতে পাবেন। উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন এখানে মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে তার পাশে টিক চিহ্ন দেওয়ার মত একটি ছোট ফাঁকা ঘর রয়েছে। যদি এখানে টিক চিহ্ন দেওয়া থাকে তাহলে আর কিছু করার দরকার নেই। আর যদি এখানে ঠিক চিহ্ন দেওয়া না থাকে তাহলে টিক দিয়ে নিবেন। কেননা এই নাম্বারের মাধ্যমে টাকা পেমেন্টের এসএমএস আসবে।
এরপর নিচের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন এখানে মূলত ফি জমা দেওয়ার জন্য অনলাইন মাধ্যম গুলো যেমন নগদ, বিকাশ, উপায় এবং অন্যান্য ব্যাংক একাউন্ট গুলো টাকা পেমেন্টের মাধ্যমে হিসেবে দেখাবে। এগুলোর ভিতর যে কোন একটি দিয়ে আপনাকে সেই ৭৪৮ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এর ভিতর আপনি যে একাউন্ট দিয়ে টাকা পেমেন্ট করতে চান সেখানে প্রেস করতে হবে।

এরপর আরো নিচের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন আই এগ্রি নামে একটি অপশন আছে সেটাতে টিক মার্ক দিয়ে দিতে হবে এবং নিশ্চিত অপশনে ক্লিক করতে হবে।এরপর দেখতে পাবেন আপনি যেই পেমেন্ট মেথডে পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন সেই অ্যাকাউন্ট শো করবে এবং সেখান থেকে আপনার ফোন নাম্বার এবং নাম্বারে আসা ওটিপি কোড এবং উক্ত একাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে কনফার্ম করতে হবে। তাহলেই পেমেন্ট হয়ে যাবে।
এরপর আপনার সামনে এরকম একটি পেজ শো করবে। এখানে উপরের দিকে তাকালে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। একটি হলো প্রিন্ট লার্নার এবং অন্যটি হলো টু গেট মানি রিসিপ্ট। প্রথমটিতে ক্লিক করে আপনার লার্নার লাইসেন্স টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
লার্নার লাইসেন্স ডাউনলোড হয়ে গেলে এরপর টু গেট মানি রিসিপ্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর এখান থেকে মানি রিসিপ্ট কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এগুলো সঠিকভাবে ডাউনলোড করে নিতে হবে কেননা পরবর্তীতে এগুলোর প্রয়োজন আছে।
সঠিকভাবে ফি জমা দেওয়া হয়ে গেলে আপনার লার্নার কার্ডটি আপনার সামনে চলে আসবে এবং আপনি এটি দেখতে পাবেন। এভাবেই আপনার লার্নার লাইসেন্সের আবেদন সম্পন্ন হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে ২০২৫

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে যা যা লাগে সেগুলো সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু পূর্ব শর্ত রয়েছে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কেননা এগুলো ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া অসম্ভব বা আবেদন করলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যা যা লাগে সেগুলো হলো-

  • আবেদনকারীর ছবি অর্থাৎ যিনি আবেদন করবেন তার নিজস্ব ছবি লাগবে সর্বোচ্চ ১৫০ কিলো বাইটের (কে.বি)।
  • একটি মেডিকেল সার্টিফিকেটের ফরম লাগবে এবং সেটি রেজিস্টার্ড ডাক্তার দ্বারা পূরণ করে নিতে হবে। উক্ত ফর্মের ছবি অথবা পিডিএফ সর্বোচ্চ ৬০০ কে.বি হবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি লাগবে যেটা সর্বোচ্চ ৬০০ কে.বি।
  • ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি লাগবে যেটা সর্বোচ্চ ৬০০ কে.বি।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের স্ক্যান কপি লাগবে যেটা সর্বোচ্চ ৬০০ কে.বি। আবেদনকারীকে কমপক্ষে ৮ম শ্রেণী পাস হতে হবে।
  • একজন আবেদনকারী শুধুমাত্র ১টি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।
  • অনলাইনে আবেদন করার সময় আবেদনকারীর সমস্ত তথ্য বাংলা ও ইংরেজিতে নির্ভুলভাবে যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
  • আবেদনকারী অনলাইনে আবেদন করার সময় সব তথ্যগুলো সঠিক দিতে হবে। যদি আবেদনকারী ভুয়া তথ্য প্রদান করে তাহলে তার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডটি বাতিল হয়ে যাবে এবং আবেদনকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম ডাউনলোড

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম সম্পর্কে বলতে গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়ায় আবেদন সম্পন্ন করতে হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফরম হচ্ছে দুই প্রকার। প্রথমটি হচ্ছে লার্নার অথবা শিক্ষানবিশ লাইসেন্স এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে পেশাদার/অপেশাদার এর জন্য আবেদন ফরম। এই আবেদন ফরম গুলো মাধ্যমে খুব সহজেই আবেদন করা যায়।

উক্ত ফর্মগুলো ডাউনলোড করে ফর্মে  সকল তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করে লাইসেন্স অফিসে জমা দিলে আবেদন করা হয়ে যাবে। আর যদি অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাহলে উপরের দেখানো পদ্ধতিতে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য মেডিকেল আবেদন ফরম ডাউনলোড করা অত্যন্ত জরুরী। নিচে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল ফর্মগুলো দেওয়া হলো-

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের ফি কত

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন। অনলাইনে লাইসেন্সের জন্য আবেদন সহজ হওয়ার কারণে প্রায় অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চাই।
অনলাইনে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-আবেদন-করার-নিয়ম-২০২৫
যার কারণে আবেদন ফি এর বিষয়টা সম্পর্কে জানতে চাই। অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে আবেদন ফি সবমিলিয়ে ৭৪৮ টাকা লাগে। তবে পরবর্তীতে এই আবেদন ফি কম বেশি লাগতে পারে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে ২ টি উপায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন সম্পন্ন করার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কমপক্ষে ১ মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আবেদন করার পর যদি দীর্ঘ সময় ধরে পেন্ডিং দেখায় তাহলে অনেক দেরি হয়ে গেলেও লাইসেন্স হাতে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে লাইসেন্স অফিসে খুব শীঘ্রই যোগাযোগ করা উচিত। আর আপনি যদি নিজে থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে চান তাহলে ২টি উপায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। সেগুলো হলো-

  1. অনলাইনের মাধ্যমে-- অনলাইনে যে কোন ব্রাউজারে গিয়ে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখানে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে খুব সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যাবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি হয়ে যায় তাহলে সাকসেস লেখা থাকবে এবং যদি না হয় তাহলে পেন্ডিং দেখাবে।
  2. মোবাইল নাম্বার এর মাধ্যমে-- এজন্য প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে যেতে হবে সেখানে গিয়ে নিউ মেসেজে ক্লিক করে বড় হাতের অক্ষরে (DL) লিখে একটি স্পেস দিতে হবে।এরপর ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার লিখে 26969 অথবা 01552146222 নাম্বারে এসএমএস পাঠাতে হবে। আপনাকে আপনার নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার রয়েছে যার সাহায্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বর্তমান পরিস্থিতি জানা যায়। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে জরিমানা কত ২০২৫

ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ২০২৫ সালে কত টাকা জরিমানা লাগে এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। ২০১৯ সালের আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। তবে বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে তার জরিমানা ২৫ হাজার টাকা এবং দন্ড অনধিক ৬ মাস পর্যন্ত। তবে  ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে পরবর্তীতে এই উক্ত জরিমানার চাইতে আরও বেশি টাকা লাগতে পারে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হলে করণীয়

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেন শেষ হলে কি করতে হবে এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। কেননা প্রত্যেকটি লাইসেন্সের জন্য একটা মেয়াদ থাকে। আর এই উক্ত কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেটার আর কোন মূল্য থাকে না। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত আপনার সুযোগ থাকবে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি নবায়ন করার জন্য।
অনলাইনে-ড্রাইভিং-লাইসেন্স-আবেদন-করার-নিয়ম-২০২৫
আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করে নেন তাহলে আবার আগের মতই সকল সুযোগ সুবিধা গুলো পেতে থাকবেন। আর যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং আপনি নবায়ন না করেন তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ যেদিন শেষ হয়ে যাবে এরপর থেকে প্রতিবছরে আপনাকে ২৩০ টাকা করে জরিমানা বাবদ খরচ দিতে হবে।

তাই এই জরিমানা এড়াতে চাইলে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং যেদিন মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তারপর থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ড্রাইভিং লাইসেন্সটি নবায়ন করে নিতে হবে।

লেখকের শেষ কথাঃ অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম ২০২৫

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে আমাদের কম বেশি জানা প্রয়োজন কেন না বর্তমান যুগে ড্রাইভিং লাইসেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে আপনি রাস্তাঘাটে যান চলাচলে নানা বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই এই আর্টিকেলটি দেখে অনলাইনে খুব সহজেই ২০২৫ সালের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করে ফেলুন।

আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে অন্যদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।এছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইল।এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url